১.
স্ত্রী -পুরুষদের জানা উচিত , 'মনই প্রাণকে বশীভূত করে এবং প্রাণই মনকে
বশীভূত করে', প্রাণায়ামের মাধ্যমে মনকে শুদ্ধি করে সমগ্র সৃষ্টির
পদার্থবিজ্ঞানকে গ্রহণ করতে হবে।
[ যজুর্বেদ ভাবার্থ ১৩.৫৫ ]
২.
একজন ধার্মিক ন্যায়াধীশ যেমন প্রজাদের রক্ষা করেন, তেমনি প্রাণায়াম
প্রভৃতির মাধ্যমে শুদ্ধ প্রাণ যোগীকে সমস্ত দুঃখ থেকে রক্ষা করে। একজন
বিদুষী মা যেমন তার সন্তানদের বিদ্যা ও সুশিক্ষার মাধ্যমে উন্নত করেন,
তেমনি যোগাভ্যাস একজন যোগীকে উন্নত করে।
[ যজুর্বেদ ভাবার্থ ১৯.৯০ ]
৩.
যেকোন ব্যক্তি স্তুতি, ধারণাবতী বুদ্ধি এবং দুঃখ নিরাময়কারী ঔষধ প্রেরক
বিদ্বান ব্যতীত এবং প্রাণায়াম ব্যতীত কেউ বিজ্ঞান, সাংসারিক সুখ তথা
মোক্ষসুখ লাভ করতে পারে না ।
[ ঋগ্বেদ ভাবার্থ ১.৪৩.৪ ]
৪.
যে ব্যক্তি শুদ্ধবুদ্ধি ও যোগ অভ্যাস দ্বারা সর্বসুখদায়ী তথা সমস্ত জগতের
ধারণকর্তা বায়ুকে প্রাণায়ামকালে বশ করেন, তিনিই সমস্ত সুখ লাভ করেন।
[ ঋগ্বেদ ভাবার্থ ৬.৪৯.৪]
৫. মানবদের প্রাণায়াম ইত্যাদির সাহায্যে সমস্ত পাপপ্রবৃত্তি দূর করে স্বয়ং সুখী হওয়া উচিত এবং অন্যদেরও তা লাভ করানো উচিত।
[ যজুর্বেদ ভাবার্থ ৩৯.১২ ]
৬.
যেভাবে প্রাণায়াম ইত্যাদির দ্বারা শুদ্ধ বায়ু=প্রাণ সমৃদ্ধি উৎপন্ন করে
এবং কুঅভ্যাস দ্বারা গৃহীত বায়ু দারিদ্র্য উৎপন্ন করে, অনুরূপভাবে
[সৎকারপূর্বক] সংশ্লিষ্ট পণ্ডিতরা যেরকম রাজ্যের সমৃদ্ধি করে এবং অপমানিত
পণ্ডিতরা রাজ্যের ধ্বংস উপস্থিত করেন । সুশিক্ষা এবং সৎকার দ্বারা সুরক্ষিত
একজন বীর প্রহরীর মতো আচরণ করে শত্রুদের সাথে লড়াই করে, তেমনটি
রাজমানবরাও আচরণ করে প্রজাদের মধ্যে উত্তম সন্তান লাভ করবে ।
[ ঋগ্বেদ ভাবার্থ ৭.৫৬.২০]
৭.
যেভাবে যোগাভ্যাসের মাধ্যমে প্রাণবিদ্যা ও বায়ুবিকারের জ্ঞাতা ঔষধ
সেবনকারী ব্যক্তি আনন্দপূর্বক সম্পূর্ণ আয়ু ভোগ করেন, তেমনি অন্যান্য
মানুষও তাদের কাছ থেকে সেই জ্ঞান লাভ করে সম্পূর্ণ আয়ু ভোগ করা উচিত ।
[ ঋগ্বেদ ভাবার্থ ১.৩৭.১৫]
৮.
হরিণ যেমন অনবরত ঘাস খেয়ে সুখী হয়, তেমনি প্রাণবিদ্যার জ্ঞাতা ব্যক্তি
যুক্তি দ্বারা আহার বিহার করে মৃত্যু লাভ করে না। পুরো আয়ু ভোগ করে
সুখপূর্বক শরীর ত্যাগ করে ।
[ ঋগ্বেদ ভাবার্থ ১.৩৮.৫ ]
৯.
যারা প্রাণবিদ্যা জেনে তার উপযোগ করে , তারা বলবান ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে দুঃখ
এবং শত্রুদের পরাজিত করে উত্তম হাতি, অশ্ব, মানব, ধন ও বুদ্ধিযুক্ত হয়ে
সর্বদা পুষ্ট থাকে।
[ ঋগ্বেদ ভাবার্থ ১.৬৪.১৩ ]
১০.
হে মানবগণ ! যে বায়ু দ্বারা যোগীরা বিবিধপ্রকারের জ্ঞান লাভ করে, যার
মাধ্যমে সম্পূর্ণ জগৎ ও সমস্ত প্রাণী জীবনধারণ করে তার অনুশীলন দ্বারাই
ঈশ্বরকে জেনে তোমরাও আনন্দ লাভ করো ।
[ ঋগ্বেদ ভাবার্থ ৬.৪৯.৫ ]
