দৈনিক বেদবাণী


এই সমগ্র সংসার নিরোগ এবং শুভচিন্তা যুক্ত হোক । যজুর্বেদ ১৬.৪                    সূর্য-এর আলোয় স্বয়ং আলোহীন চাঁদ আলোকিত হয় । ঋগ্বেদ ৫.৪০.৫                    প্রশংসনীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মাতৃভূমি— এই ত্রয়ী সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করে। ঋগ্বেদ ১.১৩.৯                    উত্তম জীবন লাভের জন্য আমাদের জ্ঞানীদের সাহচর্যে চলা উচিৎ। ঋগ্বেদ ১.১২.১৬                    যে ব্যক্তি সম্পদ বা সুখ বা জ্ঞান নিঃস্বার্থভাবে দান করে, সে-ই প্রকৃত মিত্র। ঋগ্বেদ ২.৩০.৭                    মানুষ কর্ম দ্বারাই জগতে মহত্ত্ব ও প্রসিদ্ধি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৩.৩৬.১                    হে পতি! তোমার স্ত্রীই গৃহ, স্ত্রীই সন্তানের আশ্রয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৩.৪                    পরমাত্মার নিয়ম বিনষ্ট হয় না; তা অটুট, অচল ও অপরিবর্তনীয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৪.১৮                    এই ধর্মের মার্গই সনাতন, এই পথে চলেই মানবগণ উন্নতি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৪.১৮.১                    পরমাত্মার নিকট কোনো মানুষই বড় বা ছোট নয়। সকল মানুষই সমান এবং পরস্পরের ভ্রাতৃস্বরূপ। ঋগ্বেদ ৫.৬০.৫                    যে ব্যক্তি অকারণে অন্যের নিন্দা করে, সে নিজেও নিন্দার পাত্র হয়। ঋগ্বেদ ৫.২.৬                    নিশ্চিতরূপে এই চতুর্বেদ কল্যাণপ্রদায়িনী এবং মানবকে জ্ঞান প্রদান করে ধারণকারিণী। ঋগ্বেদ ৫.৪৭.৪                    বীর মানবের জন্য পর্বতও সুগম হয়ে যায়। ঋগ্বেদ ৬.২৪.৮                    আমরা অন্যের সঞ্চিত পাপের কর্মফল ভোগ করি না। ঋগ্বেদ ৬.৫১.৭                    হে মিত্রগণ! ওঠো— উদ্যমী হও, সাবধান হও এবং এই সংসাররূপী নদীকে অতিক্রম করো। ঋগ্বেদ ১০.৫৩.৮







যজ্ঞ - অগ্নিপূজা নাকি অবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ?

অমৃতস্য পুত্রা
0




☣ যজ্ঞ, বৈদিক সনাতনের ধর্মের এক অভিন্ন অঙ্গ। মঙ্গল ও শুদ্ধতার প্রতীক স্বরূপ এর যজ্ঞ শুধু ভারতবর্ষে নয়। প্রাচীন অনেক সভ্যতায় প্রচলিত ছিল। এ নিয়ে অনেক প্রমাণ আছে। তবে হতে পাড়ে বৈদিক সনাতন সাথে ১০০% ভাগ তত্ত্বগত মিল নাও থাকতে পাড়ে তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বৈদিক শাস্ত্রীয় মতে মিল থাকে। যজ্ঞাদি কর্ম এর গুরুত্ব প্রাচীন বিশ্বে অবশ্যই ছিল তা হোক আরব বা প্রাচ্যদেশীয়। কিন্তু বর্তমানে কমজানতা অল্প জ্ঞানী কিছু লোক যজ্ঞাদি কর্ম কে অগ্নিপূজা বলে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। মূলত বৈদিক সনাতনে যজ্ঞ কোন অগ্নি পূজা ই না। সনাতন ধর্মের প্রকৃতির পূজা এরকম কোন জিনিস বৈদিক শাস্ত্রমতে নেই। তবুও কিছু অসাধু লোক এরূপ আরোপ লাগানো জন্য এই বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। তাই বৈদিক শাস্ত্রীয় মতে যজ্ঞ কী অগ্নি/ আগুন পূজা না প্রকৃতির বৈজ্ঞানিক বিধি অনুযায়ী দূষণ প্রতিরোধক  তা বিস্তারিত ভাবে আমরা প্রমাণ সহ দেখে নেবো । 


 ☢ প্রথমত আমরা বেদাদি শাস্ত্র অনুযায়ী যজ্ঞ সম্পর্কে শাস্ত্রীয় মত দেখে নিব। 

“যজ্ঞ” শব্দটি ব্যাপক। ঋগ্বেদে এই শব্দ ৫৮০ বার, যজুবেদে ২৪৩ বার, সামবেদে ৬৩ বার এবং অর্থব বেদে ২৯৮ বার অর্থাৎ চার বেদে যজ্ঞ শব্দ মোট ১১৮৪ বার এসেছে। 

