দৈনিক বেদবাণী


এই সমগ্র সংসার নিরোগ এবং শুভচিন্তা যুক্ত হোক । যজুর্বেদ ১৬.৪                    সূর্য-এর আলোয় স্বয়ং আলোহীন চাঁদ আলোকিত হয় । ঋগ্বেদ ৫.৪০.৫                    প্রশংসনীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মাতৃভূমি— এই ত্রয়ী সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করে। ঋগ্বেদ ১.১৩.৯                    উত্তম জীবন লাভের জন্য আমাদের জ্ঞানীদের সাহচর্যে চলা উচিৎ। ঋগ্বেদ ১.১২.১৬                    যে ব্যক্তি সম্পদ বা সুখ বা জ্ঞান নিঃস্বার্থভাবে দান করে, সে-ই প্রকৃত মিত্র। ঋগ্বেদ ২.৩০.৭                    মানুষ কর্ম দ্বারাই জগতে মহত্ত্ব ও প্রসিদ্ধি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৩.৩৬.১                    হে পতি! তোমার স্ত্রীই গৃহ, স্ত্রীই সন্তানের আশ্রয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৩.৪                    পরমাত্মার নিয়ম বিনষ্ট হয় না; তা অটুট, অচল ও অপরিবর্তনীয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৪.১৮                    এই ধর্মের মার্গই সনাতন, এই পথে চলেই মানবগণ উন্নতি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৪.১৮.১                    পরমাত্মার নিকট কোনো মানুষই বড় বা ছোট নয়। সকল মানুষই সমান এবং পরস্পরের ভ্রাতৃস্বরূপ। ঋগ্বেদ ৫.৬০.৫                    যে ব্যক্তি অকারণে অন্যের নিন্দা করে, সে নিজেও নিন্দার পাত্র হয়। ঋগ্বেদ ৫.২.৬                    নিশ্চিতরূপে এই চতুর্বেদ কল্যাণপ্রদায়িনী এবং মানবকে জ্ঞান প্রদান করে ধারণকারিণী। ঋগ্বেদ ৫.৪৭.৪                    বীর মানবের জন্য পর্বতও সুগম হয়ে যায়। ঋগ্বেদ ৬.২৪.৮                    আমরা অন্যের সঞ্চিত পাপের কর্মফল ভোগ করি না। ঋগ্বেদ ৬.৫১.৭                    হে মিত্রগণ! ওঠো— উদ্যমী হও, সাবধান হও এবং এই সংসাররূপী নদীকে অতিক্রম করো। ঋগ্বেদ ১০.৫৩.৮







ব্রাহ্মণগ্রন্থ সমকালীন আচার্য ও রাজা

অমৃতস্য পুত্রা
0

 


 ব্রাহ্মণ গ্রন্থ বেদমন্ত্রের বিনিয়োগ ও ব্যাখ্যান স্বরূপ । নানা অর্থও তাতে সাংকেতিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছে । বিভিন্ন বেদ মন্ত্রের প্রতীক দিয়ে তার ব্যাখ্যা করেছেন । এজন্যই ব্রাহ্মণ গ্রন্থ নবীন ও পুরাণ দুই প্রকারেরই আছে । ব্রাহ্মণ ক্রমবিকাশমান রচনা । এতে প্রাচীন ও অর্বাচীন উভয়কালেরই ইতিহাস ও ব্যক্তিত্ব পাওয়া যায় । আজকে আমরা তারই কিছু উল্লেখ দেখবো -



জনকো হ বৈ বৈদেহো। ব্রাহ্মণৈর্ধাবয়দ্ভিঃ সমাজগাম শ্বেতকেতুনাঽঽরুণেয়েন সোমশুষ্মেণ সাত্যযজ্ঞিনা যাজ্ঞবল্ক্যেন - শতপথ ব্রাহ্মণ ১১।৬।১।১


১. জনক
২. শ্বেতকেতু আরুণেয়
৩. সোমশুষ্ম সাত্যযজ্ঞি
৪. যাজ্ঞবল্ক্য


এরা সমকালীন ছিলেন শতপথ ব্রাহ্মণে প্রদত্ত একটি গুরু-শিষ্য পরম্পরা অনুযায়ী ' উদ্দালক আরুণি নিজ শিষ্য বাজসনেয় যাজ্ঞবল্ক্যের জন্য বললেন... ' এমন বচন পাওয়া যায় -

