ঋগ্বেদের পুরুষসূক্তে শূদ্রকে পায়ের সাথে উপমা দেওয়া হয়েছে ।
ব্রাহ্মণোস্য মুখমাসীদ্ বাহূ রাজন্যঃ কৃতঃ।
ঊরু তদস্য যদ্বৈশ্যঃ পদ্ভাংশূদ্রো অজায়ত।।
ঋগ্বেদ ১০।৯০।১২
সরলার্থঃ
ব্রাহ্মণ [জ্ঞানী পুরুষ] এই পুরুষের মুখ হয়, ক্ষত্রিয় [পরাক্রমীব্যক্তি]
এই পুরুষের বাহু। যাহা এই পুরুষের উরু তাহা বৈশ্য [পোষণশক্তিসম্পন্ন
ব্যক্তি] এবং পা শূদ্ররূপে [সেবাধর্মী ব্যক্তিরূপে] প্রকট হয়।
বিবিধ ব্যক্তিগণ এই উপমাকে হীনসূচক হিসেবে মনে করেন ।পূর্বাপর সামান্য পড়লেই বোঝা যায় তাদের এই চিন্তা অমূলক । কেননা পরবর্তীতে একই সূক্তে ইত্যাদিকেও পাদস্থানীয় উল্লেখ করা । অথচ এগুলোর কোনটিকেই নিন্দনীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় না । বিস্তারিত পড়ুন - https://www.agniveerbangla.org/2023/07/blog-post.html?m=1
শরীরের কঠিন কাজ পা দিয়ে সম্পন্ন হয় । প্রয়োজন হলে পা হাতকে সাহায্য করতে পারে । সমাজে শূদ্রের সেইরকম অবস্থান । এ যেহেতু সমাজের নিম্ন বর্গ অর্থাৎ বিশেষ করে আর্থিক দিক দিয়ে নিম্ন , শরীরের নিম্নাংসের মতো এর উপর সম্পূর্ণ সমাজ নির্ভরশীল । দরকারবোধে শূদ্র ক্ষত্রিয়ের কাজও করতে পারে । শূদ্রেরা শারীরিক দিক দিয়ে সামর্থ্যবান , তাদের এই সামর্থ্যকে নানা ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে । পা আমাদের শরীরকে উপরে উঠিয়ে রাখে । এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায় । স্বয়ং কাদা-মাটি-ধুলায় যুক্ত থাকলেও , শরীরের অন্য ভাগকে পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে । পায়ের কাজই হল শরীরের সেবা করা– এটা তার প্রথম গুণ । কোন বিশেষ গুণ পায়ে থাকে না অথচ পা না হলে শরীর চলতেও পারে না । সংস্কার বিধিতে মহর্ষি দয়ানন্দ শূদ্র সম্পর্কে বলেছেন–
“যে বিদ্যাহীন , পড়ালেও যার বিদ্যা হয় না , শারীরিক
শক্তি সামর্থবিশিষ্ঠ , সেবায় কুশল সেই শূদ্র । রাষ্ট্রের সব শিশুকে
শিক্ষার জন্য গুরুকুলে পাঠাতে হবে । সেখানে যে শিশু পড়াশোনার অবসর পাওয়া
সত্ত্বেও পড়তে পারে না এবং এমন কোন কাজ করতে পারেনা , যার জন্য
বুদ্ধি-কৌশলের প্রয়োজন হয় , তাকে শূদ্র বলা হবে । তাকে জীবিকার জন্য
শারীরিক কর্মের (manual) উপর নির্ভর করতে হবে । এইজন্য পুরুষ সূক্তে বর্ণিত
'পদভ্যাং শূদ্রো অজায়ত' দ্বারা পায়ের সঙ্গে উপমা দেওয়া হয়েছে । এখানে
পা থেকে শূদ্রের উৎপত্তি আক্ষরিক অর্থে বলা যুক্তিহীন । প্রথমতঃ ঈশ্বরের
হাত-পা হয় না , দ্বিতীয়ত মানুষের মতো পা হলে শূদ্র কি সব পায়ের মতো হয়ে
যাবে ? এছাড়া যজুর্বেদ ‘তপসে শূদ্রম্’ [৩০।৪] বাক্যেও শূদ্রের কর্তব্যের
দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে । 'তপঃ’র অর্থ কষ্ট সহ্য করা । 'তপঃ’র সম্বন্ধে
বেদে অন্যত্র ব্রাহ্মণাদির ক্ষেত্রেও বর্ণিত আছে । ব্রাহ্মণাদির জন্য
তপস্যা শরীর সম্পর্কীয় স্থূল কষ্ট ব্যথিত মন ও আত্মা সম্পর্কীয় সূক্ষ্ম
কষ্ট সহ্য করতে হয় । শূদ্রের তপে সেই সূক্ষ্মতা নেই । বুদ্ধি প্রয়োগ করে
যত কাজ আছে (Standard) ততদূর যে পৌঁছাতে পারবে না , সে শূদ্র নামে অভিহিত
হবে ।
এই প্রকার কোন বর্ণ প্রাপ্ত করার জন্য নিম্নতম যোগ্যতার
নির্ণয় রাজ্য করবে । যে ব্যাক্তি নির্ধারিত যোগ্যতা প্রাপ্ত করবে সে সেই
বর্ণের বলা হবে । কোন ব্যক্তির বর্ণ নির্ণয় তার মাতা-পিতার নির্ণয়াত্মক
হবে না । প্রত্যেক ব্যক্তি রাজ্য নিয়ম অনুযায়ীই কোন বর্ণ প্রাপ্ত হতে
পারবে । নিশ্চিত রাজ্য-নিয়ম মতো গুরুকুল শিক্ষণ সংস্থার আচার্যাদি
ব্যক্তিরা কোন বর্ণের উদ্ঘোষণা করতে পারবেন । এই বিষয়ে রাজ্য– নিয়ম
উলঙ্ঘনকারী লোকেরা রাজ্যের পক্ষ থেকে দণ্ডনীয় হবে ।
'
শূদ্র ' শব্দটি শুচ্ ধাতু [ শোকার্থক - ভ্বাদি ] 'শুচের্দশ্চ' [উণা০
২।১৯] সূত্রে 'রক্' প্রত্যয়, উকারকে দীর্ঘ, চ - দ হয়ে নিষ্পন্ন হয় । যে
কোন কুলে উৎপন্ন অশিক্ষিত হয়ে থাকা ব্যক্তি শূদ্র বর্ণের । 'শূদ্রঃ শু
দ্রবতি, আয়ু দ্রবতি ' অর্থাৎ যে অশিক্ষিত হওয়ার কারণে নিযুক্ত হয়ে গমনাগমন,
সেবা ও শ্রমের কাজ করে । এখানে শূদ্রের কাজটি বৃত্তিমূলক । পেশা নয় ।
পেশায় দ্বিজত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন । এজন্যই একজন প্রকৌশলী ও
শ্রমজীবী যথাক্রমে পেশা ও বৃত্তি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে ।
শূদ্রঃ
= শোচনীয়ঃ শোচ্যাং স্থিতিমাপন্নো বা, সোবায়াং সাধুর্ অবিদ্যাদিগুণসহিতো
মনুষ্যো বা = শূদ্র সেই ব্যক্তি যে মানবযোনীতে জন্মগ্রহণের পর স্বীয়
বিদ্যাহীনতার জন্য উপরস্থ বর্ণ প্রাপ্ত করতে পারে না তথা সেই বর্ণ লাভের
জন্য সদা চিন্তা করে কিংবা নিয়োজক দ্বারা যার ভরণপোষণের চিন্তা করা হয় এমন
সেবাদানকারী । ব্রাহ্মণ গ্রন্থেও পাওয়া যায় ' অসতো বা এষ সম্ভুতো যৎ
শূদ্রঃ' [ তৈ০ ব্রা০ ৩।২।৩।৯ ] । অসতঃ = অবিদ্যাতঃ । বিদ্যাহীনতার জন্য
শিক্ষাগতভাবে যার অবস্থান নিম্ন ও শুধুমাত্র দৈহিক বলে সেবাদি কাজই করতে
সক্ষম এমন মানুষ শূদ্র । কিন্তু জীবনে সে চাইলে শিক্ষা অর্জন করে উচ্চ বর্ণ
লাভ করতে পারে [ মনু০ ১০।৬৫ ] শূদ্রের কর্তব্য নির্ধারণে শূদ্রের প্রকৃত
স্বরূপ মহর্ষি মনুর দৃষ্টিতে কেমন তা বোঝা যায় ।
মহর্ষি মনু শুচিঃ =
পবিত্র [ শারীরিক ও মানসিক ভাবে ] এবং উৎকৃষ্ট শুশ্রূষুঃ = উত্তম সেবক -