যজ্ঞ শব্দ ‘যজ্‌’ ধাতু দিয়ে তৈরি। ‘যজ্’ ধাতুর তিনটি অর্থ-‘যজ্ দেবপূজা সঙ্গতিকরণ দানেষু' অর্থাৎ ১। দেবপূজা ২। সঙ্গতিকরণ ও ৩। দান। সুতরাং যজ্ঞের বিভিন্ন প্রকার এইরূপ-দেবযজ্ঞ (অগ্নিহোত্র বা হবন), ব্রহ্মযজ্ঞ, পিতৃযজ্ঞ, বলিবৈশ্যদেবযজ্ঞ, অতিথিযজ্ঞ, অশ্বমেধযজ্ঞ ইত্যাদিতে যজ্ঞের প্রায় সমস্ত অর্থ নিহিত আছে ।

  •  

বৈদিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যজ্ঞ ৫ প্রকার। (তাছাড়া এই ৫ প্রকারের মধ্যেও প্রত্যেকটি ভাগকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় অংশগত ভাবে।) বিস্তারিত জানতে এই ভিডিও দেখতে পারেন- 

স্বামী যোগেশ জী এর পঞ্চযজ্ঞ বিশ্লেষণ।


 তথা :

১: ব্রহ্ম যজ্ঞ।

২: অতিথি যজ্ঞ। 

৩: পিতৃযজ্ঞ। 

৪: ভূত যজ্ঞ। 

৫: দেবযজ্ঞ।

এসব যজ্ঞাদি নিয়ে শাস্ত্রে তথা বেদে কী বলা হয়েছে তা এখন আমরা দেখে নিব। 

ব্রহ্মযজ্ঞ  

যুঞ্জপ্তি ব্রধ্মরুষং চরন্তং পরিতস্থুষঃ রোচন্তে রোচনা দিবি ॥ 

পদার্থ :- (যুত্যন্তি) যুক্ত করেন (ব্রধনম্) মহান্ (অরুষম্) অহিংসক (চরন্তম্) সর্ব্বজ্ঞ (পরি) সর্ব্বত্র (তচ্ছূষঃ) স্থিত (রোচন্তে) জ্যোতির্ম্ময় হন (রোচনা) অবিদ্যান্ধকার হইতে মুক্ত হইয়া (দিবি) পরমাত্মার জ্যোতিতে। 
                                  ( ঋগ্বেদ - ১/৬/১।)

অতিথি যজ্ঞ 

ইষ্টং চ বা এষ পূর্তং চ গৃহাণামশাতি যঃ পূর্বোহ তিথেরশাতি ॥ পয়শ্চ বা এষ রসং চ গৃহাণামশ্মাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি ॥ ঊর্জাং চ বা এষ স্ফাতিং চ গৃহাণামশাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশাতি প্রজাং চ বা এষ পশুংশ্চ গৃহাণামশাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি 1 কীৰ্ত্তিং চ বা এষ যশশ্চ গৃহাণামশাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি ॥ শ্রিয়ং চ বা এষ সংবিদং চ গৃহামশাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি ॥ এষ বা অতিথির্যচ্ছোত্রিয়স্তস্মাৎ পূৰ্ব্বো নাশ্মীয়াৎ ॥
অশিতাবতিথাবশ্লীয়াদ যজ্ঞস্য সাত্মতায় যজ্ঞস্যবিচ্ছেদায় তদ্‌ ব্ৰতম্॥

পদার্থ :- (যঃ) যে (অতিথেঃ পূর্বঃ) অতিথির পূর্ব্বে (অশাতি) ভোজন করে (এষঃ) সে (গৃহাণাম্) গৃহের (ইষ্টম্) ইষ্টসুখ (চ) এবং (পূর্তম্) পূর্ণতা (উর্জায়) পরাক্রম্ (অশাতি) ভোজন করে (পয়ঃ) দুগ্ধ (চ) এবং (রসম্) রস (চ) এবং (এষঃ) সে (স্ফাতিম্) বৃদ্ধি (প্রজাম্) প্রজা (পশুন) পশু (কীৰ্ত্তিম্) কীৰ্ত্তিম, (যশঃ) যশ (খ্রিয়ম্) শ্রী (সংবিদম্) জ্ঞান (যৎ শ্রোত্রিয়ঃ) যিনি বেদজ্ঞানী (এষ বৈ অতিথিঃ) তিনিই অতিথি (তস্মাৎ) এজন্য (পূর্বঃ ন অশ্লীয়াৎ) পূৰ্ব্বে ভোজন করিবে না (অশিতৌ অতিথৌ) অতিথি ভোজন করিলে পরে (অশ্লীয়াৎ ) ভোজন করিবে (যজ্ঞস্য) যজ্ঞের (সাত্মত্মায়) জীবনের জন্য ( অবিচ্ছেদায়) নিরন্তর চলিবার জন্য (তত্ত্বতম্) ইহাই নিয়ম। 

                      (অথৰ্ব্ববেদ ৯/৬/৩/১-৮।)

পিতৃযজ্ঞ 

উর্জং বহম্ভীরমৃতং ঘৃতং পয়ঃ কীলালং পরিশ্রুতম্ । স্বধাস্থ তৰ্পয়ত মে পিতৃন্ ॥

(মে) আমার পিতৃন্) বিদ্বান, জীবিত মাতাপিতা ও গুরুজনকে (উর্জম্) উত্তম রস (বহন্তীঃ) সুস্বাদু জল (অমৃতম্) সুমিষ্ট রোগনাশক পদার্থ (পয়ঃ) দুগ্ধ (ঘৃতম্) ঘৃত (কীলালম্) সুরন্ধিত অন্ন (পরিশ্রুতম্) সুপক্ক রসাল ফল দ্বারা (তপয়ত)তৃপ্ত কর (স্বধাঃ) নিজের ধনে (স্থ) থাক।

                             ( যজুর্ব্বেদ ২/৩৪। )

ভূতযজ্ঞ

প্রজাভ্যঃ পুষ্টিং বিভজন্ত আসতে রয়িমিব পৃষ্ঠং প্রভবতমায়তে। অসিম্বন্দংষ্ট্রৈঃ পিতুরত্তি ভোজনং যস্তাকৃণোঃ প্রথমং সাস্যুক্থ্যঃ ।

 পদার্থঃ- (পুষ্টিম্) পোশক ধনকে (প্রজাভ্যঃ) প্রজাদের মধ্যে (বিভজন্তঃ) বিভাগ করিয়া (আসতে) শান্তিতে বাস করে (আয়তে) গৃহাগত সৎ পুরুষকে (পৃষ্ঠম্) ধারক ধাতা (প্রভবস্তম্) পোষক (রয়িমিব) ধনকে যেমন বিভাগ করিয়া দেওয়া হয় (অসিম্বন) প্রত্যেক কৰ্ম্মশীল পুত্র (পিতৃঃ) পিতৃগৃহে (দংষ্ট্ৰঃ) দন্তদ্বারা (ভোজনং অত্তি) ভোজন করে (যঃ) যে (তা) সেই কৰ্ম্মের (অকৃণোঃ) বিধান করিয়াছেন (সঃ) সেই তুমি (প্রথমতঃ ) প্রথম (উক্থ্যঃ অসি) পূজ্য হও।
                                  ( ঋগ্বেদ ২/১৩/৪। )

দেবযজ্ঞ

সমিধাগ্নিং দুবস্যত ঘৃতৈর্বোধয়াতিথিম্ ।
অস্মিন্ হব্যা জুহোতন ॥

পদার্থঃ- (ঘৃতৈঃ) ঘৃতাদি শুদ্ধ দ্রব্রের সহিত (সমিধা) কাষ্ঠ দ্বারা (অতিথিম্) অগ্নিকে (বোধয়ত) প্রজ্জ্বলিত কর। এই অগ্নিতে পুষ্টি, মধুর, সুগন্ধি, রোগনাশক পদার্থের বিশেষভাবে আহুতি প্রদান কর। এই দেবযজ্ঞ বা অগ্নিহোত্র পালন কর।

☞ এখানে মূলত পঞ্চযজ্ঞ ( দেবযজ্ঞ, ভূতযজ্ঞ,অতিথিযজ্ঞ, পিতৃযজ্ঞ, ব্রহ্মযজ্ঞ) এদের তাদের নিজেদের কিছু সংঙ্গা আছে। তা আমরা পবিত্র বেদ থেকেই দেখে নিলাম।
অতিথিদের সেবা করা, পিতৃ বা মাতা পিতার সেবা করা, অতিথি এর সেবা করা, ব্রহ্ম অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞানী দের সেবা করাও একটি যজ্ঞের মধ্যেই পড়ে। তার সাথে অগ্নিহোত্র করে ঈশ্বরের সম্মান প্রদর্শন করাও যজ্ঞ যা দেবযজ্ঞ নামে পরিচিতি।  

♂ বেদে যজ্ঞ এর মহিমা নিয়ে ঈশ্বর এর বর্ণনা 

এখন আমরা দেখে নিব পবিত্র বেদে ও বৈদিক শাস্ত্রে যজ্ঞ এর সম্পর্কে কী বলা হয়েছে। 

১: ‘“যজ্ঞ ইন্দ্ৰমবর্ধয়দ্”

যজ্ঞ করায় ঐশ্বর্য ও সুখের বৃদ্ধি হয় ।
 (অর্থববেদ ২০/১৭/৫)

 ২: “যজ্ঞং তপঃ“

যজ্ঞ করা সর্বোত্তম কর্ম (তপ)।
 (তৈতরীয় আরণ্যক) 

৩: “অগ্নিতে প্রদত্ত আহুতি সূর্যালোক পর্যন্ত যায় । যজমান যজ্ঞের কয়েকগুণ ফলপ্রাপ্ত হয়।”
 (মনুস্মৃতি (৩/৭৬)

৪: যজ্ঞ দ্বারা প্রাণের শুদ্ধি হয়। এইজন্য যজ্ঞকে অমৃত বলা হয়েছে।
(যজুর্বেদে (৯/১২)

৫: যজ্ঞের দ্বারা নির্মল বায়ু সেবন করলে প্রাণী বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত নীরোগও সুখী জীবনযাপন করতে পারে।
(অথর্ববেদে (২/১১/৬)

৬: যজ্ঞ চিকিৎসার বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, যজ্ঞ দ্বারা যক্ষ্মারমত ভয়ংকর রোগও নিরাময় হয়।
(অথর্ববেদে (১৯/৩৮/১)

[ শাস্ত্রে, ‘স্বর্গকামো যজেৎ’, ‘অন্নকামো যজেৎ’, ‘ধনকামো যজেত্‍ ‘পুত্রকামো যজেৎ’ এবং ‘আয়ুষ্কামো যজেৎ' শব্দনিচয় দ্বারা যজ্ঞকে সমস্ত ঐশ্বর্যপপ্রদাতা বলা হয়েছে। ]