✅ তং হৈতমুদ্দালক আরুণিঃ বাজসনেয়ায় যাজ্ঞবল্ক্যায়ান্তেবাসিন উক্ত্বোবাচাপি.....
শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪।৯।৩।১৫-২০ , ১৪।৯।৪।৩৪

৫. উদ্দালক আরুণি
৪. বাজসনেয় যাজ্ঞবল্ক্য
৬. মধুক পৈঙ্গ্য
৭. চূড় ভাগবিত্তি
৮. জানকি আয়স্থুণ
৯. সত্যকাম জাবাল


শ্বেতকেতু আরুণেয় উদ্দালক আরুণির পুত্র ছিলেন । ছান্দোগ্য উপনিষদ ৬।১।১ ' শ্বেতকেতুর্হারুণেয় আস তঁ হ পিতোবাচ ' ও ৬।৮।১ ' উদ্দালকো হারুণিঃ শ্বেতকেতুং পুত্রমুবাচ' আদিতে পাওয়া যায় । অতঃ গুরুপুত্র হওয়াতে শ্বেতকেতু যাজ্ঞবল্ক্যের ভ্রাতাই ছিলেন । জনকের সভাতে গুরু উদ্দালকও শিষ্য যাজ্ঞবল্ক্যকে প্রশ্ন করেছিলেন বলে ' অথ হৈনমুদ্দালক আরুণিঃ পপ্রচ্ছ' শতপথ ব্রাহ্মণে ১৪।৬।৭।১ উল্লেখিত রয়েছে । মধুক পৈঙ্গ্যের নাম শতপথেই ১২।২।২।৪ ' ইতি হ স্মাহ পৈঙ্গ্যঃ ' সহ অন্যত্রও পাওয়া যায় । মধুক নামেও কৌষীতকি ব্রাহ্মণ ১৬।৯তে উল্লেখ রয়েছে । সত্যকাম জাবাল রাজা জনকের সময়কালীন কেননা রাজা জনক তাকে বলছেন শতপথে ১৪।৬।১০।১৪ ' অব্রবীন্মে সত্যকামো জাবালাঃ ' ।

