দৈনিক বেদবাণী


এই সমগ্র সংসার নিরোগ এবং শুভচিন্তা যুক্ত হোক । যজুর্বেদ ১৬.৪                    সূর্য-এর আলোয় স্বয়ং আলোহীন চাঁদ আলোকিত হয় । ঋগ্বেদ ৫.৪০.৫                    প্রশংসনীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মাতৃভূমি— এই ত্রয়ী সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করে। ঋগ্বেদ ১.১৩.৯                    উত্তম জীবন লাভের জন্য আমাদের জ্ঞানীদের সাহচর্যে চলা উচিৎ। ঋগ্বেদ ১.১২.১৬                    যে ব্যক্তি সম্পদ বা সুখ বা জ্ঞান নিঃস্বার্থভাবে দান করে, সে-ই প্রকৃত মিত্র। ঋগ্বেদ ২.৩০.৭                    মানুষ কর্ম দ্বারাই জগতে মহত্ত্ব ও প্রসিদ্ধি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৩.৩৬.১                    হে পতি! তোমার স্ত্রীই গৃহ, স্ত্রীই সন্তানের আশ্রয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৩.৪                    পরমাত্মার নিয়ম বিনষ্ট হয় না; তা অটুট, অচল ও অপরিবর্তনীয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৪.১৮                    এই ধর্মের মার্গই সনাতন, এই পথে চলেই মানবগণ উন্নতি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৪.১৮.১                    পরমাত্মার নিকট কোনো মানুষই বড় বা ছোট নয়। সকল মানুষই সমান এবং পরস্পরের ভ্রাতৃস্বরূপ। ঋগ্বেদ ৫.৬০.৫                    যে ব্যক্তি অকারণে অন্যের নিন্দা করে, সে নিজেও নিন্দার পাত্র হয়। ঋগ্বেদ ৫.২.৬                    নিশ্চিতরূপে এই চতুর্বেদ কল্যাণপ্রদায়িনী এবং মানবকে জ্ঞান প্রদান করে ধারণকারিণী। ঋগ্বেদ ৫.৪৭.৪                    বীর মানবের জন্য পর্বতও সুগম হয়ে যায়। ঋগ্বেদ ৬.২৪.৮                    আমরা অন্যের সঞ্চিত পাপের কর্মফল ভোগ করি না। ঋগ্বেদ ৬.৫১.৭                    হে মিত্রগণ! ওঠো— উদ্যমী হও, সাবধান হও এবং এই সংসাররূপী নদীকে অতিক্রম করো। ঋগ্বেদ ১০.৫৩.৮







বেদোক্ত শবদাহ রীতি-পদ্ধতি।

অমৃতস্য পুত্রা
1
 
আজকাল লক্ষ্য করে দেখবেন যে চলতে ফিরতে কিংবা অনলাইনে এক শ্রেণীর সমালোচক অগ্নিতে শবদাহ নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কে হেয় প্রতিপন্ন করার কুচেষ্টা করছে। তাদের মান্যতায় হিন্দুদের এই শবদেহ সংস্কারের বৈদিক রীতি নাকি পরিবেশ দূষণ ঘটায়, এটি অমানবিক পদ্ধতি ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু তাদের খোলা ঝুড়ির তলার দিকে একটিবারও তাকিয়ে দেখে না যে ঝুড়ির তলা পর্যন্ত নেই!
যাইহোক হিন্দু রীতিতে শবদাহের সমাধি ও অগ্নিসংস্কার উভয় পদ্ধতিই বিদ্যমান তথাপি অগ্নিসংস্কারের মাধ্যমে শবদাহ বেদ ভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত এবং এর ফলে কোনরূপ পরিবেশ দূষণ বা অপচয়ের প্রাদুর্ভাব আসতেই পারে না যদি যথাবৎ বেদবিহীত প্রণালী অনুসরণ করা হয়।
পবিত্র বেদ ঈশ্বররীয় জ্ঞানের ভাণ্ডার যা মনুষ্য জীবনকে পরিচালিত করার জন্য পরমেশ্বর প্রেরিত এক অমৃতের ভাণ্ডার।

