আলোক রশ্মির ধর্ম প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সূর্যের আলো ৭ (সাত) টি রশ্মি দ্বারা গঠিত । সূর্যের আলোকে যদি প্রিজমের মধ্য দিয়ে পরিচালনা করা হয় তা হলে এর ৭ (সাত) টি রশ্মি পৃথক হয়ে যায়।সর্বকালের মহাবিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনকে জানাই স্বশ্রদ্ধ প্রনাম তাঁর অনন্যসাধারন এই আবিস্কার এর জন্য। অনেক সময় বৃষ্টির পর আকাশে যে রংধনু সৃষ্টি হয় সেখানে সূর্যের আলো ৭ (সাত) টি রশ্মিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিষয়টি বেদের আলোকে ব্যাখ্যা করা যায়।
আলোর ৭ (সাত) টি রশ্মি আছে ---
ত্রিমূর্ধানং সপ্তরশ্মি গৃণীষেহনূনমগ্নিং পিত্রোরুপস্থে।
নিষত্তমস্য চরতো ধ্রুবস্য বিশ্বা দিবো রোচনাপপ্রিবাংসম ।।
(ঋগবেদ১/১৪৬/১)
অনুবাদ-
ত্রিজগতব্যাপীত, সপ্তরশ্মিযুক্ত আলোকদাতা ও বিকলতারহিত অগ্নিকে স্তব কর । সর্বত্রগামী, অবিচলিত,দ্যোতমান এবং অভীষ্টবর্ষী অগ্নির তেজ চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইতেছে ।
এই মন্ত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, অগ্নি বা আলোকে সপ্তরশ্মি বিশিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।মূল সংস্কৃত মন্ত্রে সপ্তরশ্মিং শব্দ আছে । যার অর্থ ৭ (সাত) টি রশ্মি।
আলো সপ্ত সংখ্যক রশ্মি উত্পন্ন করে ---
কবি র্ননিণ্যং বিদথানি সাধন্বষা যসেকং বিপিপানো অর্চাৎ ।
দিব ইথা জীজনৎসপ্ত কারুনহা চিচ্চক্রু র্বয়ুনা গৃনন্ত ।।
(ঋগবেদ ৪/১৬/৩)
অনুবাদ-
কবি যেরূপ গুঢ় অর্থ সম্পাদনকরে, সেরূপ অভীষ্টবর্ষী পরমাত্মা ইন্দ্র কার্যসমূহ সম্পাদন করেন ।মনুষ্য যখন সেচনযোগ্য সোম(ক্রমশ উন্নতিযোগ্য আধ্যাত্মিক চেতনা) অধিক পরিমাণে পান(অর্জন) করে হৃষ্টহন তখন অন্তর হইতে যথার্থই সপ্ত সংখ্যক রশ্মি(জ্ঞানালোক ) উৎপাদিত হয় ।স্ত্তয়মান রশ্মিসমূহ দিবাভাগেও মনুষ্যের জ্ঞান সম্পাদন করে ।
এই মন্ত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, সূর্য থেকে ৭ (সাত) টি রশ্মি উৎপাদিত হয় ।
সপ্ত রশ্মি দ্বারা আলো গঠিত---
অয়ং দ্যাবপৃথিবী বি ষ্কপ্রায়দয়ং রথমযুনক্ সপ্তরশ্মিম্ ।
অয়ং গোষু শচ্যা পক্কমন্তঃ সোমো দাধার দশয়ন্ত্রমুৎসম্। ।
(ঋগবেদ- ৬/৪৪/২৪)
অনুবাদ-
এ দিব্য শক্তি দ্যু ও পৃথিবী লোককে স্ব স্ব স্থানে সংস্থাপিত করিয়াছে । এ দিব্য শক্তি সূর্যের সপ্তরশ্মিময় রথ যোজিত করিয়াছে । এ দিব্যশক্তি স্বেচ্ছানুসারে ধেণুগনের মধ্যে পরিণত দুগ্ধের উৎস স্থাপন করিয়াছেন ।
এই মন্ত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, সূর্যের আলোর মধ্যে সাতটি রশ্মি আছে।
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি