দাদা, থীম পাল্টানোতে আনন্দিত হয়েছি। আগের থীমটি পুরাতন ছিল। নতুন থীমের ফুটারে Distributed by এবং Powered by এর জায়গায় বাংলাদেশ অগ্নিবীর টেক টিম লেখা রয়েছে দেখে হতাশ হলাম। এই জায়গাটি থীম এর ডিজাইন কে করেছে, কে বিতরণ করেছে এবং কাদের দ্বারা শক্তি পেয়েছে মানে মোটেও অগ্নিবীর নয়। অগ্নিবীরের মত একটি জ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রমে যথাযথ টেক জ্ঞান সম্পন্ন কেউ নেই এটা উপর্যুক্ত লেখাটির পড়লে টেক জ্ঞানসম্পন্ন যে কেউ বুঝতে পারবে। যারা জানেনা, তারা হয়তো আপনাদেরকে মহাকিছু ভাববে। কিন্তু যিনি ওয়েব ডেভেলপার, তিনি এই লাইনটি দেখে হাসবেন। আপনাদের একটি প্রিমিয়াম থীম কেনার সামর্থ নেই- এটা ভেবে খুব দুঃখ পেলাম।
নমস্কার, আর্ষ জ্যোতি ১ম সংখ্যা পড়লাম। ভাল লাগল। প্রবন্ধগুলোর বিষয়গত ঐশ্বর্য, গ্রাফিক্স, ফন্ট সাইজসহ উপস্থাপনার উচ্চ প্রশংসা করছি। কিন্তু ই-বুক তৈরিতে কয়েকটি বিষয় ননপ্রফেশনাল মনে হয়েছে। এক্সপার্ট যে কেউ দেখলে হয়তো মুখে কিছু বলবে না, কিন্তু মনে মনে হাসবে। দুয়েকটা বিষয় নিচে তুলে ধরলাম:- ক) সূচিপত্রের শিরোনামগুলো ক্লিকেবল নয়। অর্থাৎ শিরোনামে ক্লিক করে প্রবন্ধে চলে যাওয়া যায় না। পিডিএফটি টেক্সটভিত্তিক, এটা ঠিক আছে। কিন্তু শিরোনামগুলোতে লিংক তৈরি না করার কারণ কি? অজ্ঞতা নাকি ইচ্ছাকৃত? বেশ আগে থেকেই শিরোনামে লিংক তৈরির বিষয়টি প্রচলিত। এতে পাঠকের সুবিধা হয়। খ) পৃষ্ঠা নম্বরগুলি ইংরেজিতে। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। গ) ৪ নং পৃষ্ঠায় ব্লগের ঠিকানা দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইটের এবং সাইটের ঠিকানা দেয়া হয়েছে ব্লগের। এরকমের কারণ কি? কোনটা ব্লগ আর কোনটা ওয়েবসাইট এটা নিয়ে কোন বিতর্ক আছে কি? কাস্টম ডোমেইন থাকলে সেটাই ওয়েবসাইট। আর ব্লগারে যা হোস্ট থাকবে, সেটাকে ব্লগ বলাই সঙ্গত। ঘ) একই পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে 'ইনস্ট্রাগ্রাম', অথচ ইংরেজিতে লেখা লিংকের ঠিকানায় স্পষ্ট লেখা আছে instagram, instragram নয়। এটা খেয়াল না করার কী কারণ থাকতে পারে? ঙ) ইনস্টাগ্রামের ঠিকানার শেষে "?igshid=YmMyM- TA2M2Y" লেখা রয়েছে। এটা তো লিংকের অংশ নয়। বাংলাদেশ অগ্নিবীরের ইনস্টাগ্রাম ঠিকানা হল https://www.instagram.com/bangladeshagniveer/ এটুকু তথ্য না জানলে বা না বুঝলে চলবে কীভাবে। মানুষ তো বোকা ভাববে। চ) টুইটারের ঠিকানায় www লেখা আছে কি? আমি তো স্পষ্ট কপি করলাম https://twitter.com/bdagniveer এখানে www তো নেই। ছ) back2thevedas এর ওয়েবলিংকে https নেই। শুধু একটা ক্লিকের ব্যাপার, তাও করা হয় নি কেন? জ) ব্লগ এবং সাইট দুটোরই লিংকের শেষে "?m=1" লেখা। এটা দেখায় মোবাইল থেকে ব্লগারে হোস্টকৃত ওয়েবসাইট ভিজিট করলে। কিন্তু আসল লিংকে এই অংশটুকু নেই। অর্থাৎ ডেস্কটপে যা দেখা যায় সেটাই। ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার সময় কি কিনেছিলেন, তা মনে না থাকার বা না বোঝার কারণ বোধগম্য হল না। ঝ) বেশ কয়েকটি পৃষ্ঠায় কমার পরে স্পেস না দেয়ার বিষয়টি চোখে পড়ল। ঞ) রূপ বানান সবসময় দীর্ঘঊকার। অথচ হ্রস্বউকার (রু) চোখে পড়ল। ট) ২৫ পৃষ্ঠার ছবিটির ব্রাকগ্রাউন্ড কি স্বচ্ছ করা যেত না?
আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না। সংস্কৃত ভাষা বা ধর্মীয় পাঠ বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে আরও কিছু ভুল থাকলেও তা বুঝতে পারলাম না। তবে সবশেষে বলতে চাই। আপনাদের ধর্মীয় কার্যক্রম ও জ্ঞান অনেক উন্নত। আপনাদেরকে নিয়ে গর্ব করি, অনেক কিছু শিখেছি, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রফেশনালিজমের অভাব রীতিমত হাস্যকর লেগেছে। সাধারণ মানুষ যারা এতকিছু বোঝে না, তারা হয়তো টের পাবে না, কিন্তু যারা এক্সপার্ট, তারা আপনাদের সম্পর্কে কী ভাববে, তা ভেবে দুঃখ পাচ্ছি।
নমস্কার। Pdf composition আমি করেছি এবং এর ত্রুটিসমূহ স্বীকার করছি। এই প্রজেক্ট আমার জীবনে Adobe InDesign দিয়ে করা প্রথম প্রজেক্ট ছিলো। আমি কোনো প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার নই। নিতান্তই শখের বশে কাজ করি। কিভাবে একটা ম্যাগাজিন সাজাতে হয় তার বেসিক জ্ঞানটুকুও তৎকালে আমার ছিলো না। বলতে গেলে এই প্রজেক্টের মাধ্যমেই আমার ম্যাগাজিন কম্পোজিশনের হাতে খড়ি হয়েছে। আমার কাঁচা হাতে এই পুরো প্রজেক্ট এক দিনের মধ্যে শেষ করাতে আমার দ্বারা কিছু ত্রুটি অজান্তেই হয়ে গেছে। আপানার পরামর্শগুলো আমি আমার আগামী প্রজেক্টগুলোতে অবশ্যই খেয়ালে রাখবো। ধন্যবাদ।
দাদা, থীম পাল্টানোতে আনন্দিত হয়েছি। আগের থীমটি পুরাতন ছিল। নতুন থীমের ফুটারে Distributed by এবং Powered by এর জায়গায় বাংলাদেশ অগ্নিবীর টেক টিম লেখা রয়েছে দেখে হতাশ হলাম। এই জায়গাটি থীম এর ডিজাইন কে করেছে, কে বিতরণ করেছে এবং কাদের দ্বারা শক্তি পেয়েছে মানে মোটেও অগ্নিবীর নয়। অগ্নিবীরের মত একটি জ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রমে যথাযথ টেক জ্ঞান সম্পন্ন কেউ নেই এটা উপর্যুক্ত লেখাটির পড়লে টেক জ্ঞানসম্পন্ন যে কেউ বুঝতে পারবে। যারা জানেনা, তারা হয়তো আপনাদেরকে মহাকিছু ভাববে। কিন্তু যিনি ওয়েব ডেভেলপার, তিনি এই লাইনটি দেখে হাসবেন। আপনাদের একটি প্রিমিয়াম থীম কেনার সামর্থ নেই- এটা ভেবে খুব দুঃখ পেলাম।
ReplyDeleteনমস্কার,
ReplyDeleteআর্ষ জ্যোতি ১ম সংখ্যা পড়লাম। ভাল লাগল। প্রবন্ধগুলোর বিষয়গত ঐশ্বর্য, গ্রাফিক্স, ফন্ট সাইজসহ উপস্থাপনার উচ্চ প্রশংসা করছি। কিন্তু ই-বুক তৈরিতে কয়েকটি বিষয় ননপ্রফেশনাল মনে হয়েছে। এক্সপার্ট যে কেউ দেখলে হয়তো মুখে কিছু বলবে না, কিন্তু মনে মনে হাসবে। দুয়েকটা বিষয় নিচে তুলে ধরলাম:-
ক) সূচিপত্রের শিরোনামগুলো ক্লিকেবল নয়। অর্থাৎ শিরোনামে ক্লিক করে প্রবন্ধে চলে যাওয়া যায় না। পিডিএফটি টেক্সটভিত্তিক, এটা ঠিক আছে। কিন্তু শিরোনামগুলোতে লিংক তৈরি না করার কারণ কি? অজ্ঞতা নাকি ইচ্ছাকৃত? বেশ আগে থেকেই শিরোনামে লিংক তৈরির বিষয়টি প্রচলিত। এতে পাঠকের সুবিধা হয়।
খ) পৃষ্ঠা নম্বরগুলি ইংরেজিতে। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।
গ) ৪ নং পৃষ্ঠায় ব্লগের ঠিকানা দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইটের এবং সাইটের ঠিকানা দেয়া হয়েছে ব্লগের। এরকমের কারণ কি? কোনটা ব্লগ আর কোনটা ওয়েবসাইট এটা নিয়ে কোন বিতর্ক আছে কি? কাস্টম ডোমেইন থাকলে সেটাই ওয়েবসাইট। আর ব্লগারে যা হোস্ট থাকবে, সেটাকে ব্লগ বলাই সঙ্গত।
ঘ) একই পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে 'ইনস্ট্রাগ্রাম', অথচ ইংরেজিতে লেখা লিংকের ঠিকানায় স্পষ্ট লেখা আছে instagram, instragram নয়। এটা খেয়াল না করার কী কারণ থাকতে পারে?