ঋগ্বেদের ১০ম মণ্ডলের ১৬তম সূক্ত (৭ম অষ্টক,৬ষ্ঠ অধ্যায়, ২০,২১ও ২২ তম ভার্গের ১৪ টি মন্ত্র কিংবা ১০ম মণ্ডল, ১ম অনুবাক, মন্ত্র নং১৩৫-১৪৮) মৃতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমন্ধিত।

এই সম্পূর্ণ সূক্তের দেবতা অগ্নি । দেহান্তের পর কৃত্রিম ও সর্বত্র সিদ্ধ অগ্নি শবদেহ কিভাবে ছেদন-ভেদন, বিভাগ করে থাকে তথা অজন্মা জীবাত্মা কে পুনঃ দেহ ধারণ করানোর যোগ্য বানিয়ে থাকে এবং অগ্নিসংস্কারের ঔষধতুল্য বর্ণন, শবাগ্নি পরিণাম এবং তার ঘৃতাদি আহুতি দ্বারা শবদহন, গন্ধদোষনিবারণ দ্বারা উপচার, শবাগ্নিতে দগ্ধ দেশভূমির প্রতিক্রিয়া, তা পুনঃ পূর্বের ন্যায় বানানো আদি-আদি প্রতীকারয়োগ্য বিষয়ের বর্ণন করা হয়েছে। মনুষ্য যে বিষয়ের উপর ধ্যান না দিয়ে এবং তদনুসার আচরণ না করে শবদহন আদি জনিত হানি তথা অপরাধ থেকে রেহাই পেতে পারে না।

(মন্ত্র দেবনাগরী)
मैन॑मग्ने॒ वि द॑हो॒ माभि शो॑चो॒ मास्य॒ त्वचं॑ चिक्षिपो॒ मा शरी॑रम् । 

य॒दा शृ॒तं कृ॒णवो॑ जातवे॒दोऽथे॑मेनं॒ प्र हि॑णुतात्पि॒तृभ्य॑: ॥ 
ऋग्वेद १०.१६.०१
(মন্ত্র বাংলায়)
মৈনমগ্নে বি দহো মাভি শোচো মাস্য ৎবচং চিক্ষিপো মা শরীরম্ । 

যদা শৃতং কৃণবো জাতবেদোঽথেমেনং প্র হিণুতাৎপিতৃভ্যঃ ॥ 
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০১   
ভাবার্থঃ শবদাহের জন্য এই পরিমাণ জ্বালানীর সামগ্রী হওয়া উচিত যাতে শব কাঁচা না রয়ে যায় আবার জ্বালানী বেশী পরিমাণে হলেও অগ্নি এদিক-ওদিক চারিদিকে জ্বলে শবদেহ রয়ে যাবে, সেজন্য ভালো মানের জ্বালানী প্রয়োগ করা উচিত তথা অঙ্গার চট-পট করে এদিকে-সেদিকে না উড়ে যায় কিংবা পড়ে না যায়,চটপট করেনা এমন জ্বালানীতে শব জ্বালানো উচিত, যাতে অগ্নির দ্বারা শব সূক্ষ্ম হশে সূর্যকিরণে প্রাপ্ত হতে পারে। ॥১॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)

(মন্ত্র দেবনাগরী)
शृ॒तं य॒दा कर॑सि जातवे॒दोऽथे॑मेनं॒ परि॑ दत्तात्पि॒तृभ्य॑: । 

य॒दा गच्छा॒त्यसु॑नीतिमे॒तामथा॑ दे॒वानां॑ वश॒नीर्भ॑वाति ॥
ऋग्वेद १०.१६.०२
(মন্ত্র বাংলায়)
শৃতং যদা করসি জাতবেদোঽথেমেনং পরি দত্তাৎপিতৃভ্যঃ । 

