দৈনিক বেদবাণী


এই সমগ্র সংসার নিরোগ এবং শুভচিন্তা যুক্ত হোক । যজুর্বেদ ১৬.৪                    সূর্য-এর আলোয় স্বয়ং আলোহীন চাঁদ আলোকিত হয় । ঋগ্বেদ ৫.৪০.৫                    প্রশংসনীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মাতৃভূমি— এই ত্রয়ী সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করে। ঋগ্বেদ ১.১৩.৯                    উত্তম জীবন লাভের জন্য আমাদের জ্ঞানীদের সাহচর্যে চলা উচিৎ। ঋগ্বেদ ১.১২.১৬                    যে ব্যক্তি সম্পদ বা সুখ বা জ্ঞান নিঃস্বার্থভাবে দান করে, সে-ই প্রকৃত মিত্র। ঋগ্বেদ ২.৩০.৭                    মানুষ কর্ম দ্বারাই জগতে মহত্ত্ব ও প্রসিদ্ধি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৩.৩৬.১                    হে পতি! তোমার স্ত্রীই গৃহ, স্ত্রীই সন্তানের আশ্রয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৩.৪                    পরমাত্মার নিয়ম বিনষ্ট হয় না; তা অটুট, অচল ও অপরিবর্তনীয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৪.১৮                    এই ধর্মের মার্গই সনাতন, এই পথে চলেই মানবগণ উন্নতি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৪.১৮.১                    পরমাত্মার নিকট কোনো মানুষই বড় বা ছোট নয়। সকল মানুষই সমান এবং পরস্পরের ভ্রাতৃস্বরূপ। ঋগ্বেদ ৫.৬০.৫                    যে ব্যক্তি অকারণে অন্যের নিন্দা করে, সে নিজেও নিন্দার পাত্র হয়। ঋগ্বেদ ৫.২.৬                    নিশ্চিতরূপে এই চতুর্বেদ কল্যাণপ্রদায়িনী এবং মানবকে জ্ঞান প্রদান করে ধারণকারিণী। ঋগ্বেদ ৫.৪৭.৪                    বীর মানবের জন্য পর্বতও সুগম হয়ে যায়। ঋগ্বেদ ৬.২৪.৮                    আমরা অন্যের সঞ্চিত পাপের কর্মফল ভোগ করি না। ঋগ্বেদ ৬.৫১.৭                    হে মিত্রগণ! ওঠো— উদ্যমী হও, সাবধান হও এবং এই সংসাররূপী নদীকে অতিক্রম করো। ঋগ্বেদ ১০.৫৩.৮







হস্তমৈথুন নিয়ে সনাতন ধর্মের শাস্ত্রীয় বিধান কি ? বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা

সত্যান্বেষী
0

 


সনাতন ধর্মে ব্রহ্মচর্য নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । সাধারণতঃ আমাদের সমাজে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না । যার ফলে আমাদের জীবযাপনের সমস্ত বিধিবিধান থাকা সত্ত্বেও আমাদের নবপ্রজন্ম বিশেষ কিছু মতবাদীদের নিকট ' অমুকই পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান ' জাতীয় হাস্যকর মন্তব্য শোনার পরেও জ্ঞানের অভাবে হীনমন্যতায় ভোগে । এমতাবস্থায় আমাদের বিধিবিধানের যৌক্তিক ব্যাখ্যার প্রচার অত্যাবশ্যক । আজকে আমরা হস্তমৈথুন নিয়ে শাস্ত্রীয় সিদ্ধান্ত ও ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করবো । 
 
👉 ব্রহ্মচারীর প্রতি ১৮ উপদেশে আচার্য ব্রহ্মচারীকে উপদেশ দিচ্ছেন - 
 
স্বয়মিন্দ্রিয়মোচনমিতি
গোভিল গৃহ্যসূত্র ৩।১।২৬
অনুবাদঃ হস্তমৈথুন করবে না ।
 
 
অনেকে বলতে পারেন স্বাভাবিকভাবে যদি কম করে করা হয় , উপকারিতা আছে , অতিরিক্ত না করলেই হয় , এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে ইত্যাদি - 
 