৭: সতর্ক করা হয়েছে যে, যজ্ঞ ছাড়া অস্তিত্ব বিপন্ন হয়।
(অথর্ববেদে (১২/২/৩৭)

৮: যজ্ঞকারী ব্যক্তি সুখ ও সমৃদ্ধির উচ্চশিখরে পৌঁছে যায় ৷
(অথর্ববেদে (১৮/৪/২)

৯: “শনু সন্তু যজ্ঞাঃ

অর্থাৎ যজ্ঞ দ্বারা সুখদায়ী বায়ুমণ্ডল নির্মাণ হেতু পদ্ধতিও বলেছে।”
 (ঋগ্বেদ ৭/৩৫/৬) 

১০: সমিধাগ্রিং দুবস্যত .........হব্যা জুহোতন

 মন্ত্রে ভেষজ বায়ু দ্বারা আবহাওয়া পরিশোধক যজ্ঞের দ্বিতীয় পদ্ধতি বর্ণনার সময় নির্দেশ দিচ্ছে যে, ছালযুক্ত যজ্ঞ সমিধাগুলিকে ঘৃতের আহুতিতে প্রজ্জ্বলিত করে তদ্বারা হবি পদার্থের আহুতি প্রদান করে। তাহলে আবহাওয়া পবিত্র হবে।
(যজুবেদ ৩/১)

এর মাধ্যমে আমরা দেখে নিলাম যে সনাতন ধর্মে মধ্যে যজ্ঞ একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রকৃতি এর শুদ্ধিকরণ। নয় কোন অগ্নি পূজা বা কোন প্রকৃতি পূজা। এমনকি বেদে কোন প্রকৃতি এর পূজা করাও নিষেধ। প্রকৃতি উপাদান কে আমরা দেবতা বলি। যার অর্থ গুণবাচক জিনিস যা আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে থাকেন।

♂ সনাতনীরা কি অগ্নি উপাসক ? 

বিধর্মীরা সর্বদা দাবি করে সনাতনীরা অগ্নি পূজা করে এবং তাদের উপাস্য অগ্নি। বেদ থেকে দেবতা অগ্নি কে উপাস্য অগ্নি তে পরিবর্তন করে। যদিও চক্রান্তটি যচেষ্ট পরিমাণ পরিচিত তাও সাধারণ সনাতনী রা ধর্মের সঠিক ধারণা উপযুক্ত প্রমাণ সহিত না পাওয়াতে বিভ্রান্তি এর সৃষ্টি হয়। আমরা যদি স্বয়ং বেদে অগ্নি এর বিশ্লেষণ দেখতে চাই।

★" সত্য এক। ঈশ্বর একজন। জ্ঞানিগণ তাকে
ইন্দ্র, অগ্নি, মিত্র, দিব্য, সুপর্ণা, বরুণ, গরুৎমান, মাতারিশ্ব,যমসহ প্রভৃতি নামে
অভিহিত করে থাকেন। "
- [ ঋগ্বেদ ১/১৬৪/৪৬ ]
.
★" সেই পরমাত্মাই অগ্নি, আদিত্য,
প্রজাপতি, ব্রহ্মা ,আপ , বায়ু, শুক্র ও চন্দ্রমা "
- [ যজুর্বেদ ৩২/১ ]
.
★" হে সর্বজ্ঞ পরমাত্মা (অগ্নি) অাপনি
ইন্দ্র, আপনিই বিষ্ণু এবং আপনিই ব্রহ্মা। 
" [ ঋগ্বেদ ২/১/৩ ]

এছাড়া আমরা গীতাতেও অগ্নি কে পরমেশ্বর এর এক গুনবাচক সত্ত্বা হিসেবেই চিনি।

★তুমি বায়ু, যম, অগ্নি, চন্দ্র, প্রজাপতি ব্রহ্মা, অতএব তোমাকে আমি সহস্রবার প্রণাম করি এবং পুনরায় নমস্কার করি। 
- [ ভগবদগীতা ১১/৩৯ ]

ত আমরা দেখে নিলাম যে বেদ এবং গীতাতে পর্যন্ত অগ্নি কে ঈশ্বর এর ই গুণবাচক নাম হিসেবে পরিচিত করা হয়েছে। কোন রেফারেন্স এই যজ্ঞের অগ্নি কে ঈশ্বর বলে অভিহিত করা হয় নি। করা হয়েছে ঈশ্বর রূপে। এ নিয়ে আমরা দেখে নিলাম। তাই সনাতনীরা অগ্নি উপাসক না।  

♂ যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক বিধি স্বরূপ ও তার প্রামাণ সমূহ - ( রিসার্স পেপার)

এবার দেখে নিব যজ্ঞের ফলে প্রকৃতি ও আমাদের দেহে এর কীরূপ প্রভাব ফেলে এবং তার প্রমাণ। কারণ অবশ্যই ঈশ্বর তখনি কোন জিনিস আমাদের মাঝে বিধান করবেন যা আমাদের জন্য মঙ্গল জনক। তাই আমরা এখন দেখব যজ্ঞ ঈশ্বর এর বিধান কেন দিলেন, এবং তার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ।  

♦ আর্যসমাজ দ্বারা প্রকাশিত " যজ্ঞ ও বিজ্ঞান " থেকে যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক বিধিতে বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন রিসার্স পেপার সহ যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক ঔষধী নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।