যদা গচ্ছাত্যসুনীতিমেতামথা দেবানাং বশনীর্ভবাতি ॥ 
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০২
 

ভাবার্থঃ আত্মার বিযুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই এই শরীর পৃথিবী আদি ভূতের সাথে মিলিত হতে আরম্ভ করে। অগ্নিতে জ্বলার কারণে সূর্যের রশ্মি শবদেহকে উক্ত ছেদন-ভেদন দ্রুত করে দেয়॥২॥
(ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)









(মন্ত্র দেবনাগরী)
सूर्यं॒ चक्षु॑र्गच्छतु॒ वात॑मा॒त्मा द्यां च॑ गच्छ पृथि॒वीं च॒ धर्म॑णा । 

अ॒पो वा॑ गच्छ॒ यदि॒ तत्र॑ ते हि॒तमोष॑धीषु॒ प्रति॑ तिष्ठा॒ शरी॑रैः ॥
ऋग्वेद १०.१६.०३
(মন্ত্র বাংলায়)
সূর্যং চক্ষুর্গচ্ছতু বাতমাত্মা দ্যাং চ গচ্ছ পৃথিবীং চ ধর্মণা । 

অপো বা গচ্ছ যদি তত্র তে হিতমোষধীষু প্রতি তিষ্ঠা শরীরৈঃ ॥ 
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০৩
ভাবার্থঃ দেহান্তরের পর দেহ অনন্তর নিজ নিজ কারণ পদার্থে বিলীন হয়ে যায় এবং জীব স্বকর্মানুসারে প্রকাশময়, জলময়, পৃথিবীময় লোকে তথা বৃক্ষাদি জড় যোনি পর্যন্তও প্রাপ্ত হয়ে থাকে ॥৩॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড) 


(মন্ত্র দেবনাগরী)
अ॒जो भा॒गस्तप॑सा॒ तं त॑पस्व॒ तं ते॑ शो॒चिस्त॑पतु॒ तं ते॑ अ॒र्चिः । 

यास्ते॑ शि॒वास्त॒न्वो॑ जातवेद॒स्ताभि॑र्वहैनं सु॒कृता॑मु लो॒कम् ॥
ऋग्वेद १०.१६.०४
(মন্ত্র বাংলায়)
অজো ভাগস্তপসা তং তপস্ব তং তে শোচিস্তপতু তং তে অর্চিঃ । 

যাস্তে শিবাস্তন্বো জাতবেদস্তাভির্বহৈনং সুকৃতামু লোকম্ ॥
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০৪
ভাবার্থঃ
দেহান্তের সাথেই অগ্নিতত্ত্ব যে সকল স্থানে তেজরূপে বর্তমান, যেমন পৃথিবী, অন্তরিক্ষ এবং ক্রমে দ্যুস্থানে নিয়ে যায়॥৪॥
(ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)

अव॑ सृज॒ पुन॑रग्ने पि॒तृभ्यो॒ यस्त॒ आहु॑त॒श्चर॑ति स्व॒धाभि॑: । 
आयु॒र्वसा॑न॒ उप॑ वेतु॒ शेष॒: सं ग॑च्छतां त॒न्वा॑ जातवेदः ॥
ऋग्वेद १०.१६.०५
অব সৃজ পুনরগ্নে পিতৃভ্যো যস্ত আহুতশ্চরতি স্বধাভিঃ । 
আয়ুর্বসান উপ বেতু শেষঃ সং গচ্ছতাং তন্বা জাতবেদঃ ॥
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০৫
ভাবার্থঃ দেহান্তের পর মৃত ব্যক্তির দুই প্রকারের পরিণাম অগ্নি দ্বারা হয়ে থাকে। এক,অগ্নিতে শবদহন হয়ে মৃতের শরীর সূক্ষ্ম কণারূপে সূর্যরশ্মি কে প্রাপ্ত করে। দ্বিতীয়, সর্বত্র বিদ্যমান সূক্ষ্মাগ্নি তেজ দেহান্তরের সাথে সাথেই জীব কে পুনর্জন্ম প্রাপ্ত করানোর জন্য প্রেরক বানিয়ে থাকে ॥৫॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)