 তবে- 

1. ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে নিষিদ্ধ । 
 
2. যেটাতে আসক্তি হতে পারে সেটাকে উৎসাহিত করার যুক্তি নেই  এটাকে ন্যাচারাল ও রিল্যাক্সিং বলে । সেটা সামান্য মদের বেলাতেও প্রযোজ্য । পাশাপাশি এখানে পরবর্তী যে আসক্তিগত ইফেক্ট দেখানো হয়েছে কোনটাই বানানো না ।
 
মোটা দাগে এখানে একটা লেখা আছে-
It’s important to remember that it’s totally okay not to masturbate.
 অর্থাৎ , হস্তমৈথুনে সাময়িকভাবে হরমোন রিলিজ , শান্তি ও উপকারিতা দেখা গেলেও আসক্তির আশঙ্কায় [ মানবমাত্রে স্বাভাবিক ] ধর্মশাস্ত্রে নিষেধ করা হয়েছে । ধর্মীয় দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ আর এভাবে খুঁজলে সামান্য পরিমাণ মদ্যপানেও গুণ পাওয়া বিচিত্র নয় , প্রটেকশনযুক্ত অবৈধ সম্পর্কেও বৈজ্ঞানিক বাধা দেখা যাবে না । বরং তখন সেখানে দেখা যাবে শারীরিক সম্পর্কের উপকারিতা । কিন্তু এই যে অবৈধতার নেশায় যে বিকৃতি ও পরবর্তীতে এক্সট্রিম পর্যায়ে উঠলে সেটার দায় কার ? মদ অল্প খাওয়া ভালো সেটা দেখিয়ে যে অনুমোদন দেওয়া হলো সেটার নিয়ন্ত্রণ কে করবে ? পরে অনিয়ন্ত্রিত হলে দায় কার ? এগিয়ে দেওয়ার পর আর থামানো যাবে সেই বিষয়টা আড়াল কেন ?
 
 
গুগল করে সবকিছু জানা সম্ভব। সার্চ করে আপনি অনেক তথ্য পেতে পারেন, তবে এর সবকিছু যে সঠিক হবে এমন কোন কথা নেই। যেমন আপনি কলা খাওয়ার উপকারীতা নিয়ে জানতে চাইছেন, আপনি এমন অনেক লিংক পাবেন যেগুলো আপনাকে দেখাবে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আবার কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি সেটিও পাবেন। এরমানে আপনি গুগলে কিছু নিয়ে সার্চ করলে আপনি সেটিই পাবেন, তবে সেটি যে সঠিক হবে এমন কোন কথা নেই। এটি একধরনের অবজারভার বায়াস। মানে আপনি যা খুঁজতে চাইছেন সেটি খুঁজে নেয়া। আপনি যখন গুগল থেকে কিছু তথ্য খুঁজতে যাচ্ছেন আপনি নিজেই Observer Bias (পর্যবেক্ষকের পক্ষপাতিত্ব) নিয়ে আসছেন। এখন তাহলে আপনি অথেনটিক তথ্য কীভাবে পাবেন- এখানে হচ্ছে পড়াশুনার প্রয়োজনীয়তা। সঠিক তথ্য জানতে হলে আপনাকে আরো পড়তে হবে, আরো জানতে হবে, যে বইয়ের রেফারেন্স পাচ্ছেন সেই বইগুলো পড়তে হবে। এবং তখন আপনার উপলব্ধি হবে- না, এই লিখাটি ভুল হতে পারে! তখন আপনাকে অন্য বই দেখতে হবে। এভাবে আপনি সঠিক একটি তথ্যে পৌঁছোতে পারেন।
 