এমন বিশেষণ প্রয়োগ করেছেন [ ৯।৩৩৫ ] । এতে সুস্পষ্ট হয় যে, মহর্ষি মনু
শূদ্রদের প্রতি হীনভাব বা অস্পৃশ্যতার সমর্থক ছিলেন না বরং এমন শ্লোক
প্রক্ষিপ্তই । বৃহদারণ্যকোপনিষদ [১।৪।১৩]তে বলা হয়েছে -
স নৈব ব্যভবৎ স শৌদ্রং বর্ণমসৃজত পূষণমিয়ং বৈ পূষেয়ং হীদং সর্বং পুষ্যতি যদিদং কিঞ্চ ॥
অর্থাৎ, শূদ্রই ' পূষণম্ ' । পৃথিবীই পূষা কেননা এই পৃথিবীই তদুপৃষ্ঠে স্থিতকে পোষণ করে ।
যেই
ভূমিতে আমরা সকল প্রাণী স্থিত সেই পৃথিবী নিজেই পূষা অর্থাৎ তাকেও
শূদ্রবর্ণস্থ ধরা হচ্ছে । এমতাবস্থায় সেই বর্ণের মানব কিভাবে অস্পৃশ্য -
অশুচি হতে পারে ? কেননা
সর্বকুলে থেকে সবার সেবক কিভাবে অস্পৃশ্য বা অপবিত্র হতে পারে ? মনু
শূদ্রকে অস্পৃশ্য মানতেন না । বরং মহর্ষি মনুর মতানুসারে চার বর্ণের
অন্তর্গত হওয়ার কারণে শূদ্র সবর্ণ ও আর্য [ ১০।৪,৪৫,৫৭ ] শূদ্র জন্মগত হয়
না, বরং সেই ব্যক্তিই শূদ্র যে উপনয়ন লাভ করে ব্রহ্মজন্ম অর্থাৎ বেদাধ্যয়ন
রূপ দ্বিতীয় জন্ম লাভ করতে পারে না । দ্বিজ = দ্বির্জায়তে ইতি দ্বিজঃ,
শূদ্রের এই দ্বিজত্ব চূড়ান্তভাবে লাভ না হওয়াতে তাকে বলা হয়েছে 'চতুর্থ
একজাতিস্তু শূদ্রঃ' অর্থাৎ একজাতিঃ = একজন্ম ।
শূদ্রের উপনয়নের উল্লেখ কেন নেই শাস্ত্রে - https://www.agniveerbangla.org/2020/06/blog-post_28.html?m=1
‘জন্ম
হোক যথা তথা-কর্ম হোক ভাল’ । নিম্ন বংশ বিশেষে উৎপন্ন হওয়ার কারণে কোন
ব্যক্তি শূদ্র হয় না , যার মধ্যে জ্ঞান শক্তির নূন্যতা আছে সে শূদ্র , তাই
সে উচ্চবংশে জন্ম গ্রহণ করুক না কেন ? শূদ্র কোন প্রকার ঘৃণার পাত্র নয় (
আমরা কি নিজের পা–কে ঘৃণা করি? ) বরং অনুকম্পা , স্নেহপূর্ণ দয়া ও
প্রেমের পাত্র । শূদ্রের শব্দার্থ– ‘শূচং দ্রাবয়তি’ যাকে দেখে লোকের মনে
দয়া উৎপন্ন হয় যে , দেখ , বেচারা কোন কারণে জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি ,
শিক্ষা যোগ্যতা লাভ করতে পারেনি , সুতরাং প্রেমের পাত্র , ঘৃণার পাত্র নয় ,
এইজন্য বেদে বলেছে —
রুচং॑ নো ধেহি ব্রাহ্ম॒ণেষু॒ রুচ॒ꣳ রাজ॑সু নস্কৃধি।
রুচং॒ বিশ্যে॑ষু শূ॒দ্রেষু॒ ময়ি॑ ধেহি রু॒চা রুচ॑ম্॥
যজুর্বেদ ১৮।৪৮
অর্থাৎ–
হে পরমাত্মন্ ! আপনি ব্রাহ্মণ মধ্যে আমাদের প্রেম দিন , ক্ষত্রিয় মধ্যে
আমাদের প্রেম দিন , বৈশ্য মধ্যে আমাদের প্রেম দিন এবং শূদ্র মধ্যে আমাদের
প্রেম দিন , আপনি প্রেম দ্বারা আমাদের মধ্যে প্রেম উৎপন্ন করুন ।
বর্তমান কালে জন্মের উপর আশ্রিত যে বর্ণব্যবস্থা ভারতীয় হিন্দু সমাজে
প্রচলিত হয়ে গিয়েছে এবং তার ফলে শূদ্রের উপর যে ঘৃণার ভাব পাওয়া যায় ,
সে সব বেদরহস্য না বোঝার কারণে ।