यत्ते॑ कृ॒ष्णः श॑कु॒न आ॑तु॒तोद॑ पिपी॒लः स॒र्प उ॒त वा॒ श्वाप॑दः । 
अ॒ग्निष्टद्वि॒श्वाद॑ग॒दं कृ॑णोतु॒ सोम॑श्च॒ यो ब्रा॑ह्म॒णाँ आ॑वि॒वेश॑ ॥
ऋग्वेद १०.१६.०६
যত্তে কৃষ্ণঃ শকুন আতুতোদ পিপীলঃ সর্প উত বা শ্বাপদঃ । 

অগ্নিষ্টদ্বিশ্বাদগদং কৃণোতু সোমশ্চ যো ব্রাহ্মণাঁ আবিবেশ ॥ 
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০৬
ভাবার্থঃ অগ্নি ও সোম বিশ্বভৈষজ এবং সর্বভয়নিবারক পদার্থ। একথা এক আয়ুর্বেদিক ও রক্ষাবিজ্ঞানের সিদ্ধান্তে বর্ণিত। মনুষ্য-জীবনে ভয়ানক পক্ষী, কৃমি, সর্প ও ব্যাঘ্রাদি প্রাণি হতে প্রাপ্ত ভয় ও পীড়ার নিবারণ অগ্নি এবং সোম দিয়ে করা উচিত। তথা উক্ত জন্তু দ্বারা আক্রমিত হয়ে মৃত মনুষ্য কে অগ্নি সোম দ্বারা শবদহন করানোর ফলে রোগসংক্রমনের প্রতিকার হয়ে থাকে, কেননা এরূপ না করে অন্য প্রাণী ঐসকল প্রাণীর বিষক্রিয়াদি থেকে বাঁচতে পারে না। ॥৬॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)


अ॒ग्नेर्वर्म॒ परि॒ गोभि॑र्व्ययस्व॒ सं प्रोर्णु॑ष्व॒ पीव॑सा॒ मेद॑सा च । 
नेत्त्वा॑ धृ॒ष्णुर्हर॑सा॒ जर्हृ॑षाणो द॒धृग्वि॑ध॒क्ष्यन्प॑र्य॒ङ्खया॑ते ॥
ऋग्वेद १०.१६.०७
অগ্নের্বর্ম পরি গোভির্ব্যযস্ব সং প্রোর্ণুষ্ব পীবসা মেদসা চ । 

নেত্ত্বা ধৃষ্ণুর্হরসা জর্হৃষাণো দধৃগ্বিধক্ষ্যন্পর্যঙ্খয়াতে ॥
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০৭
ভাবার্থঃ শবদহন বেদীর পরিমাপ এরূপ হতে হবে যেন মৃতের শরীর অনায়াসে পুরোপুরি বেদীতে এসে যায় এবং মৃতের প্রত্যেক নস, নাড়ী, মাংস, চর্বি আদি অংশে অগ্নি ভালভাবে প্রবেশ করতে পারে। যে ব্যক্তি শবদহন করাবেন তাকে খেয়াল রাখতে হবে, চিতায় অগ্নি এভাবে জ্বলবে যেন তা আবার অতিতীক্ষ্ণ ও বলবান হয়ে জলন্ত শবকে এদিক-ওদিকে না ফেলে দেয়। ॥৭॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড) 