চিকাগোতে (ইলিনায়) ১৯৮৫ সনের মে মাসে অনুষ্ঠিত, ‘সেভেন কন্টিনেন্ট ডাউসর্স গ্রুপ স্প্রিং কনভেনশনে’ (ইউ.এস.সৎসঙ্গ ১৩, ৫ জুলাই, ১৯৮৫) শ্রী হোজিজ বক্তৃতা দেওয়ার সময় বললেন, “আমি প্রথমবার যজ্ঞ করে আশ্চর্যজনক ফল লাভ করলাম মন এত শান্ত হলো যে, তিন মিনিটেই মন একাগ্র হয়ে ধ্যানাবস্থা এসে গেল অথচ অন্য সময় এক ঘন্টার আগে এরকম অবস্থায় পৌঁছাতে পারিনি”। এটা স্বাভাবিক যে, যজ্ঞ দ্বারা শরীর ও মনের চাপ (টেনশন) দূর হয়।

আমেরিকার একজন মনোচিকিৎসক শ্রী বেরী রাথনের পুণা বিশ্ববিদ্যালয়ে “মানসিক চাপের উপর হোমযজ্ঞের প্রভাব” নামক বিষয়ে গবেষণা করেছেন। এই ঘরোয়া চিকিৎসায় বাচ্চাদের মৃগী রোগ হ্রাস হতে থাকে এবং মানসিক দিক দিয়ে জড় বুদ্ধি বালকের উন্নতি সম্ভব।

বোম্বাইর জীবাণু বিজ্ঞানী শ্রী এ.জি.মোল্ডকর বায়ুমণ্ডলীয় জীবাণুদের সংখ্যার ওপর যজ্ঞের প্রভাব জানার জন্য ১৯৮২ সালে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করলেন। একটি পরীক্ষায় সমান আকারের দুটি কামরা নির্বাচিত করা হলো। পরীক্ষার আধ ঘন্টা আগে আধুনিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে তাদের মধ্যে এক কামরায় ঠিক সূর্যাস্ত কালে হোমযজ্ঞ করা হলো। দ্বিতীয় কামরাটিতে সেই সব দ্রব্যগুলি পোড়ানো হলো কিন্তু যজ্ঞ হলো না। এইভাবে এই দুই কামরাকে দু ঘন্টার জন্য ব্যবহার করা হলো। তারপর দুটি কামরার রোগ জীবাণু সংখ্যা পুণরায় গণনা করা হলে মোন্ডকর দেখলেন যে, দ্বিতীয় কামরার তুলনায় প্রথম কামরায় রোগ জীবাণুদের সংখ্যা ৯১.৪% হ্রাস প্রাপ্ত হয়েছে। অতএব তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে, যজ্ঞ কেবল ধূম্রক্রিয়া নয় এর চেয়েও অনেক বেশি কিছু যা তদন্ত সাপেক্ষ।

♦ যজ্ঞ ও বৃষ্টি প্রভাব - 

IJISET - International Journal of Innovative Science, Engineering & Technology, Vol. 7 Issue 2, February 2020। [ Venkata Chaganti ]


❐ The Yajna fire generally is between 200 to 1000 degrees Celsius and above. At this temperature generally all materials (eatables, and herbs etc.) are vaporized and the molecules or atoms or ions or nanoparticles rise high into the atmosphere. These molecules have high kinetic energy and travel long distances and climb great heights as the density of these vapors are lesser than the surrounding air. These minute particles have the capacity to interact with the atmospheric gases/particles and cause reduction in the pollution. For example, Sulphur dioxide can be removed using Carbon (Sappok and Walker)".  

[ REFERENCE : R.J. Sappok, P.L. Walker Jr, Journal of Air Pollution Control Association, 16th March 2012. ]

❐ This data for a period of 39 years (from 1981 to 2019) clearly indicates that Yajna gives more rainfall and the quality ---

 [ REFERENCE : Venkata R Chaganti, "Yajna a Solution to Air Pollution", JIRSE (2020) Volume 8, Issue 1. pages (1-11).

♦যজ্ঞের মাধ্যমে ভাইরাস জনিত উপশম দূর করার উপর রিসার্স স্টাডিজ - The researches that continue to happen have revealed that Agnihotro fire and smoke remove biological, chemical and physical pollutants in the air - [ By Dr Jayasree Saranathan]


একদল বিজ্ঞানি যজ্ঞের ফলে ভাইরাসের কীরূপ প্রভাব পড়ে সেটা নিয়ে একটি গবেষণা করেন। যাতে তারা বিভিন্ন ভাবে অগ্নিহোত্র যজ্ঞাদি কর্ম করে বিভিন্ন এক্সপিরিমেন্ট করেন যজ্ঞে ভাইরাস এর প্রভাব নিয়ে। আর সেখানের রিপোর্টে যজ্ঞের কারণে ভাইরাস এর সংখ্যার বিশাল পরিমাণ প্রভাব ও ভাইরাস নির্মূল দেখা দেয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত আছে লিংকে।

❐ Among the other researches, the one done by Nautial etal* notes down the "Absence of pathogenic bacteria Corynebacterium urealyticum, Curtobacterium flaccumfaciens, Enterobacter aerogenes (Klebsiella mobilis), Kocuria rosea, Pseudomonas syringae pv. persicae, Staphylococcus lentus, and Xanthomonas campestris pv. tardicrescens in the open room even after 30 days is indicative of the bactericidal potential of the medicinal smoke treatment."