হয়তো আপনি গুগল করে অনেক পরিসংখ্যান পেলেন কোনো একটি বিষয় নিয়ে। তাহলে বিভিন্ন পরিসংখ্যান কীভাবে আসে?
পরিসংখ্যান আসে বিভিন্ন রিসার্চের ভিত্তিতে। রিসার্চগুলো হয় কিছু জনসংখ্যা বাছাইয়ের মাধ্যমে, যাদেরকে বলা হয় স্টাডি পপুলেশন । সেই বাছাই করা জনসংখ্যায় গবেষণা চালানো হয়। চালিয়ে একটা ফলাফলে পৌঁছানো হয়। এখন পপুলেশন বাছায়ের উপর নির্ভর করে এর ফলাফল কেমন আসবে। যেমন- বিবাহিত দম্পতির যৌনজিবন নিয়ে যদি একটি গবেষণা চালানো হয় এবং এর জন্য আমরা বেছে নিতে পারি ১৩ হাজার দম্পতিকে তাহলে এর ফলাফল কী আসবে? এটা নির্ভর করে আমরা ১৩ হাজার দম্পতি যে নিচ্ছি, তাঁদের ওপর। সেটি কি বাংলাদেশের ১৩ হাজার দম্পতি (যাঁদের সেক্স লাইফ বেশ ভাল)? নাকি এটি জাপানের ১৩ হাজারের দম্পতি যারা সেক্স করার সময় ই পায় না? নাকি সেটি কেনটাকির ১৩ হাজার দম্পতি, এই ১৩ হাজার দম্পতির মধ্য ‘জিহোভা’স উইটনেস’ কয়জন, যারা মাস্টারবেশন করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ মনে করে? এ সবকিছুর উপর নির্ভর করবে এই ফলাফল কেমন আসবে। রিসার্চের রেজাল্ট আসলে পুরোপুরি নিখুঁত হবেনা, কারণ যখনই আমরা একটা নির্দিষ্ট একটা পপুলেশন বাছাই করব, তখনই সেখানে সিলেকশন বায়াস চলে আসবে (একে আমরা এভাবে বলতে পারি যে – এই রিসার্চে খাদ আছে, যেই খাদ কে বলা হয় বায়াস) । আমি কাদেরকে নিয়ে গবেষণা করছি ,সেটির উপর নির্ভর করে আমার ফলাফল কী আসবে।
আমি যদি ১৩ হাজার ছেলের উপর গবেষণা করি, তাঁদের সেক্স লাইফ কেমন, কিন্তু সে ছেলেমেয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের ১২/১৩ বছরের ছেলেমেয়ে শহরের ছেলেমেয়ে যাঁদের জীবন কড়া শাসনে আবদ্ধ, তাহলে আমরা দেখব তাঁদের সেক্স শূন্য, মাস্টারবেশন করার সুযোগ ও তেমন পায় না, কিন্তু সেটি যদি গ্রামের ১২/১৩ বছরের ছেলেমেয়ে হয়, দেখবো তাদের অলরেডি যৌন অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। এগুলো হচ্ছে সিলেকশন বায়াস।
পক্ষপাতিত্ব ছাড়া কোন গবেষণা হওয়া সম্ভব নয়। আমরা চাইলে পক্ষপাতিত্ব কমাতে পারি। কিন্তু একেবারে কমানো বাস্তবে সম্ভব নয়। কাজেই রিসার্চের যে রেজাল্টগুলো আসে, সেগুলো আমরা থিউরিটিক্যাল রেজাল্ট ধরে নেই। এগুলো আসলে পুরোপুরি প্র্যাক্টিকাল না। এবং স্ট্যাসিস্টীকস ও পুরোপুরি গড় বিষয়টিকে নির্দেশ করে।
 