इ॒मम॑ग्ने चम॒सं मा वि जि॑ह्वरः प्रि॒यो दे॒वाना॑मु॒त सो॒म्याना॑म् । 
ए॒ष यश्च॑म॒सो दे॑व॒पान॒स्तस्मि॑न्दे॒वा अ॒मृता॑ मादयन्ते ॥
ऋग्वेद १०.१६.०८
ইমমগ্নে চমসং মা বি জিহ্বরঃ প্রিয়ো দেবানামুত সোম্যানাম্ । 

এষ যশ্চমসো দেবপানস্তস্মিন্দেবা অমৃতা মাদয়ন্তে ॥
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০৮
ভাবার্থঃ
শবগন্ধ প্রতিকারার্থে অন্ত্যেষ্টিকর্মের সময় অগ্নিতে ঘৃত এবং সুগন্ধ পদার্থের আহুতি দিতে হবে। এই আহুতি শবদোষ দূর করে সূর্য তথা চন্দ্রমার কিরণের ন্যায় অনুকূলতা প্রদান করে , বিশেষতঃ সূর্যরশ্মিকে সুখকারক বনিয়ে থাকে।॥৮॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)


क्र॒व्याद॑म॒ग्निं प्र हि॑णोमि दू॒रं य॒मरा॑ज्ञो गच्छतु रिप्रवा॒हः । 
इ॒हैवायमित॑रो जा॒तवे॑दा दे॒वेभ्यो॑ ह॒व्यं व॑हतु प्रजा॒नन् ॥ 
ऋग्वेद १०. १६.०९
ক্রব্যাদমগ্নিং প্র হিণোমি দূরং যমরাজ্ঞো গচ্ছতু রিপ্রবাহঃ । 

ইহৈবায়মিতরো জাতবেদা দেবেভ্যো হব্যং বহতু প্রজানন্ ॥ 
ঋগ্বেদ ১০.১৬.০৯
ভাবার্থঃ ঘৃত ও সুগন্ধি কপূর আদি বস্তুর আহুতিতে শবদুর্গন্ধবাহক অগ্নিজ্বালার শান্তি হয় এবং সুগন্ধিত হব্যপ্রসারক অগ্নিজ্বালা উৎপন্ন হয়। ॥৯॥

(ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)
यो अ॒ग्निः क्र॒व्यात्प्र॑वि॒वेश॑ वो गृ॒हमि॒मं पश्य॒न्नित॑रं जा॒तवे॑दसम् । 
तं ह॑रामि पितृय॒ज्ञाय॑ दे॒वं स घ॒र्ममि॑न्वात्पर॒मे स॒धस्थे॑ ॥
ऋग्वेद १०. १६.१०
যো অগ্নিঃ ক্রব্যাৎপ্রবিবেশ বো গৃহমিমং পশ্যন্নিতরং জাতবেদসম্ । 

তং হরামি পিতৃয়জ্ঞায় দেবং স ঘর্মমিন্বাৎপরমে সধস্থে ॥
ঋগ্বেদ ১০.১৬.১০

ভাবার্থঃ চিতাগ্নিতে প্রদত্ত হোমাহুতি মৃতের ভিতরে থাকা শবগন্ধ দূর করে, যার দ্বারা তাঁর জীবন, প্রাণে খারাপ আসেনা, সূক্ষ্ম হয়ে উপরে আকাশে শবগন্ধ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।॥১০॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)

यो अ॒ग्निः क्र॑व्य॒वाह॑नः पि॒तॄन्यक्ष॑दृता॒वृध॑: । प्
रेदु॑ ह॒व्यानि॑ वोचति दे॒वेभ्य॑श्च पि॒तृभ्य॒ आ ॥ ऋ
ग्वेद १०. १६.११
যো অগ্নিঃ ক্রব্যবাহনঃ পিতৄন্যক্ষদৃতাবৃধঃ । 