১০. চিত্ত শৈলেন - ' চিত্তো হ বৈ শৈলেনো জনকং বৈদেহং সমুদে ' - জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ১।২৪৫
১১. আজাতশত্রু ভদ্রসেন - ' এতয়া বৈ ভদ্রসেনমাজাতশত্রবমারুণিরভিচচার ' শতপথ ব্রাহ্মণ ৫।৫।৫।১৪
১২. চিত্র গার্গ্যায়ণি - উদ্দালক আরুণিকে স্বযজ্ঞার্থ বরণ করেছিলেন ' চিত্রো হ বৈ গার্গ্যায়ণির্যক্ষমাণ আরুণিং বব্রে স হ পুত্রং শ্বেতকেতুং প্রজিঘায় যাজয়েতি ' কৌষীতকি উপনিষদ ১।১
১৩. কহোল কৌষীতক - উদ্দালক আরুণির শিষ্য ' কহোলঃ কৌষিতকরুদ্দালকাদারুণেঃ..' শাঙ্খ্যায়ন আরণ্যক ১৫।১
১৪. হারিদ্রুমত গৌতম - সত্যকাম জাবালের একজন আচার্য ' স হ হারিদ্রুমতং গৌতমমেত্যোবাচ ব্রহ্মচর্যং ভগবতি বৎস্যাম্যুপেয়াং ভগবন্তমিতি ' ছান্দোগ্য উপনিষদ ৪।৪।৩
১৫. বৈশ্বাসব্য - শ্বেতকেতু আরুণেয়ের যজ্ঞের হোতা ' শ্বেতকেতুর্হারুণেয়ঃ যক্ষ্যমাণ আস.... স হোবাচায়ং
ন্বেব মে বৈশ্বাবসব্যো হোতেতি ' শতপথ ব্রাহ্মণ ১০।৩।৪।১
১৬. পঞ্চালাধিপতি প্রবাহণ জৈবলি- এনার নিকটে শ্বেতকেতু আরুণেয় গিয়েছিলেন ' শ্বেতকেতুর্হ বা আরুণেয়ঃ। পঞ্চালানাং পরিষদমাজগাম স আজগাম জৈবলম্প্রবাহণং পরিচারয়মাণং' শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪।৯।১।১
১৭. শাতপর্ণেয় ধীর - সত্যকাম জাবালের নিকট উপদেশ গ্রহণে গিয়েছিলেন ' ধীরো হ শাতপর্ণেয়ঃ মহাশালং জাবালমুপোৎসসাদ' শতপথ ব্রাহ্মণ ১০।৩।৩।১
১৮. শিলক শালাবত্য ও চৈকিতায়ন দাল্ভ্য - উভয়ে উদ্গীথে কুশল ছিলেন ' ত্রয়ো হোদ্গীথে কুশলা বভূবুঃ শিলকঃ শালাবত্যশ্চৈকিতায়নো দাল্ভ্যঃ প্রবাহণো জৈবলিরিতি তে হোচুরুদ্গীথে বৈ কুশলাঃ স্মো হন্তোদ্গীথে কথাং বদাম ইতি ' ছান্দোগ্য উপনিষদ ১।৮।১
১৯. কবষ ঐলুষ - ' ঋষয়ো বৈ সরস্বত্যাং সত্রমাসত তে কবষমৈলূষং ' ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২।৮।১ [ ২।১৮ ] , কৌষীতকি ব্রাহ্মণ ১২।৩
২০. গ্লাব মৈত্রেয় - ' অথাতঃ শৌব উদ্গীথস্তদ্ধ বকো দাল্ভ্যো গ্লাবো বা মৈত্রেয়ঃ স্বাধ্যায়মুদ্বব্রাজ ' ছান্দোগ্য উপনিষদ ১।১২।১, ষড়বিংশ ব্রাহ্মণ ১।৪।৬
২১. মৌদ্গল্য - গ্লাব মৈত্রেয়ের গুরু ' এতদ্ধ স্মৈতদ্ বিদ্বাংসমেকাদশাক্ষং মৌদ্গল্যং গ্লাবো মৈত্রেয়োঽভ্যাজগাম ' গোপথ ব্রাহ্মণ পূর্বভাগ ১।৩১
২২.কেশী দার্ভ্য - ' রথপ্রোতং বৈ দার্ভ্যমভ্যশঁসন্ ' মৈত্রেয়াণী সংহিতা ২।১।৩ ; ' কেশী হ দার্ভ্যো দীক্ষিতো নিষসাদ ' কৌষিতকী ব্রাহ্মণ ৭।৪
২৩. কেশী সাত্যকামি - ' এতদ্ধ স্ম বা আহ কেশী সাত্যকামিঃ কেশিনং দার্ভ্যম্ ' মৈত্রেয়াণী সংহিতা ১।৬।৫ ; ' কেশিনꣳ হ দার্ভ্যং কেশী সাত্যকামিরুবাচ ' তৈত্তিরীয় সংহিতা ২।৬।২
২৪. ষণ্ডিক ঔদ্ভারি - কেশী দার্ভ্যই আরেক নাম ' ততঃ কেশী ষণ্ডিকমৌদ্ভারিমভ্যবদৎ ' মৈত্রেয়াণী সংহিতা ১।৪।১২
২৫. দর্ভ - দার্ভ্যগণের পিতা ' দর্ভমু হ বৈ শাতানীকিং পাঞ্চালা রাজানং সন্তং নাপচায়াংচক্রুঃ ' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ২।১০০
২৬. সুত্বা যাজ্ঞসেন ' কেশী হ দার্ভ্যো দর্ভপর্ণয়োর্ দিদীক্ষে। অথ হ সুত্বা যাজ্ঞসেনো হংসো হিরণ্ময়ো ভূত্বা যূপ উপবিবেশ ' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ২।৫৩
২৭. অহীনস্ আশ্বত্থি - কেশী দাভ্য ও কেশী সাত্যকামির পুরোহিত ছিলেন ' অথ হাহীনসম্ আশ্বত্থিং কেশী দার্ভ্যঃ কেশিনস্ সাত্যকামিনঃ পুরোধায়া অপরুরোধ। স হ স্থবিরতরো ঽহীনা আস কুমারতরঃ কেশী। ' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ১।২৮৫
২৮. শৌনক স্বৈদায়ন - ' স্বৈদায়নেনেতি শৌনকো হ স্বৈদায়ন আস ' শতপথ ব্রাহ্মণ ১১।৪।১।১-২, ' অনুপ্রতিপেদিরে তে হ স্বৈদায়নং শৌনকম্ ঊচুঃ স্বৈদায়ন' গোপথ ব্রাহ্মণ পূর্ব ভাগ ৩।৬
২৯. শৌচেয় প্রাচীনযোগ্য - 'শৌচেয়ো হ প্রাচীনয়োগ্যঃ' শতপথ ব্রাহ্মণ ১১।৫।৩।১
৩০. প্রোতি কৌশাম্বেয় কৌসুরুবিন্দি - 'প্রোতির্হ কৌশাংবেয়ঃ কৌসুরিবিন্দিরুদ্দালকে আরুণৌ ব্রহ্মচর্যমুবাস ' শতপথ ব্রাহ্মণ ১২।২।২।১৩
৩১. কুসুরবিন্দ -কৌসুরুবিন্দির পিতা ' কুসুরুবিন্দ ঔদ্দালকিরকাময়ত পশুমান্ত্ স্যাম' তৈত্তিরীয় সংহিতা ৭।২।২ , ' যুবানমনূচানং কুসুরুবিন্দমৌদ্দালকিং ব্রাহ্মণা উদ্গীথায় ' ষড়বিংশ ব্রাহ্মণ ১।৪।১৬, 'এতেন বৈ কুসুরূবিন্দ ঔদ্দালকিরিষ্ট্বা ভূমানমাশ্নুত
ভূমানমশ্নুতে য এবং বেদ ' তাণ্ড্য ব্রাহ্মণ ২২।১৫।১০, ' কুসুর্বিন্দো হৌদ্দালকিস্সোমানাম্ উজ্জ্গৌ ' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ১।৭৫
৩২. জীবল চৈলকি - ' তদু হোবাচ জীবলশ্চৈলকিঃ ' শতপথ ব্রাহ্মণ ২।৩।১।৩৪
 