এসব রিসার্চ কারা করে? স্পষ্ট করে বলতে গেলে, এসব ক্লিনিকাল রিসার্চ কারা করে?
কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সি এসব গবেষণা পরিচালনা করেন। রিসার্চের আরেকটা বড় ত্রুটি হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠান সচরাচর গবেষণায় তাই প্রচার করে ছাড়ে যা তারা প্রমাণ করতে চায়। এ পরিস্থিতিকে বলা হয় পর্যবেক্ষকের পক্ষপাতিত্ব বা অবজার্ভার বায়াস।
অবজারভার বায়াস হচ্ছে যে গবেষণা টি পরিচালনা করছে সে তার মনমানসিকতা, ইচ্ছা গবেষণার উপর প্রভাব ফেলা (পিগ্মালিয়ন ইফেক্ট) । যেমন ধরি কোন কন্টাক্ট লেন্স কোম্পানি গবেষণা করে দেখতে চাইল তাঁদের লেন্স ভাল তখন তারা লেন্সের ভাল দিক গুলো নেবে, খারাপ দিক গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। অবজারভার বায়াস একেবারে সাধারণ জিনিস। এটি এড়াবার জন্য আমরা যেটা করতে পারি সেটি হচ্ছে Double Blind Study Method। এই পদ্ধতি হচ্ছে যার উপর গবেষণা হচ্ছে তিনিও জানেন না তার উপর কীভাবে গবেষণা (বা পর্যবেক্ষণ) চলছে, যিনি গবেষণা করছেন তিনিও জানেন না ঠিক কাদের নিয়ে গবেষণা করছেন, শুধুমাত্র থার্ড পার্টি জানেন, কী গবেষণা হচ্ছে, কার উপর গবেষণা হচ্ছে।
কিন্তু এভাবে করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা গবেষণা চালাতে পারি না। এটি শুধুমাত্র সম্ভব ল্যাবে, বা একটা রিসার্চ ফ্যাসিলিটিতে অল্প কিছু মানুষ নিয়ে গবেষণা করলে । অন্যথায় বায়াস চলে আসছেই! এর মানে হচ্ছে রিসার্চ স্ট্যাটিস্টিক্স একটা গড়পড়তা ধারণা দেবে , কিন্তু নিখুঁত ধারণা দিতে পারে না
 
[ কিছু সূত্র কারটেসি - বিসিবি ] 
 
 
  • ▶️ হস্তমৈথুন তৈরি করবে নানা ধরনের যৌন জটিলতা
 
আপনার যৌনজীবনকে বিষিয়ে তোলার জন্য এই এক হস্তমৈথুনই যথেষ্ট। আর যদি তার সাথে যোগ হয় পর্নোগ্রাফি, তাহলে তো সোনায় সোহাগী। পাশাপাশি হাত ধরে চল এই দুভাই আপনার জীবনকে লন্ডভন্ড করে দেবে, বুকের জমিনে সুখস্বপ্নের যে খেত আপনি বহু যত্নে গড়ে তুলেছিলেন তা নিমিষেই পুড়িয়ে দেবে চৈত্রের খরতাপের মতোই।
 
অকাল বীর্যপাত বা Premature Ejaculation এর অন্যতম কারণ হস্তমৈথুন। হস্তমৈথুন করার সময় আপনি চেষ্টা করতে থাকেন কত তাড়াতাড়ি চুড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছানো যায়, পাওয়া যায় শীর্ষসুখ। দেরি হলে ভালো লাগে না, অসহ্য বিরক্তি এসে ভর করে। এভাবে কিছুদিন হস্তমৈথুন করার পর আপনার মস্তিষ্ক বুঝে ফেলবে খুব তাড়াতাড়ি অপিনি চূড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছাতে চাচ্ছেন। সে তখন এভাবেই নিজেকে প্রোগ্রাম করে নেবে। অল্প সময়েই আপনি শীর্ষসুখ পেয়ে যাবেন। স্ত্রীর সঙ্গে স্বাভাবিক অন্তরঙ্গতার সময়েও আপনার প্রোগ্রামড ব্রেইন অল্প সময়েই আপনাকে চূড়ান্ত মুহূর্তে পৌঁছে দেবে। আপনার স্ত্রী থাকবেন অতৃপ্ত। 
 
হস্তমৈথুন আপনাকে যৌনমিলনের জন্য অযোগ্য, অক্ষম বানিয়ে দেবে। মেডিক্যাল সায়েন্সের ভাষায় একে বলা হয় লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যা বা Erectile Dysfunction (ED)! European Federation of Sexology 49 প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেক বিশেষজ্ঞের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে পর্ন-আসক্তি এবং হস্তমৈথুনের যুগলবন্দী লিঙ্গেীখানজনিত সমস্যার অন্যতম কারণ। লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যার ফলে যৌনমিলনের সময় আপনার লিঙ্গ (Penis) উত্থিত হবে না, যতটুকু কাঠিন্য দরকার ততটুকু থাকবে না, অথবা যত সময় ধরে শক্ত থাকা প্রয়োজন তত সময় ধরে থাকবে না। ফলে আপনি হারাবেন স্বাভাবিক যৌনমিলনের সক্ষমতা।
 