[ REFERENCE : "Medicinal smoke reduces air-bome bacteria" Journal of Ethnopharmacology (2007) Volume 114, Issue 3, 3 December 2007, Pages 446-451 https://doi.org/10.1016/jjep 2007.08.03.8 ]

♦ কীভাবে যজ্ঞ পরিবেশের দূষণ মাত্রা নিয়ন্ত্রিত ও প্রশমন ঘটায়।  


যজ্ঞ কি বিষাক্ত গ্যাসীয় পদার্থ নির্মূল করতে সক্ষম কি না সেটা জানতে একটি নিরপেক্ষ রিসার্স ইউনিট তৌরি করা হয় যেখানে যজ্ঞের ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন বিষাক্ত প্রক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করার জন্য। সেই রিসার্স পেপারে বেড়িয়ে আসে চমকানো মত তথ্য। ভারতেত বোপাল ট্রেজেডি তে বিষাক্ত গ্যাস থেকে বাঁচতে একজন সার্ভাইবার যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেন এবং সেই যজ্ঞে কর্পূর আদি আয়ুর্বেদী জিনিস পত্র বিনিয়োগ করা হয়। এর ফলে সেখানকার বিষাক্ততা এর মাত্রা সহনশীল পর্যায়ে পৌছে যায় এবং ঐ পরিবার যারা আটকা পড়ে গেছিলেন তাড়াও বেঁচে জান।

❐ Monday, December 3, due to the emission of uncontaminated toxic gases from the gas factory in Bhopal, Madhya Pardesh, when the atmosphere there was affecting people. At the same destructive time, Prof. S.L. KUSHWAHA started his Agnihotra and just 20 minutes after the start of Agnihotra, the atmosphere of his residence became devoid of polluted gases (Saxena et al., 2018b). The KUSHWAHA family and other two families survived the ill effects of these toxic gases (Gupta, 2011). In a Recent Study It was observed that after the performance of YAGYA there was a significant decrease in the indoor EMR level indicating a utility of YAGYA as Non-Conventional solution for reducing indoor EMR level (Saxena et al. 2018c).

[ REFERENCE : Saxena, M., Sharma, M., Sain, M.K., Bohra, G. and Sinha, R. 2018a. Yagya reduced level of indoor ElectroMagnetic Radiations (EMR). Interdiscip j yagya res., 1(2): 23. ]

♦ ভূপাল গ্যাস ট্রেজেডিতে যজ্ঞ করর বেচে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আরো কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে একটি পত্রিকাতে ফুটেজ ও উঠে যা নিচে দ্রষ্টব্য লিংকে পেয়ে যাবেন। 


♦ ভূপাল ট্রেজেডি তে অগ্নিহোত্র / যজ্ঞ দিয়ে জীবন বাচানো গল্প। 


♦ এ নিয়ে আরো কিছু প্রমাণ।


 ♦যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক বিধি নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক রিসার্স পেপার, এখানে মূলত যজ্ঞে গৃহিত আয়ুর্বেদীক ঔষধি জিনিস এর বিনিয়োগ এর প্রভাব বর্ণনা করা হয়েছে - Scientific rationale of Yagya: a review


আমরা সাধারণত যজ্ঞে ঘি, কর্পূর, মধু, এলাচি, লং, দারচিনি ইত্যাদি ঔষধি মশলা ব্যবহার করি আহুতি দেওয়ার জন্য। প্রশ্ন উঠতেই পাড়ে কি জন্যই বা এসব দেওয়া হয় যজ্ঞে। আসলেই কি এর কোন পজেটিভ প্রভাব এই বিশ্ব প্রকৃতে পড়ে ? এ নিয়েই একটি গবেষণা করা হয় ভারতের " ছত্রিশগড়ে " যেখানে সেখানকার, ডিপার্টমেন্ট অফ রেডিওলোজী, প্লাস্টিক সহ বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে একটি রিসার্স করেন। যাতে তারস দেখতে পান যজ্ঞে এই ঔষধি মশলা আহুতি দেওয়ার ফলে প্রকৃতির আবহাওয়া সহ দেহের বিভিন্ন কোনে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

❐ Yagya is directed with selective medicinal preparation of herbs that is forfeited in the holy fire of specified woods along with the chant of specific Vedic Hymes (mantras). The chemical reaction and sublimation of selected wood and havan samagri in an inverted pyramid shaped yagya-kunda to deliver vast amount of health benefits and therapeutic and environmental purification applications.

[ REFERENCE : Singh R. Yagya vedic way to prevent air pollution Dev Sanskriti. Interdisciplinary Int J. 2012;1:29-35. ]  

❐ The chemical transformation (into vapor or gaseous phase/colloidal forms) of the herbal/plant medicinal preparations in Hawan lead to release of medicinal phytochemicals, which affect many endogenous chemicals .

[ REFERENCE : Bansal P. Is there any scientific basis of hawan to be used in epilepsy-prevention/cure? J Epilepsy Res. 2015;5(2):33-45. ] 

মূলত এখানে উক্ত রিসার্স পেপার এর কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ড্রাইভ লিংকে গিয়ে ক্লিক করে জেনে নিতে পাড়েন বিস্তারিত ভাবে।

 ♦যজ্ঞের ফলে চিকিৎসা তথা মানব দেহের জন্য কতটুকু উপকারী তা এই রিসার্স আর্টিকেলে পাওয়া যায় - Agnihootra yajna : A prototype of scientific medical science.


