কোনো যুগে সামবেদের এক হাজার পর্যন্ত শাখা হয়ে গিয়েছিলো, কিন্তু এখন এগুলোর কোনো হদিস নেই ৷ চরণব্যূহ এর টীকাতে মহীদাস লিখেছেন, 'আসাং ষোড়শশাখানাং মধ্যে তিস্রঃ শাখা বিদ্যন্তে গুর্জরদেশে কৌথুমী প্রসিদ্ধা, কর্নাটকে জৈমিনীযা প্রসিদ্ধা, মহারাষ্ট্রে তু রাণাযনীযা', অর্থাৎ এর ষোলটি শাখার মধ্যে এখন কেবল তিনটি শাখা বিদ্যমান ৷ এর মধ্যে কৌথুমীশাখা গুজরাটে, জৈমিনীয়শাখা কর্ণাটকে আর রাণায়নীশাখা মহারাষ্ট্রে প্রসিদ্ধ, কিন্তু স্বামী হরিপ্রসাদ বেদসর্বস্ব এর পৃষ্ঠা ১৭৪ এ বলেছেন, 'সম্ভবত মহীদাসের সময়ে গুর্জর আদি দেশগুলোতে উক্ত তিনটি শাখাই প্রসিদ্ধ ছিলো, কিন্তু এখন তো এগুলো পাওয়াই যায় না ৷ আর সব শাখাতেই মন্ত্র এক । শুধু দ্বিপদ ও চতুষ্পদ মন্ত্র ও বিন্যসের ভাগ অনুযায়ী গণনার জন্য মন্ত্র সংখ্যার ভেদ হয় ।
গোপথ ১.১.২৯ সামবেদের প্রথম মন্ত্র যা উল্লেখ করা হয়েছে তা কৌথুমী শাখাই -
সাম্নাম্ আদিত্যো দেবতম্ তদ্ এব জ্যোতিঃ জাগতং ছন্দঃ দ্যৌঃ স্থানম্ ইত্ অগ্ন আ যাহি বীতয়ে গৃণানো হব্যদাতয়ে নি হোতা সৎসি বর্হিষি এবম্ আদিং কৃৎবা সমাবেদম্ অধীয়তে
মুদ্রণালয়ে এখন পর্যন্ত যত সংহিতা মুদ্রিত হয়েছে সেগুলো সব কৌথুমীশাখা সংহিতা ৷ এ কথার তাৎপর্য হলো, এখন কেবল কৌথুমীশাখাই পাওয়া যায় আর সেটি ঋগবেদ আর শুক্লযজুর্বেদের সাথে প্রাচীন আমল থেকে পঠন পাঠনে চলে আসছে ৷ মাদ্রাজ আর মহারাষ্ট্র দেশে সামবেদী ব্রাহ্মণ খুঁজলে হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু গুর্জরপ্রান্তের উদীচ্য তে সামবেদি ব্রাহ্মণের আধিক্য আছে ৷ উদীচ্য নিসন্দেহে উত্তরীয় ব্রাহ্মণদের সাথে ঘনিষ্ট সম্বন্ধ রাখে আর উত্তরীয় তে সামবেদি ব্রাহ্মণের সংখ্যা অনেক বেশি, এজন্য উত্তর ভারতের সাথে সম্বন্ধ রাখা আর গুর্জর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা কৌথুমীশাখাই আর্যশাখা আর আর্যশাখাই মৌলিক শাখা, অতএব কৌথুমীশাখা আদিম অর্থাৎ অপৌরুষেয় হওয়াতে কোনো সন্দেহ নেই ৷