হস্তমৈথুনের কারণে আপনি স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার প্রতি আগ্রহ হারাতে থাকবেন। ২০১৫ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী হস্তমৈথুন এবং পর্ন দেখার ফলে বিবাহিত পুরুষেরা, তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গতার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতা তাদের কাছে একঘেয়ে লাগে। হস্তমৈথুনের কারণে Chronic Penile Lymphedema নামের ঘিনঘিনে একটি রোগে আক্রান্ত হবারও আশঙ্কা থাকে। যার ফলে লিঙ্গ কুৎসিত আকার ধারণ করে। 
 
  • ▶️ দাম্পত্যজীবনে অশান্তি
 
স্বাভাবিক যৌনমিলন যেখানে সুখী দাম্পত্যজীবন উপহার দেয়, ধুলো কাদামাটির এ পৃথিবীর বুকে সুখের এক পশলা বৃষ্টি নামায় সেখানে, হস্তমৈথুন, অ্যানাল সেক্স, ওরাল সেক্স দাম্পত্যজীবনে মিশিয়ে দেয় অশান্তির ফ্লেভার। হতাশী, অতৃপ্তি, অশান্তি, ঝগড়াঝাঁটির অন্যতম প্রভাবক এই বিকৃত যৌনাচারগুলো। কর্নেল ইউনিভার্সিটির ইউরোলজি এবং রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনের ক্লিনিকাল প্রফেসর ড. হ্যারি ফিশ হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বলেন, “ঘন ঘন হস্তমৈথুনের কারণে একজন মানুষ লিঙ্গোত্থানজনিত (erection) সমস্যায় ভুগতে শুরু করবে। হস্তমৈথুনের সাথে সাথে পর্নোগ্রাফি দেখতে থাকলে একসময় যৌনমিলনের ক্ষমতাই সে হারিয়ে ফেলবে।”
 
  • ▶️হস্তমৈথুনের ফলে টেস্টোস্টেরোনের (Testosterone) পরিমাণ কমে যেতে পারে
 
প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে টেস্টোস্টেরোন আসলে কী? এর প্রয়োজনীয়তাই বা কী? টেস্টোস্টেরোন পুরুষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি হরমোন। সহজ ভাষায় এটা হলো ওই হরমোন যা পুরুষকে পুরুষ বানায়। 
 
👉 মানবদেহে টেস্টোস্টেরনের ভূমিকাগুলো কী কী?
 
দেখা যাক: ১) এনার্জি ২) স্মৃতিশক্তি ৩) মনোযোগ ৪) আত্মমর্যাদাবোধ ৫) আত্মনিয়ন্ত্রণ ৬) সুগঠিত পেশি ৭) দৈহিক শক্তি ৮) কাজ করার সক্ষমতা ৯) গলার স্বরের গম্ভীরতা ১০) মানসিক প্রশান্তি ১১) পুরুষালি আচরণ ১২) প্রভাবশালী আচরণ ১৩) লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন ১৪) হাড়ের স্বাভাবিক গঠন ১৫) যৌনক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত আমিষ সরবরাহ করা ১৬) দীর্ঘস্থায়ী যৌনক্রিয়াতে সক্ষম করা ১৭) স্বাস্থ্যকর মেটাবলিম উৎপাদন ১৮) লিভারের কার্যাবলি ১৯) সুগঠিত প্রস্টেট গ্রন্থি গঠন।
 
👉 শরীরে যদি টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে কী হতে পারে?
 
১) ক্লান্তিভাব। ২) বিষণ্ণতা। ৩) দুর্বল স্মৃতিশক্তি ৪) মনোযোগ কমে যাওয়া ৫) অতিরিক্ত অস্থিরতা ৬) কম শারীরিক সক্ষমতা ৭) আত্মনিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়া ৮) পুরুষালি আচরণ কমে যাওয়া। ৯) আচরণে মিনমিনে ভাব আসা ১০) স্বাভাবিক যৌনক্রিয়াতে আগ্রহ না থাকা ১১) দ্রুত বীর্যপাত ১২) দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া। ১৩) মেরুদণ্ডে ব্যথা ১৪) পেশি সুগঠিত না হওয়া ১৫) শরীরে চর্বি জমে যাওয়া ১৬) হাড় ক্ষয়ে যাওয়া। ১৭) চুল পড়ে যাওয়া।
 
