বৈদিক যুগের পর থেকে যতই হিন্দু সমাজ বেদজ্ঞান থেকে দূরে সরে পড়েছে ততই নৈতিক অবক্ষয় এর সৃষ্টি হয়েছে। এতই দুর্ভাগা এই হিন্দুজাতি যে আজ পূজামণ্ডপগুলোতে অনেক ভক্ত আরাধনা করলেও অনেকে বসায় মদ-জুয়ার আসর।অথচ এইসব বন্ধে তেমন কোন তৎপরতা চোখে পড়েনা।বাল্যকাল হতে ধর্মশিক্ষা হতে বঞ্চিত হিন্দুদের কাছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো হয়ে ওঠে অসার,নাচ-গানের উপলক্ষ মাত্র।
বৈদিক ধর্মে যেকোন নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যাবহার অত্যন্ত গর্হিত কর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।
নকী রেবন্তং সখ্যায় বিন্দসে পীয়ন্তি তে সুরাশ্ব।
যদা কৃণোষি নদনুং সমূহস্যাদিত পিতেব হূয়সে।
ঋগ্বেদ ৮:২১:১৪
অনুবাদ - তোমার নেশাকারী সঙ্গী/বন্ধু
যদি সবচেয়ে বিদ্বান বা ধনীও হয়,
তারপরও বজ্রপাততূল্য এবং অবশ্য
পরিত্যজ্য।
সুরা বৈ মলমন্নানাং পাপ্মা চ
মলমুচ্যতে তস্মান ব্রাহ্মন
রাজন্যোবৈশ্যশ্চ ন সুরাং পিবেত্
মনুসংহিতাঃ ১১:৯৪
অনুবাদ - সুরা হল অন্নের মলস্বরুপ,
পাপরুপ তাই ব্রাহ্মন,
ক্ষত্রিয় নির্বিশেষে সকলের জন্যই অবশ্য
বর্জনীয়।
বৈদিক ধর্মালম্বীদের জন্য সাতটি মহাপাপ বর্ণনা করেছে পবিত্র বেদ-
সপ্ত মর্যাদাঃ কবয়স্ততক্ষুস্তাসামেকামিদভ্যংহুরো গাত।
আযোর্হ স্কম্ভ উপমস্য নীলে পথাম বিসর্গে ধরুনেষু তস্থৈ।।
ঋগবেদ ১০.৫.৬
"সপ্ত হল সেই মর্যাদাসমূহ যা ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করে দেয়।যে এই নিষেধগুলোর একটিও লঙ্ঘন করে তবে সে পাপী হয়।পরমাত্মা এই মহাবিশ্বের ভিত্তি এবং মানবতার ধারক।যে সমস্ত জীবন এই নিষেধগুলো মেনে চলে সে তার সর্বোচ্চ লক্ষে উপনীত হয়।“
কি সেই সপ্ত মহাপরাধসমূহ ? মহর্ষি যাস্ক তাঁর নিরুক্ত সংহিতায় বর্ননা করেছেন,
"চুরি,অশ্লীলতা ও ব্যভিচার,হত্যা,ভ্রুননিধন,অগ্নিসংযোগ,নেশা/ মদ্যপান,অসততা।"
বৈদিক শিক্ষায় সমাজকে শিক্ষিত করে তুলুন,গড়ে তুলুন অবক্ষয়মুক্ত সমাজব্যাবস্থা।
Nice Article
ReplyDeleteচমৎকার!!!
ReplyDeleteঅসাধারণ। জয় শ্রী রাম।
Delete