গত দুই পর্বে আমরা দেখেছি কৃত্তিবাসী রামায়ণ যেটা আমরা বাঙ্গালীরা পড়ি তা আসলে মূল রামায়ণ তথা বাল্মীকি মুনির রামায়ণ থেকে অনেকাংশে আলাদা।আমরা প্রথম পর্বে দেখেছি যে আসলে রাম কখনো দুর্গা পুজা করেন নি।দ্বিতীয় পর্বে আমরা দেখেছি যে বাল্মীকি মুনির প্রথম জীবনে তর্করত্ন নামক দস্যু থাকার কাহিনী আসলে একদম ই কবি কৃত্তিবাস কর্তৃক লেখা নতুন গল্প, বাস্তবে বাল্মীকি মুনি আগে থেকেই একজন প্রসিদ্ধ ঋষি ছিলেন।সামনের পর্বগুলোতে আমরা আরও দেখব যে কিভাবে কৃত্তিবাসী রামায়ণ আসলে মূল রামায়নের বাংলা রিমেক মাত্র যেখানে অনেক নতুন নতুন গল্প কবি কৃত্তিবাস যোগ করেছেন বইটিকে বাংলার আবেগের সাথে মিশিয়ে নেবার জন্যে।
আজকে আমরা দেখব রামায়ণ কখন রচিত হয়েছিল।আমরা জানি তখন ই একটি ঘটনা তখন ই
লিপিবদ্ধ করা যায় যখন তা সংগঠিত হয়।ঘটনা ঘটার আগেই তা লেখা হয়ে যাওয়া
অবাস্তব
বিষয়।কিন্তু হ্যাঁ এমন মজার একটি বিষয় ই আমাদের বাংলা কৃত্তিবাসী রামায়ণে লিখে গেছেন মহাকবি কৃত্তিবাস।তিনি লিখেছেন রামায়ণ এর ঘটনাসমূহ হবার ৬০০০০ বছর পূর্বেই ব্রহ্মার আশীর্বাদে নারদের কথা শুনে বাল্মীকি মুনি রামায়ণ রচনা করেন!
কৃত্তিবাস রামায়নের আদিকাণ্ড এর ৪ নং সর্গ থেকে তার আংশিক উদ্ধৃতি তুলে ধরছি-
ব্রহ্মা পাঠাইয়া দিল তথা নারদেরে।
বাল্মীকিরে উপদেশ করিবার তরে।।
যেখানে বাল্মীকি মুনি ভাবেন বসিয়া।
সেখানে নারদ মুনি উত্তরিল গিয়া।।
নারদে দেখিয়া মুনি সম্ভ্রমে উঠিল।
দণ্ডবৎ করিয়া আসন তাঁরে দিল।।
সেই শ্লোক শুনাইল মুনি নারদেরে।
নারদ করিয়া অর্থ বুঝাইল তারে।।
এই শ্লোকছন্দে তুমি কর রামায়ণ ।
উপদেশ কহি, জানি তুমি সে ভাজন ।।
সূর্য্যবংশে দশরথ হবে নরপতি।
রাবণ বধিতে জন্মিবেন লক্ষ্মীপতি।।
শ্রীরাম লক্ষ্মণ আর ভরত শত্রুঘ্ন।
তিন গর্ভে জন্মিবেন এই চারি জন।।
অর্থাৎ ঘটনাগুলো হবার আগেই নারদ মুনি ঋষি বাল্মীকি কে বলে দিচ্ছেন কি কি ঘটবে এবং তা লিখতে বলছেন!
কিন্তু মূল বাল্মীকি রামায়ণে এরকম কোন অদ্ভুত অস্মভব কাহিনী নেই।মূল বাল্মীকি রামায়ণে শ্রী রাম ঋষি বাল্মীকি এর সমসাময়িক মানুষ ছিলেন যা লিখা আছে বাল্মীকি রামায়নেই।
বাল্মীকি রামায়ণএ ঋষি বাল্মীকি নারদকে জিজ্ঞেস করছেন-
কোনস্মিন সাম্প্রতং লোকে গুণবান কশ্চ বীর্যবান।
ধর্মজ্ঞশ্চ কৃতজ্ঞশ্চ সত্যবাক্যো দৃঢ়ব্রত।।
বাল্মীকি রামায়ণ ১.১.২
অর্থাৎ সাম্প্রতিক কালে কোন ব্যাক্তি বিরাজ করছেন যিনি জগতে শক্তি,সততা,ধর্ম,কৃতজ্ঞতা এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞার জন্য শ্রেষ্ঠ?