হস্তমৈথুন করে করে আপনি শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টেস্টোস্টোরোন শেষ করে ফেলছেন। আফসোস! বড়ই আফসোস! এখন তর্কের মেজাজে থাকলে আপনি বলতে পারেন যে, “হস্তমৈথুন করলে যদি টেস্টোস্টেরোন কমে যায়, তাহলে তো স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার কারণেও তা কমে যাবে? তাহলে কী মানুষ স্বাভাবিক যৌনক্রিয়াও বাদ দিয়ে থাকবে?” আসলে হস্তমৈথুন আর স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এটা শুধু মুখের কথা না, বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।
হস্তমৈথুন আর স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার সময় আমাদের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায়। স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার কারণে শরীরে টেস্টোস্টেরোন তো কমেই না, বরং উল্টোটা হয়। শরীরে টেস্টোস্টেরোনের পরিমাণ বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া। ১৯৯২ সালে ৪ জোড়া দম্পতির ওপর একটি পরীক্ষা করা হয়েছিল।
 
তাদের দাম্পত্যকালীন স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার দিন এবং তাদের মাঝে যেদিন কোনো যৌনক্রিয়া হয়নি, এ দু-ধরনের দিনে তাদের টেস্টোস্টেরোনের পরিমাণ কী অবস্থায় থাকে সেটা দেখার জন্য। দেখা গেল, যে রাতে তারা স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া করেছেন, তার পরদিন তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরোনের পরিমাণ বেড়েছে। অন্যদিকে যে রাতে তাদের মধ্যে কোনো যৌনক্রিয়া হয়নি, তার পরের দিন তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরোনের পরিমাণ বাড়েনি।
 
২০০৩ সালে, হস্তমৈথুন বন্ধ রাখলে শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণের ওপর কী প্রভাব পড়ে তা নিয়ে একটি পরীক্ষা চালানো হয়। ফলাফলে দেখা যায়, হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকার প্রথম ১ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। ৬ষ্ঠ আর ৭ম দিনে এই বৃদ্ধির হার হয়ে যায় ১৪৭%! এ ৭ দিন পরে, টেস্টোস্টেরোনের পরিমাণ স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
 

  • ▶️ প্রস্টেট (মূত্রথলির) ক্যান্সারের ঝুঁকি

প্রস্টেট ক্যান্সার বা প্রস্টেটগ্রন্থিতে নানা রকম সমস্যা হয়েছে এমন রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য দায়ী মূলত হস্তমৈথুন। অথচ আমরা আবার অনেকেই উল্টো ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আছি যে, হস্তমৈথুনই প্রস্টেট ক্যান্সার রোধ করে। আচ্ছা এ ব্যাপারে তর্কবিতর্ক বাদ দিয়ে দেখা যাক, গবেষণার ফলাফল কী। পলিক্সেনি দিমিত্রোপুলু (পিএইচডি), রোসালিল্ড ঈলস (পিএইচডি, এফআরসিপি) এবং কেনেথ আর মিওয়ার (পিএইচডি) ৮৪০ জন মানুষের ওপর গবেষণা করেন। তারা এ ৮৪০ জনের যাবতীয় যৌনতথ্য সংগ্রহ করেন। এদের মধ্যে অর্ধেক ৬০ বছর বয়স হবার আগেই প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে, বাকি অর্ধেক হয়নি।তাদের এই গবেষণার ফলাফল ছিল বিস্ময়কর। “স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে না, কিন্তু হস্তমৈথুন করে। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মাঝে হস্তমৈথুন প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। যারা মাসে একবারেরও কম হস্তমৈথুন করে তাদের তুলনায়, এ বয়সে যারা সপ্তাহে ২-৭ বার হস্তমৈথুন করে তাদের ৬০ বছর বয়সে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৭৯% বেশি। আবার এই ২০-৩০ বয়সের মাঝে যারা হস্তমৈথুন থেকে দূরে থাকে, তাদের প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৭০% কম।” হস্তমৈথুন নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
 