অনুরোধক্রমে উক্ত ড্রাইভ লিংকের রিসার্স পেপার টি ভাল করে পড়ার জন্য বিশেষ ভাবে নিবেদন করা হল। কেননা ঐখানে প্রচুর পরিমাণ প্রমাণাদি দেওয়া যা সব আর্টিকেলে উল্লেখ করা সম্ভব না। মানবদেহের জন্য যজ্ঞ কতটুকু উপকারী হতে পাড়ে তা আমরা এখান থেকেই দেখতে পাড়ব। 

❐ the distinct energy currents emerging from all Vedic fire rituals have been re ported to possess curative actions for diseases, such as headaches, migraines, mental dullness, intellectual de ficiencies, depression, insomnia, intemperance, epilepsy, schizophrenia, and varieties of manias . It is commonly known that the therapeutic value of a yajna is determined by the ingredients used.

[ REFERENCE : Heuberger E, Hongratanaworakit T, Bohm C, Weber R, Buchbauer G. Chem Senses. 2001;26:281-292. - Bansal P, Kaur R, Gupta V, Kumar S, Kaur R. Is there any sci entific basis of hawan to be used in epilepsy-prevention/cure? J Epilepsy Res. 2015;5:33-45.]

এখানে পাওয়া যায়, যজ্ঞের আহুতির ফলে মানবদেহের অতিব উন্নতি সাধিত হয়। এটা কোন মনগড়া কথা নয় বরং একটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি দ্বারা সিদ্ধান্তযুক্ত। 

 ♦যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক রিসার্স পেপার এর ৪১ টি রেফারেন্স সহ প্রমাণ। 


মূলত এখানে যজ্ঞ নিয়ে প্রাপ্ত ৪১ টির অধিক রিসার্স পেপার এর সমষ্টি করে ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই দেখে নিবেন।  

♦ আধুনিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পার্টিকুলার মেটার এর যজ্ঞের ভূমিকা ও এর প্রভাব নিয়ে এই রিসার্স পেপার - - Impact of yajna on particular matter 


যজ্ঞের ফলে PM ( Particular matter) যা পরিবেশে বায়ুর দূষন মাত্রা বুঝতে সাহায্য করে। যা ২.৫ (2.5) এর কম হল তা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বলে মানা হয়। 

❐ After the Yagya was performed, the outdoor PM level kept on increasing. Indoor PM (both PM 2.5 and PM 10) also increased slightly on day 1 but decreased on the day 2. The gap between outdoor and indoor PM (PM 2.5 and PM 10),

♦ যজ্ঞের মাধ্যমে ভাইরাস সহ স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এলিমেন্ট এর ধ্বংস - study on yajna : A vedic process of destroying virus 


যজ্ঞের মাধ্যমে মানবদেহে ইমিউনিটি বোস্ট হয় বলে এই রিসার্সে দেখা গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন রকম পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখা যায় এটি ভাইরাস নয় ; যেকোন বায়ো এলিমেন্ট এর স্বরূপ প্রভাব ফেলে। উল্লেখ্য এই রিসার্স পেপারে যজ্ঞের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ঘি, কর্পূর, সমিধা তথা কাঠ ( আম বট ইত্যাদি) এর গুণবাচকতা নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে যা এন্টি ভাইরাস হিসেবে কাজ করে । 

The main ingredient that is used in Yajna apart from wood is cow ghee that contains many organic compounds. Table-1 gives the details of the ingredients of pure cow ghee for each 100 ml. Table-2 gives the ingredients of grass-fed cow milk that contains majorly organic compounds

বিস্তারিত জানতে অবশ্যই লিংকে ঢুকে দেখে নিবেন। কারণ এখানে গুরুত্বপূর্ণ ফুটেজ গুলা অনেক দরকার হতে পাড়ে।

♦ ভারতের অন্যতম প্রধান সংবাদ মাধ্যম " দ্যা হিন্দু " এর একটি প্রতিবেদন এ দেখা যায় যজ্ঞের ফলে পরিবেশের একটি অতি উত্তর প্রভাব ফেলে। সাথে এটি মাটি থেকে পানি সর্বদা উত্তম প্রভাব করে। যদিও " দ্যা হিন্দু" একটি প্রচন্ড সেকুলার সংবাদপত্র জানা যায়। 


A 4,000 year old fire ritual conducted in the remote village in Kerala in April this year has a positive impact on the atmosphere, soil and other environment effects, according to scientists who are now ready with their findings.

The “Athirathram” ritual held on April 4— 15 at Panjal village in Thrissur district was the focus of a detailed study by a team of scientists led by Prof V P N Nampoori, former director of the International School of Photonics, Cochin University of Science and Technology.

এটি কোচিন প্রোফেসর ভি পি এন নামপরি, ফর্মার ডিরেক্টর অফ ইউনিভার্সিটু সাইন্স এন্ড টেকনোলজি দ্বারা পরিচালিত। তাই এর ক্রেডিবিলিটি নিয়ে কোন সংশয় থাকা উচিত নয় বলে মনে করি।

♦ যজ্ঞ কি এবং এর বর্ণনা ধর্মিয় ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে এখানে দেখা হয়েছে। যা একজন পাশ্চাত্য ব্যক্তি করেছেন। এখানে অসংখ্য জিনিস নিয়ে কথা বলা হয়েছে, বেদে যজ্ঞ নিয়ে কি বলা হয়েছে এবং তার বিস্তার প্রত্যেক কিছু নিয়্র বিস্তারিত বলা হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ পেপারে। - vedic yajna secrifice.


♦ যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক ভাবে পরিবেশ ও মানব দেহের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত একটি রিসার্স পেপার। - The integrated science of yajna. [ Dr. Rajani joshi - IIT Mumbai ] 


এটি মূলত আচার্য শ্রীরাম শর্মা লিখিত একটি গবেষণাপত্র যা ড: রাজনি যশি ( IIT - mumbai) দ্বারা সম্পাদিত। অত্যন্ত বিস্তারিত ভাবে এটি লিখিত করা হয়েছে। এটি নিয়ে জানতে যদি আমরা এর বিষয় বস্ত্র দেখি তা হলেই বুঝা যাবে কত দরকারি ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণাপত্র এটি।  

★ উল্লেখ্য প্রবন্ধ সমূহ - 

1: Origin & Philosophical Foundations Of Yagna - A Brief Introduction.

2: Scientific Aspects Of Yagna.

3: Purification Of Environment By Yagna.

4: Yagnopathy- Medicinal Applications Of Yagna.

5: A Simple Agnihotra For Daily Practice.

6: Subtle Aspects Of Yagna.

এখানে উল্লেখিত প্রত্যেক টপিক নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে উপরে উল্লেখিত ড্রাইভ লিংকের গবেষণা পত্রে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সহ। অবশ্যই সবাই দেখে নিবেন।

♦ অনেকে হয়ত এসব আর্টিকেল বিশ্বাস করবেন না। বলতেই পাড়েন যে এসব লিখিত মনগড়া তথ্য, তাই সবার জন্য ভিডিও সহকারে এটি দেখার অনুরোধ রইল। প্রসিদ্ধ বিশেষজ্ঞ ড: জন হেগলিন ( পিএচডি কুয়ান্টাম ফিজিক্স) তিনি একটি সেমিনারে ভারতীয় বিজ্ঞান প্রসঙ্গে যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে যজ্ঞের বহুবিৎ প্রশংসা করেন এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে তার বর্ণনা ও করেন - Dr. John Hagelin (Ph.D. Quantum Physics) addresses the International Conference to Re-Establish Vedic India held in New Delhi, 20-22 February 2015. This is Dr. Hagelin's presentation on the third day, 22 February.


♦ এনিমেশন মাধ্যমে সাইন্টিফিক যজ্ঞের প্রেক্ষাপট বুঝতে এই ভিডিও দেখতে পাড়েন।


♦ যজ্ঞের বৈজ্ঞানিক স্বরূপ ও উপকারীতা একটি চলচিত্র মাধ্যমে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা দেখতে এই ভিডিও দেখুন।


♦ আরো জানতে চাইলে দেখতে পারেন ।


♂ [ CONCLUSION ] যেমন সনাতন শাস্ত্রে বলা হয়েছে, "যজ্ঞ বৈ শ্রেষ্ঠতমঃ কর্ম " সেই একমাত্র পরমেশ্বর এর বাণী বেদ এর মূখ্য বিষয় এই যজ্ঞ। " যজ্ঞ বৈ বিষ্ণু " সমস্ত জগৎ যজ্ঞে সাধিত হোক। ঠিক তেমনি প্রাচীন কালের মহর্ষিরা নগরে নগরে যজ্ঞ অগ্নিহোত্র কর্ম করে থাকতেন। অবশ্যই এতে মহা ঔষুধ আছে। কৃষি ভিত্তিক ভারতে বৃষ্টির জন্য নিয়মিত যজ্ঞ করা হত। যেন সময় মত বৃষ্টি হতে পাড়ে। এখন তা বৈজ্ঞানিক ভাবে এমনকি পাশ্চাত্য বিজ্ঞানীদের মাধ্যমেই প্রমাণিত যে যজ্ঞ এর ফলে বৃষ্টি হয় বা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। যা আমরা উপরে রিসার্স পেপার সহ দেখে নিলাম।  

সব শেষে এটাই বলব, সনাতন ধর্ম মানব ইতিহাসের একমাত্র ঐশ্বরিক ধর্ম। আর অবশ্যই ঈশ্বর সর্বদা মানবদের জন্য এমন কোন গ্রন্থ দিবেন না যা আধুনিক ও পরিক্ষিত বিজ্ঞানের সাথে অপ্রাসঙ্গিক, অবশ্যই এসব অবৈজ্ঞানিক জিনিস মানব রচিত বিধর্মীদের গ্রন্থেই পাওয়া যায়। আর তার জন্য সত্য সনাতন ধর্ম এক ও অদ্বিতীয় মানবদের কল্যান এর পথ হিসেবে পরিচিত। তাই সনাতনের পথে আসুন। এই পৃথিবীকে আবার আর্য করে তুলুন। বেদের বার্তা প্রত্যেক মনুষ্য কাছে পৌছান। অবশ্যই সত্যের জয় হবেই।

ও৩ম্ কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্যম 

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)