প্রেদু হব্যানি বোচতি দেবেভ্যশ্চ পিতৃভ্য আ ॥ 
ঋগ্বেদ ১০.১৬.১১
ভাবার্থঃ শবাগ্নিতে ঘৃতাদি হব্য দেওয়ার কারনে শবমাংসের চটপটা শব্দ দূর করে হব্যের সরসর ধ্বনির সাথে উক্ত অগ্নি দেবযজ্ঞ এবং পিতৃযজ্ঞের রূপ ধারণ করে॥১১॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড)


उ॒शन्त॑स्त्वा॒ नि धी॑मह्यु॒शन्त॒: समि॑धीमहि । 
उ॒शन्नु॑श॒त आ व॑ह पि॒तॄन्ह॒विषे॒ अत्त॑वे ॥
ऋग्वेद १०. १६.१२
উশন্তস্ত্বা নি ধীমহ্যুশন্তঃ সমিধীমহি । 

উশন্নুশত আ বহ পিতৄন্হবিষে অত্তবে ॥
ঋগ্বেদ ১০.১৬.১২
ভাবার্থঃ সংস্কারকার্য (ষোড়শ সংস্কার তন্মধ্যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বা শবদাহ অন্তর্ভুক্ত)এবং মঙ্গলিক কার্যে অগ্নিহোম করা উচিত ॥১২॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড) 


यं त्वम॑ग्ने स॒मद॑ह॒स्तमु॒ निर्वा॑पया॒ पुन॑: । 
कि॒याम्ब्वत्र॑ रोहतु पाकदू॒र्वा व्य॑ल्कशा ॥
ऋग्वेद १०. १६.१३
যং ৎবমগ্নে সমদহস্তমু নির্বাপয়া পুনঃ । 
কিয়াম্ব্বত্র রোহতু পাকদূর্বা ব্যল্কশা ॥
ঋগ্বেদ ১০.১৬.১৩
ভাবার্থঃ শবাগ্নিতে দগ্ধ স্থানকে প্রথমে অগ্নি থেকে রহিত করতে হবে, পুনঃ সেস্থানে পর্যাপ্ত জলসিঞ্চন করতে হবে যাতে সেখানে দূর্বাঘাস উৎপন্ন হতে পারে। ॥১৩॥
  (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড) 


शीति॑के॒ शीति॑कावति॒ ह्लादि॑के॒ ह्लादि॑कावति । 
म॒ण्डू॒क्या॒३॒॑ सु सं ग॑म इ॒मं स्व१॒॑ग्निं ह॑र्षय ॥
ऋग्वेद १०. १६.१४
শীতিকে শীতিকাবতি হ্লাদিকে হ্লাদিকাবতি । 

মণ্ডূক্যা সু সং গম ইমং স্বগ্নিং হর্ষয় ॥
ঋগ্বেদ ১০.১৬.১৪
ভাবার্থঃ শবদাহ পশ্চাৎ সেস্থানের ভূমির উপচার এরূপ হতে হবে যেন সেখানে সুশীতল দূর্বা এবং সুগন্ধলতা জন্মে ভূমি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং মণ্ডকপর্ণের (এক প্রকার শীতলতা প্রদায়ী উদ্ভিদ) সাথে সুন্দর দেখতে লাগে, শবাগ্নির কোন প্রকার প্রভাব বা চিহ্নও যেন না থাকে। ॥১৪॥
 (ভাষ্যঃ স্বামী ব্রহ্মমুনি পরিব্রাজক বিদ্যা মার্তণ্ড) 


এর পরও যারা বলে হিন্দুদের শবদাহ থেকে পরিবেশ দূষণ ঘটে, অমানবিক, জমির অপচয় হয় ইত্যাদি ইত্যাদি তাদের মুখে ঝাঁমা ঘঁষে দিয়ে প্রতিউত্তর দিন এইভাবেঃ

Post a Comment

1Comments
  1. এখান থেকে পিডিএফ করে ডাউনলোড দেওয়ার সিস্টেম নাই

    ReplyDelete
Post a Comment