▶️ হস্তমৈথুন আপনার পেশিগুলোকে দুর্বল করে ফেলবে
 
টেস্টোস্টেরোন হরমোন সুগঠিত মাংসপেশির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই হরমোন যদি আপনি হস্তমৈথুন করে ক্রমশ শেষ করে ফেলেন, তাহলে আপনার শরীর কীভাবে সুগঠিত থাকবে? একজন সুস্তগ মানুষের শরীর হবে সুগঠিত, স্টিলের মতো পেটানো, কঠিন ।
 
▶️ হস্তমৈথুন আপনাকে করে তুলবে চরম অমনোযোগী
 
২০০১ সালের একটি গবেষণার দেখা গেছে, হস্তমৈথুন করার ৩০ মিনিটের মধ্যে হস্তমৈথুনকারীর শরীরে Noradrenaline এর পরিমাণ অনেক কমে যায়। শরীরে Noradrenaline কমে যাবার ফলাফল কী? Noradrenaline°° হলো এমন একটি হরমোন, যা কোনো কিছুর প্রতি অখণ্ড মনোযোগ ধরে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ হরমোন আপনি হস্তমৈথুন করে কমিয়ে ফেলছেন! তাহলে মনোযোগ থাকবে কীভাবে! চিন্তা করে দেখুন, হস্তমৈথুন করার দিনটাতে আপনি ক্লাসে, পড়ার টেবিলে বা অন্যকোনো কাজে কি মনোযোগ দিতে পারেন, না সব সময় মাথার মধ্যে লাগামছাড়া চিন্তাভাবনা ঘোরাফেরা করে?
 
▶️ হস্তমৈথুন ডোপামিনের (Dopamine) কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়
 
পর্ন ও হস্তমৈথুন ডোপামিনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। Receptor Nerve গুলোর কার্যক্ষমতা হ্রাস করে দেয়, এমনকি একপর্যায়ে Receptor Nerve গুলো ধ্বংসও হয়ে যায়। ডোপামিনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে আরও অনেক নতুন সমস্যা।
i) বিষণ্ণতা
মানুষের আনন্দের অনুভূতি আসে মূলত ডোপামিন থেকেই। আর কেউ যখন তার ডোপামিন খরচ করে এই হস্তমৈথুন থেকে পাওয়া সস্তা আনন্দের পেছনে, তখন আর তার হস্তমৈথুন ছাড়া অন্য কিছু ভালো লাগে না। বিষণ্ণতায় ভুগতে শুরু করে। হতাশী, উৎকণ্ঠা, কর্মক্ষেত্রের মেন্টাল স্ট্রেস থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য অনেকেই
মুক্ত বাতাসের খোঁজে হস্তমৈথুন করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে হতাশী, উৎকণ্ঠা, মেন্টাল স্ট্রেস আবারও ফিরে আসে শতগুণ শক্তিশালী হয়ে।
ii) আপনি হয়ে যাবেন অসামাজিক
হস্তমৈথুন করে করে ডোপামিনের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেললে মন চাইবে সব সময় অন্ধকার ঘরের কোণায় বসে পর্ন দেখে হস্তমৈথুন করতে। বন্ধুদের সাথে দেখা করা, আড্ডা দেয়া, দলবেঁধে ঘুরতে যাওয়া, এগুলো অবধারিতভাবেই বিরক্তিকর লাগবে। পর্ন দেখা বা হস্তমৈথুন করার উত্তেজনার কাছে মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার উত্তেজনা নিছকই দুধভাত।
iii) জীবনের ছোট ছোট ব্যাপারগুলো থেকে আপনি কম আনন্দ পাবেন
হস্তমৈথুন করে যদি আপনি ডোপামিন নিঃসরণকারী স্নায়ুগুলোকে দুর্বল বা একেবারে ধ্বংসই করে ফেলেন আর আপনার মস্তিষ্ক যদি ডোপামিনের স্বাভাবিক মাত্রা নির্ধারণ করতে না পারে, তাহলে নিত্যদিনের সেই সব ছোট ছোট বিষয় আপনাকে আনন্দ দেবে না যেগুলো থেকে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ অনিন্দ পেয়ে থাকে। যেমন ধরুন, ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানো, ক্রিকেট খেলা, বৃষ্টিতে ভেজা, চাঁদনি পসর রাতে জ্যোৎস্না স্নান করা… এ কাজগুলো আপনার কাছে মনে হবে একেবারেই বিরক্তিকর, অপ্রয়োজনীয় আদিখ্যেতা।
iv) আপনি হয়ে পড়বেন উদ্যমহীন, কুঁড়ে
তরতাজা অনুভূতি নিয়ে দিন শুরু করলেন, নতুন সূর্য আর সকালের এক কাপ চা অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ার রসদ দিলো আপনাকে। যেকোনো কারণেই হোক হস্তমৈথুন করে ফেললেন, তারপর আপনার আর কিছু করার ইচ্ছে হবে না। ঝিমিয়ে, ঘুমিয়ে দিন পার করে দিতে ইচ্ছে করবে।
 