৩৩. প্রাচীনশাল ঔপমন্যব
৩৪. সত্যযজ্ঞ পৌলুষি
৩৫. ইন্দ্রদ্যুম্ন ভাল্লবেয়
৩৬. জনশার্করাক্ষ্য
৩৭. বুড়িল আশ্বতরাশ্বি
[৩৩-৩৭ ] এই পাঁচজন উদ্দালক আরুণির নিকট গিয়েছিলেন - ' প্রাচীনশাল ঔপমন্যবঃ সত্যযজ্ঞঃ পৌলুষিরিন্দ্রদ্যুম্নো ভাল্লবেয়ো জনঃ শার্করাক্ষ্যো বুডিল আশ্বতরাশ্বিস্তে ' ছান্দোগ্য উপনিষদ ৫।১১।১-২ ; শতপথ ব্রাহ্মণ ১০।৬।১।১-২ ; শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪।৮।১৫।১১
 

৩৮. জীবল কারীরাদি ও আষাঢ় সাবয়স - ' জীবলস্য কারীরাদের্ অষাঢস্য সাবয়সস্যেন্দ্রদ্যুম্নস্য ভাল্লবেয়স্যেতি' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ১।২৭১
৩৯. মহারাজ অশ্বপতি - ' তান্হোবাচাশ্বপতির্বৈ ভগবন্তোঽয়ং কৈকেয়ঃ ' ছান্দোগ্য উপনিষদ ৫।১১।৪
৪০. বর্কু বার্ষ্ণ ও প্রিয় জানশ্রুতেয় - 'আরুণির্বাজসনেয়ো বর্কুর্বার্ষ্ণঃ প্রিয়ো জানশ্রুতেয়ো' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ১।২২
 