ঙ) ইনস্টাগ্রামের ঠিকানার শেষে "?igshid=YmMyM-
TA2M2Y" লেখা রয়েছে। এটা তো লিংকের অংশ নয়। বাংলাদেশ অগ্নিবীরের ইনস্টাগ্রাম ঠিকানা হল https://www.instagram.com/bangladeshagniveer/ এটুকু তথ্য না জানলে বা না বুঝলে চলবে কীভাবে। মানুষ তো বোকা ভাববে।
চ) টুইটারের ঠিকানায় www লেখা আছে কি? আমি তো স্পষ্ট কপি করলাম https://twitter.com/bdagniveer এখানে www তো নেই।
ছ) back2thevedas এর ওয়েবলিংকে https নেই। শুধু একটা ক্লিকের ব্যাপার, তাও করা হয় নি কেন?
জ) ব্লগ এবং সাইট দুটোরই লিংকের শেষে "?m=1" লেখা। এটা দেখায় মোবাইল থেকে ব্লগারে হোস্টকৃত ওয়েবসাইট ভিজিট করলে। কিন্তু আসল লিংকে এই অংশটুকু নেই। অর্থাৎ ডেস্কটপে যা দেখা যায় সেটাই। ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার সময় কি কিনেছিলেন, তা মনে না থাকার বা না বোঝার কারণ বোধগম্য হল না।
ঝ) বেশ কয়েকটি পৃষ্ঠায় কমার পরে স্পেস না দেয়ার বিষয়টি চোখে পড়ল।
ঞ) রূপ বানান সবসময় দীর্ঘঊকার। অথচ হ্রস্বউকার (রু) চোখে পড়ল।
ট) ২৫ পৃষ্ঠার ছবিটির ব্রাকগ্রাউন্ড কি স্বচ্ছ করা যেত না?
আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না। সংস্কৃত ভাষা বা ধর্মীয় পাঠ বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে আরও কিছু ভুল থাকলেও তা বুঝতে পারলাম না। তবে সবশেষে বলতে চাই। আপনাদের ধর্মীয় কার্যক্রম ও জ্ঞান অনেক উন্নত। আপনাদেরকে নিয়ে গর্ব করি, অনেক কিছু শিখেছি, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রফেশনালিজমের অভাব রীতিমত হাস্যকর লেগেছে। সাধারণ মানুষ যারা এতকিছু বোঝে না, তারা হয়তো টের পাবে না, কিন্তু যারা এক্সপার্ট, তারা আপনাদের সম্পর্কে কী ভাববে, তা ভেবে দুঃখ পাচ্ছি।
ধন্যবাদ
নমস্কার।
DeletePdf composition আমি করেছি এবং এর ত্রুটিসমূহ স্বীকার করছি। এই প্রজেক্ট আমার জীবনে Adobe InDesign দিয়ে করা প্রথম প্রজেক্ট ছিলো। আমি কোনো প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার নই। নিতান্তই শখের বশে কাজ করি। কিভাবে একটা ম্যাগাজিন সাজাতে হয় তার বেসিক জ্ঞানটুকুও তৎকালে আমার ছিলো না। বলতে গেলে এই প্রজেক্টের মাধ্যমেই আমার ম্যাগাজিন কম্পোজিশনের হাতে খড়ি হয়েছে। আমার কাঁচা হাতে এই পুরো প্রজেক্ট এক দিনের মধ্যে শেষ করাতে আমার দ্বারা কিছু ত্রুটি অজান্তেই হয়ে গেছে।
আপানার পরামর্শগুলো আমি আমার আগামী প্রজেক্টগুলোতে অবশ্যই খেয়ালে রাখবো।
ধন্যবাদ।