কেন এমনটা হয়?
 
আমরা হয়তো অনেকেই অ্যাড্রেনালিন (Adrenaline) হরমোনের নাম শুনেছি। অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিগুলো থেকে এর উৎপত্তি। মূলত যখন খুব বেশি ধকল যায় তখন এ হরমোন নিঃসৃত হয়। এর ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায়। আর ডোপামিন নিঃসরণের ফলেই অ্যাড্রেনালিনের নিঃসরণ শুরু হয়। অতিরিক্ত ডোপামিন বের হলে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিনও বের হতে শুরু করে। এর মধ্যে আবার ডোপামিন সংশ্লেষিত হয়ে তৈরি হয় নরঅ্যাড্রেনালিন (Noradrenaline) যা আমাদের রক্তে হরমোন হিসেবে থাকে। এদের বাহিনীতে যোগ দেয় আরেক স্ট্রেস হরমোন। কটিসোল (Cortisol)। এই তিনে মিলে আমাদের হার্ট রেট বাড়াতে থাকে, শক্তি সঞ্চয়কারী কোষগুলো থেকে গ্লুকোয় বের করে আনে এবং স্কেলেটাল পেশিগুলোতে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে। আর এসবই আমাদের শরীরে মারাত্মক ধকল সৃষ্টি করে। ফলে আমরা অনেক সময় উদ্যমহীন, ক্লান্ত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। হস্তমৈথুনের কারণে ঠিক এ ঘটনাগুলোই ঘটে। নতুন কিছু করার আগ্রহ থাকে না। মন চায় ঘুমিয়ে বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দিতে। টেবিলে ফাইলের স্তূপ হয়, ক্লাসের পড়া জমতেই থাকে, কিন্তু কিছুই করতে ইচ্ছে করে না।
 
▶️ হস্তমৈথুন আপনার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়।
 
হস্তমৈথুনের ঠিক পরের অবস্থাটার কথা চিন্তা করুন। আপনি হস্তমৈথুন করে ঠান্ডা হয়ে শুয়ে পড়লেন বিছানায়। বদ্ধ ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে বাতাসে দলবেঁধে ভেসে বেড়াতে লাগল জীবনের সেই সব প্রশ্নগুলো, যার উত্তর আপনি এখনো পাননি। একে একে আসতে শুরু করল জীবনের হিসেব না-মেলা সব ঘটনাগুলো। মন খারাপ। হওয়া শুরু হলো আপনার। “ধুর! শালা! আমার জীবনটা তো পুরোপুরিই নষ্ট হয়ে গেল, আমি একটা ফেলটুস, আমি একটা গান্ডু, আমি কিছু করতে পারি না, আমার দ্বারা কিসসু হবে না।”
 
বড় হতে হলে, সফল হতে হলে, আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ফ্যাক্টর। হস্তমৈথুন। আপনার নিজের ওপর বিশ্বাসটাকে একেবারেই খুঁড়িয়ে দেয়। এক-দুমাস হস্তমৈথুন থেকে দূরে থাকুন। দেখবেন আপনার ভেতরটা আত্মবিশ্বাসে টইটম্বর হয়ে আছে। এ ছাড়া হস্তমৈথুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি করে।
 
বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)