৪১. খর্গল
৪২. উদ্ভার
৪৩. গঙ্গিনা রাহক্ষিত
৪৪. লুশাকপি খার্গলি
[ ৪১-৪৪ ] 'অথৈষ পরিক্রীঃ। খণ্ডিকশ্ চ হৌদ্ভারিঃ কেশী চ দার্ভ্যঃ পাঞ্চালেষু পস্পৃধাতে। স হ খণ্ডিকঃ কেশিনমভিপ্রজিঘায়।... তস্য হৈতে ব্রাহ্মণা আসুঃ অহীনা আশ্বত্থিঃ, কেশী সাত্যকামির্গঙ্গিনা রাহক্ষিতো লুশাকপিঃ খার্গলিরিতি' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ২।১২২ এ উল্লেখিত ।
 

৪৫. সুদক্ষিণ ক্ষৈমি - ' স হোবাচ সুদক্ষিণঃ ক্ষৈমিঃ ' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ২।১১৩
৪৬. হিরণ্ময় শকুন - ' তং হ হিরণ্ময়ঃ শকুন আপত্যোবাচ ' কৌষীতকি ব্রাহ্মণ ৭।৪
 

৪৭. শিখণ্ডী যাজ্ঞসেন
৪৮. আসোল বার্হিষ্ণবৃদ্ধ
৪৯. ইটন্ কাব্য
[৪৭-৪৯ ] ' স হ স আসলো বা বার্ষ্ণ বৃদ্ধ ইটন্ বা কাব্যঃ শিখণ্ডী বা যাজ্ঞসেনঃ ' কৌষীতকি ব্রাহ্মণ ১৬।৯
 

৫০. গৌশ্ল ও গৌশ্র- ' তদ্ধ তথা শস্যমানে গৌশ্ল আজগাম ' ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ৬।৩০ ; ' 'কিংদেবত্যঃ সোম ইতি মধুকো গৌশ্রবং পপ্রচ্ছ' কৌষীতকি ব্রাহ্মণ ১৬।৯
৫১. গল়ুনা আর্ক্ষাকায়ণ - জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ' তা হৈতা গল়ুনা আর্ক্ষাকায়ণঃ শালাপত্য আরুণেরধি' ১।৩১৬
 

৫২. ব্রহ্মদত্ত চেকিতানেয়
৫৩. ব্রহ্মদত্ত প্রাসেনজিত
[ ৫২-৫৩ ] এনারা সমকালীন ' অথ হ ব্রহ্মদত্তং চৈকিতানেয়ং ব্রহ্মদত্তঃ প্রাসেনজিতঃ কৌসল্যো রাজা পুরো দধে' জৈমিনীয় ব্রাহ্মণ ১।৩৩৭-৩৩৮
 

