পৃথিবীতে প্রায় সকল প্রচলিত ধর্মমতে নারীকে পুরুষের তুলনায় ছোট,নিচু করে দেখা হয়।নারী বা স্ত্রী অসহায়,অক্ষম আর পুরুষ বা স্বামী তার রক্ষক,তার দেবতা।পৌরানিক ও আব্রাহামিক উভয়ক্ষেত্রেই এই অবস্থা!আব্রাহামিক ধর্মগুলোর ধর্মগ্রন্থে তো সরাসরি স্ত্রীকে মারধোর করার অধিকারও দেয়া হয়েছে!কয়েকদিন আগেও শরীয়া আইন অনুসারে আফগানিস্তানে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীদের প্রহার করার আইনত বৈধতা দেয়া হয়েছে!এছাড়া পাকিস্তান সহ
শরীয়া আইনযুক্ত দেশসমূহতে সাক্ষ্যদান সহ সকল কাজে দুইজন নারীকে একজন পুরুষের সমতূল্য ধরা হয় কেননা শরীয়া আইন মোতাবেক একজন নারীর যোগ্যতা ও বুদ্ধিমতা নাকি একজন পুরুষের অর্ধেক!
আজ আমরা দেখবো সত্য ও শুদ্ধ জ্ঞান পবিত্র বেদ এ বিষয়ে কি বলেছে।
ইন্দ্রশ্চিদ ঘা তদব্রভীত স্ত্রীয়া অশাস্যং মনঃ।
উতো অহ ক্রতুঃ রঘুম।।
সপ্তী চিদ্ঘা মদচ্যুতা মিথুনা বহতো রথম্।
এবেদ্দূর্বষ্ণা উত্তরা।।
ঋগ্বেদ এর ৮.৩৩.১৭,১৮
অর্থাৎ, ঈশ্বরের এই আজ্ঞা যে নারীদের মনঅশাসনযোগ্য। নিশ্চয়ই প্রভু তার প্রজ্ঞাকে বেগবান করেছে। দুইদিকে দুই তেজী অশ্ব যেমন রথকে সঠিকভাবে দ্রুতগামী করে ঠিক তেমনি স্বামী ও স্ত্রীর সমতা ই সংসারের রথকে পরিপূর্নভাবে বহন করতে পারে।
(অনুবাদঃ হরিশরন সিদ্ধ্যান্তালঙ্কার)
Rigveda Bhasya in Hindi translated by Pt Harisharan Siddhantalankar
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি