ব্রাহ্মণো জজ্ঞে প্রথমো দশশীর্ষো দশাস্যঃ।
স সোমং প্রথমঃ পপৌ স চকারারসং বিষম্ ॥
অথর্ববেদ ৪।৬।১
আক্ষরিক অনুবাদঃ
এক শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হলো , যার দশ মাথা এবং দশ মুখ ছিলো। তিনি সোম পান করেছিলেন তথা বিষ কে নিষ্প্রভাব করে দিয়েছিলেন।
- ব্রহ্মের সন্তান রূপ হওয়ায় এই ব্রাহ্মণ হলো সূর্য। চার দিক, চার উপদিক , উর্ধ্বা ও ধ্রুবা এই দশ দিকে তার দশ মাথা, এবং তাতে ব্যাপ্ত রশ্মিপুঞ্জ তার দশ মুখ। এই মুখ গুলো দ্বারা তিনি ভূমিষ্ট রসের পান করেন তথা তিনি তেজ দিয়ে বিষ নিষ্প্রভাব করে দেন [ ঋ০ ১।১৪৬।১ ] ।
কিংবা
- (প্রথমঃ) সমস্ত বর্ণের মধ্যে প্রধান, (দশশীর্ষঃ) দশ প্রকারের [১-দান, ২-শীল, ৩-ক্ষমা, ৪-বীর্য, ৫-ধ্যান, ৬-বুদ্ধি, ৭-সেনা, ৮-উপায়, ৯-গুপ্ত দূত, ও ১০-জ্ঞান] বলে মাথা স্থাপনকারী, এবং (দশাস্যঃ) দশ দিশায় মুখের সমান পোষণ শক্তিসম্পন্ন বা দশ দিশায় স্থিতিশীল (ব্রাহ্মণঃ) ব্রাহ্মণ অর্থাৎ বেদবেত্তা মানব (জজ্ঞে) উৎপন্ন হয়েছে। (সঃ প্রথমঃ) সেই প্রধান পুরুষ (সোমম্) সোম নাম ঔষধির রস বা ব্রহ্মানন্দ রস (পপৌ) পান করেছেন, এবং (সঃ) তিনি (বিষম্) জাগতিক বিষ কিংবা বিষয়াসক্তি রূপ বিষকে (অরসম্) প্রভাবহীন করেছেন ।
অধ্যাত্মে
- এই ব্রাহ্মণ হলো আত্মা। তার দশ প্রাণ তথা দশ ইন্দ্রিয়-রূপ দশ মাথা এবং দশ মুখ রয়েছে। তিনি অসরতায় সোমরস পান করেছিলেন, অতএব তিনি অমর, তথা তার উপর সাংসারিক বিষের প্রভাব পড়ে না । শরীর বিষে মৃত্যু প্রাপ্ত হয়ে গেলেও, তারপরও আত্মা মৃত্যু প্রাপ্ত হয় না ।
বাংলাদেশ অগ্নিবীর