ব্রাহ্মণ কে ?
মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য বললেনঃ
यो वा एतदक्षरं गार्ग्यविदित्वाऽस्मिꣳल्लोके जुहोति यजते
तपस्तप्यते बहूनि वर्षसहस्राण्यन्तवदेवास्य तद्भवति लोको भवति
यो वा एतदक्षरं गार्ग्यविदित्वाऽस्माल्लोकात्प्रैति स कृपणोऽथ य
एतदक्षरं गार्गि विदित्वाऽस्माल्लोकात्प्रैति स ब्राह्मणः ॥ १०॥
বৃহদারণ্যক উপনিষদ [৩/৮/১০]
♦"হে গার্গী, এই অক্ষরকে না জানিয়াই যিনি হোম করে, যজ্ঞ করে, কিংবা বহু সহস্র বৎসর তপস্যা করে, তাহার সেই কর্ম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
এই অক্ষর পুরুষকে(ব্রহ্ম) না জানিয়াই যিনি ইহলোক ত্যাগ করেন, তিনি অতি করুণার পাত্র। আর যিনি এই অক্ষর ব্রহ্মকে জানিয়া ইহলোক ত্যাগ করেন, তিনিই ব্রাহ্মণ।♦
♥সুতরাং, যিনি ব্রহ্মকে সম্যকভাবে জানেন তিনিই ব্রাহ্মণ। জন্মগতভাবে কেউই ব্রাহ্মণ হয়না। চণ্ডাল, মুচি, মেথরের সন্তানও যদি কেউ "ব্রহ্মজ্ঞান" লাভ করতে পারে, তাহলে শাস্ত্রানুযায়ী সেও "ব্রাহ্মণ"।♥
ব্রহ্ম বা ঈশ্বরের স্বরূপ কী ?
পরের শ্লোকে[৩/৮/১১] যাজ্ঞবল্ক্য বললেন,
तद्वा एतदक्षरं गार्ग्यदृष्टं द्रष्टृश्रुतꣳ श्रोत्त्रमतं
मन्त्रविज्ञातं विज्ञातृ नान्यदतोऽस्ति द्रष्टृ नान्यदतोऽस्ति
श्रोतृ नान्यदतोऽस्ति मन्तृ नान्यदतोऽस्ति विज्ञात्त्रेतस्मिन्नु
खल्वक्षरे गार्ग्याकाश ओतश्च प्रोतश्चेति ॥ ११॥
বৃহদারণ্যক উপনিষদ [৩/৮/১১]
♣" হে গার্গী, এই অক্ষর ব্রহ্মকে দেখা যায় না, কিন্তু তিন সবই দেখেন। তাঁহাকে শোনা যায় না, কিন্তু তিনি সবই শোনেন। তাঁহাকে মনন করা যায় না, কিন্তু তিনি মনন করেন। তাঁহাকে জানা যায় না, কিন্তু তিনি সবই জানেন। ইনি ভিন্ন অন্য কেহ দ্রষ্টা নাই, শ্রোতা নাই, মন্তা নাই, ইনি ভিন্ন অন্য কেহ বিজ্ঞাতা নাই।
হে গার্গী, এই অক্ষর ব্রহ্মেই,আকাশ ওতোপ্রোতো ভাবে রহিয়াছে।"♣
কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে যে, হিন্দু সমাজের অনেক তথাকথিত মহাপুরুষ আছেন, যারা সেই ব্রহ্ম বা ঈশ্বরকে দেখেছেন, শুনেছেন, মনন বা কল্পনা করেছেন।😑
অথচ সনাতন শাস্ত্রবাক্য তো উল্টো কথাই বলছে।😒