৫৪. উপকোসল কামলায়ন - ' উপকোসলো হ বৈ কামলায়নঃ সত্যকামে জাবালে ' ছান্দোগ্য উপনিষদ ৪।১০।১
৫৫. কুরুপাঞ্চাল ও বিচিত্রবীর্য পুত্র ধৃতরাষ্ট্র - ' কুরুপঞ্চালেষু বৎসতরানবন্বত তান্বকো দাল্ভিরব্রবীদ্যূয়মেবৈতান্ বিভজধ্বমিমমহং ধৃতরাষ্ট্রং বৈচিত্রবীর্যং গমিষ্যামি ' কাঠক সংহিতা ১০।৬ ' ; ' এষ বঃ কুরবো রাজৈষ পঞ্চালা রাজা ' কাণ্ব সংহিতা ৯।৪০
৫৬. পারিক্ষিত জনমেজয়
মহাভারতের কুরুকুলের বংশধর । ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ৮।২১ ' এতেন হ বা ঐন্দ্রেণ মহাভিষেকেণ তুরঃ কাবষেয়ো জনমেজয়ং পারিক্ষিতমভিষিষেচ তস্মাদু জনমেজয়ঃ পারিক্ষিতঃ সমন্তং সর্বঃ পৃথিবীং জয়ন্পরীয়ায়াশ্বেন চ মেধ্যেনেজে। তদেষাঽভি যজ্ঞগাথা গীয়তে। ' ; ' এতেন হেন্দ্রোতো দৈবাপঃ শৌনকঃ জনমেজয়ং পারিক্ষিতং ' শতপথ ব্রাহ্মণ ১৩।৫।৪।১
৫৭. দিবোদাস - ' দিবোদাসো ভৈমসেনিরারুণিমুবাচ ' কাঠক সংহিতা ৭।৮
৫৮. পারাশর্য ব্যাস - ' স হোবাচ ব্যাসঃ পারাশর্যঃ ' তৈত্তিরীয় আরণ্যক ১।৯।২
৫৯. মহিদাস ঐতরেয় - ' ব্রাহ্মণ উবাচ মহিদাস ঐতরেয়ঃ ' জৈমিনীয় উপনিষদ ব্রাহ্মণ ৪।২।১১ ; ঐতরেয় আরণ্যক ২।১।৮
৬০. বৃহস্পতি > নারদ > বিষ্বক্সেন > ব্যাস পারাশর্য > জৈমিনি > পৌষ্পিঞ্জয় > পারাশার্যায়ণ > বাদরায়ণ > তাণ্ডি > শাট্যায়ন - ' বৃহস্পতির্ন্নারদায় নারদো বিষ্বক্সেনায় বিষ্বক্সেনো ব্যাসায় পারাশর্য্যায় ব্যাসঃ পারাশর্যো জৈমিনয়ে জৈমিনি: পৌষ্পিঞ্জ্যায় পৌষ্পিঞ্জ্যঃ পারাশর্যায়ায়ণায় পারাশর্যামিয়ণো বাদরায়ণায় বাদরায়ণস্তাণ্ডিশাট্যায়নিভ্যাং তাণ্ডিশাট্যায়নিনৌ বহুভ্যঃ' সামবিধান ব্রাহ্মণ ৩।৯।৩ ; প্রসঙ্গতঃ এই তাণ্ড্যের উল্লেখ শতপথ ব্রাহ্মণ ৬।১।২।২৫ ' অথ হ স্মাহ তাণ্ড্যঃ ' হিসেবে পাওয়া যায় ।

🔥 বিশেষঃ কাশী, দুষ্মন্ত , শকুন্তলা , ভরত, শতানীক সাত্রাজিত এর উল্লেখ -

তদেতদ্গাথয়াভিগীতম্ শতানীকঃ সমন্তাসু মেধ্যং সাত্রাজিতো হয়ম্। আদত্ত যজ্ঞং কাশীনাং ভরতঃ সত্বতামিবেতি - শতপথ ব্রাহ্মণ ১৩।৫।৪।২১

ভরতো দৌঃষন্তিরীজে তেনেষ্ট্বেমাং ব্যষ্টিম্ব্যানশে যেয়ং ভরতানাং তদেতদ্গাথয়াভিগীতমষ্টাসপ্ততিং ভরতো দৌঃষ্যন্তির্যমুনামনু গঙ্গায়াং...১১
শকুন্তলা নাডপিত্যপ্সরা ভরতং দধে...১৩
ভরতস্য ন পূর্বে নাপরে জনাঃ...১৪

শতপথ ব্রাহ্মণ ১১।৫।৪।১১,১৩,১৪


অর্থাৎ আমরা ব্রাহ্মণ গ্রন্থে শ্রীরামচন্দ্রের সময়কার জনক থেকে শুরু করে মহাভারত সময়ের ব্যাস এমনকি পরিক্ষিত , জনমেজয়েরও উল্লেখ পাচ্ছি । অতঃ যারা কিনা অনাদি , নিত্য ও ঈশ্বরোক্ত সর্বকালীন বেদের প্রকৃত পরিভাষাকে না বুঝে ঔপচারিকভাব ও উদ্ধরণকে সহায় করে ব্রাহ্মণকে বেদ বলে দাবি করেন তাদের যুক্তি ও তাদের অনুযায়ী মানলে বেদ মূলতঃ আদতেই অনাদি ও সর্বকালীন হয় কিনা তা সহজেই অনুমেয় ।

👉 পরবর্তী পর্বে থাকছে প্রমাণসহ নানা হারিয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণের নাম ও পরিচয় - https://www.agniveerbangla.org/2021/12/blog-post_30.html

🖋️📃নিবেদনে -
বাংলাদেশ অগ্নিবীর

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)