তখন নারদ উত্তর দিলেন-
ইক্ষাকুবংশভবো রামনাম জনশ্রুত
বাল্মীকি রামায়ণ ১.১.৮
অর্থাৎ ইক্ষাকু বংশজাত তিনি রামনামে সকলের কাছে খ্যাত।
এবং বাল্মীকি রামায়ণ ১.৪.৪ এ দেখা যাচ্ছে শ্রী রামের পুত্র লব এবং কুশ এর সাথে বাল্মীকি এর দেখা হয় এবং লব ও কুশ তাঁর চরণ ধরে নমস্কার করেন।
১.৪.৬ এ দেখা যাচ্ছে বাল্মীকি দুই ভাইকে দেখে তাদেরকে বেদশিক্ষা দেন এবং আশীর্বাদ করেন।
অর্থাৎ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ৬০০০০ বছর আগে নয় বরং সমসাময়িক কালেই তিনি রামায়ণ রচনা করেছিলেন।
ওম শান্তি শান্তি শান্তি শান্তি
বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক
প্রথম দুই পর্ব পড়তে চাইলে ক্লিক করুন নিচের লিংক এ।
শ্রী রাম দূর্গাপুজা করেন নি,পর্ব ১- https://www.agniveerbangla.org/2018/05/blog-post.html
বাল্মীকি রত্নাকর দস্যু ছিলেন না,পর্ব ২ https://www.agniveerbangla.org/2018/05/blog-post_17.html
বিষয়।কিন্তু হ্যাঁ এমন মজার একটি বিষয় ই আমাদের বাংলা কৃত্তিবাসী রামায়ণে লিখে গেছেন মহাকবি কৃত্তিবাস।তিনি লিখেছেন রামায়ণ এর ঘটনাসমূহ হবার ৬০০০০ বছর পূর্বেই ব্রহ্মার আশীর্বাদে নারদের কথা শুনে বাল্মীকি মুনি রামায়ণ রচনা করেন!
কৃত্তিবাস রামায়নের আদিকাণ্ড এর ৪ নং সর্গ থেকে তার আংশিক উদ্ধৃতি তুলে ধরছি-
ব্রহ্মা পাঠাইয়া দিল তথা নারদেরে।
বাল্মীকিরে উপদেশ করিবার তরে।।
যেখানে বাল্মীকি মুনি ভাবেন বসিয়া।
সেখানে নারদ মুনি উত্তরিল গিয়া।।
নারদে দেখিয়া মুনি সম্ভ্রমে উঠিল।
দণ্ডবৎ করিয়া আসন তাঁরে দিল।।
সেই শ্লোক শুনাইল মুনি নারদেরে।
নারদ করিয়া অর্থ বুঝাইল তারে।।
এই শ্লোকছন্দে তুমি কর রামায়ণ ।
উপদেশ কহি, জানি তুমি সে ভাজন ।।
সূর্য্যবংশে দশরথ হবে নরপতি।
রাবণ বধিতে জন্মিবেন লক্ষ্মীপতি।।
শ্রীরাম লক্ষ্মণ আর ভরত শত্রুঘ্ন।
তিন গর্ভে জন্মিবেন এই চারি জন।।
অর্থাৎ ঘটনাগুলো হবার আগেই নারদ মুনি ঋষি বাল্মীকি কে বলে দিচ্ছেন কি কি ঘটবে এবং তা লিখতে বলছেন!
কিন্তু মূল বাল্মীকি রামায়ণে এরকম কোন অদ্ভুত অস্মভব কাহিনী নেই।মূল বাল্মীকি রামায়ণে শ্রী রাম ঋষি বাল্মীকি এর সমসাময়িক মানুষ ছিলেন যা লিখা আছে বাল্মীকি রামায়নেই।
বাল্মীকি রামায়ণএ ঋষি বাল্মীকি নারদকে জিজ্ঞেস করছেন-
কোনস্মিন সাম্প্রতং লোকে গুণবান কশ্চ বীর্যবান।
ধর্মজ্ঞশ্চ কৃতজ্ঞশ্চ সত্যবাক্যো দৃঢ়ব্রত।।
বাল্মীকি রামায়ণ ১.১.২
অর্থাৎ সাম্প্রতিক কালে কোন ব্যাক্তি বিরাজ করছেন যিনি জগতে শক্তি,সততা,ধর্ম,কৃতজ্ঞতা এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞার জন্য শ্রেষ্ঠ?
তখন নারদ উত্তর দিলেন-
ইক্ষাকুবংশভবো রামনাম জনশ্রুত
বাল্মীকি রামায়ণ ১.১.৮
অর্থাৎ ইক্ষাকু বংশজাত তিনি রামনামে সকলের কাছে খ্যাত।
এবং বাল্মীকি রামায়ণ ১.৪.৪ এ দেখা যাচ্ছে শ্রী রামের পুত্র লব এবং কুশ এর সাথে বাল্মীকি এর দেখা হয় এবং লব ও কুশ তাঁর চরণ ধরে নমস্কার করেন।
১.৪.৬ এ দেখা যাচ্ছে বাল্মীকি দুই ভাইকে দেখে তাদেরকে বেদশিক্ষা দেন এবং আশীর্বাদ করেন।
অর্থাৎ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ৬০০০০ বছর আগে নয় বরং সমসাময়িক কালেই তিনি রামায়ণ রচনা করেছিলেন।
ওম শান্তি শান্তি শান্তি শান্তি
বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক
প্রথম দুই পর্ব পড়তে চাইলে ক্লিক করুন নিচের লিংক এ।
শ্রী রাম দূর্গাপুজা করেন নি,পর্ব ১- https://www.agniveerbangla.org/2018/05/blog-post.html
বাল্মীকি রত্নাকর দস্যু ছিলেন না,পর্ব ২ https://www.agniveerbangla.org/2018/05/blog-post_17.html