অর্ভকো ন কুমারকোঽধি তিষ্ঠন্নবং রথম্ ।
স পক্ষন্মহিষং মৃগং পিত্রে মাত্রে বিভুক্রতুম্ ॥
ঋগ্বেদ ৮.৬৯.১৫
আক্ষরিক অনুবাদঃ
একটি
প্রাণী আছে, যা একটি ছোট শরীরের কুমারের মত নতুন রথে আরুঢ় হয়েছে । সে তার
পিতামাতার জন্য ব্যাপক কর্মযুক্ত মহিষ (মহিষ) এবং মৃগ (হরিণ) পক্ব করে।
যেহেতু মন্ত্রের দেবতা 'ইন্দ্র' তাই এই মন্ত্রোক্ত প্রাণীটি ইন্দ্র।
ইনি
হলেন ইন্দ্র = সূর্য, যিনি একটি উজ্জ্বল নতুন রথে আকাশে অবতরণ করেন। পিতা ও
মাতা দ্যাবাপৃথিবী বা জগতের নর-নারী । মহিষের মতো কালো হওয়ায় ও আকাশে
হরিণের মতো ছুটে বেড়ানোয় মেঘই হলো মহিষ আর হরিণ । মহিষাকৃতি ও মৃগাকৃতি
ধারণ করলে একে মহিষ ও মৃগও বলা যায় । ইন্দ্র কর্তৃক এই মহিষ ও হরিণ
রান্নার উদ্দেশ্য হল মেঘকে বর্ষোন্মুখ করা [ ঋ০ ৬।১৭।১১,৫।২৯।৮ ] ।
- আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে,
ইন্দ্র
হল আত্মা, যা দেহরূপ নতুন রথে উপবিষ্ট [ ঋ০ ১০।১৩৫।৩, কঠ০উ০ ৩।৩ ] ।
মহিষ হল তমোগুণের প্রতীক এবং মৃগ হল রজোগুণের প্রতীক। আর মহিষ হল তমোময় মন
এবং মৃগ হল রজোময় মন [ ঋ০ ৭।১০৪।২২, ১।২৯।৫ ] । জগতের পিতামাতার মঙ্গলের
জন্য আত্মা তাদের তমোময় ও রাজময় মনকে পরিপক্ক [ ঋ০ ৭।১০৪।৮-৯, ৮।৩।২১,
৮।২।২৫ ] করে সত্ত্বগুণযুক্ত করে তোলে । বিবিধ সংকল্প ও কর্মযুক্ত হওয়াতেই
মন বিভুক্রতু [ যজু০ ৩৪।৩ ] ।
বাংলাদেশ অগ্নিবীর