প্রি॒য়ং মা॑ কৃণু দে॒বেষু॑ প্রি॒য়ং রাজ॑সু মা কৃণু।
প্রি॒য়ং সর্ব॑স্য॒ পশ্য॑ত উ॒ত শূ॒দ্র উ॒তার্যে॑ ॥
অথর্ববেদ ১৯।৬২।১
অর্থাৎ আমাকে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের মধ্যে প্রিয় কর , আমাকে বৈশ্য ও শূদ্রের মধ্যে প্রিয় কর ।বৈদিক বর্ণব্যবস্থা - https://www.agniveerbangla.org/2021/07/blog-post_20.html?m=1
মহর্ষি
দয়ানন্দ সরস্বতী সত্যার্থ প্রকাশে শূদ্রদের আর্য বর্ণব্যবস্থার
অন্তর্ভুক্তই ধরেছেন । পাশাপাশি শূদ্রকে অনার্য যেখানে বলেছেন ঠিক তার
সাথেই আনাড়ী বলেছে অনার্য অর্থ এখানে যে আর্য বর্ণাশ্রমের সাথে সম্পৃক্ত নয়
তা সুস্পষ্ট করেছেন । যেমন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় [২।২] অর্জুনকে আর্য
ক্ষত্রিয় হওয়া সত্ত্বেও গুণ ও বৈশিষ্ট্যবাচক বিশেষণরূপে
'অনার্যজুষ্টমস্বর্গ্যমকীর্তিকরমর্জুন' বলেছেন । শূদ্রের বেদাধিকার যেমন
যজুর্বেদ ২৬।২ দ্বারা স্বীকার ও সমর্থন করেছেন পাশাপাশি ৩য় সমুল্লাসে আরো
বলেছেন -
পরমেশ্বর কি শূদ্রদের মঙ্গল করতে ইচ্ছা করেন না? তিনি কি
পক্ষপাতী যে, বেদের অধ্যয়ন এবং শ্রবণ শূদ্রদের জন্য নিষিদ্ধ এবং দ্বিজদের
জন্য বৈধ করলেন? যদি শূদ্রদের সকলকে বেদ পড়ার ও শোনানোর অভিপ্রায় তাঁর না
থাকত তা হলে তিনি শূদ্রদের শরীরে বাক্, শ্রোত্রেন্দ্রিয় রচনা করলেন কেন?
পরমাত্মা যেমন সকলের জন্য পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, চন্দ্ৰ, সূর্য এবং
অন্নাদি যাবতীয় পদার্থ সৃষ্টি করেছেন, তেমন বেদও সকলের জন্য প্রকাশ করেছেন
।ঋগ্বেদ
ও যজুর্বেদে অসংখ্যস্থলে পঞ্চজনের উল্লেখ পাওয়া যায় পঞ্চ মানবাঃ [
অথর্ববেদ ৩।২১।৫ ], পঞ্চমানুষাঃ [ঋগ্বেদ ৮।৯।২], পঞ্চজনাঃ [ ঋগ্বেদ ১০।৪৫।৬
] । ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ৩।৩১।৫ দেব - মনুষ্য - গন্ধর্ব - পিতর - অপ্সরস্
-সর্প, যাস্ক নিরুক্ত ৩।৮ এ পূর্ব প্রকারভেদেই অপ্সরস্ স্থলে অসুর ও
ঔপমন্যবের মত প্রদর্শন করে চারবর্ণ ও নিষাদ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন । আর
নিঘণ্টু ২।৩ অনুযায়ী 'পঞ্চজনাঃ' 'মনুষ্য'র পর্যায়বাচী শব্দ । অর্থাৎ
পঞ্চজনা সমস্ত মানবই নির্দেশ করে । অথর্ববেদে বলা হয়েছে -
ইমা যাঃ পঞ্চ প্রদিশো মানবীঃ পঞ্চ কৃষ্টয়ঃ।
বৃষ্টে শাপং নদীরিবেহ স্ফাতিং সমাবহান্ ॥
অথর্ববেদ ৩।২৪।৩
অর্থাৎ,
পঞ্চদিকে যে পঞ্চপ্রকার মানব [ ব্রাহ্মণ - ক্ষত্রিয় - বৈশ্য - শূদ্র ও
নিষাদ=চারবর্ণের বাইরে যে ] তারাও যেন সমৃদ্ধি লাভ করে ।
বিশ্বস্য কেতুর্ভুবনস্য গর্ভ আ রোদসী অপৃণাজ্জায়মানঃ ।
বীল়ুং চিদদ্রিমভিনৎপরায়ঞ্জনা যদগ্নিময়জন্ত পঞ্চ ॥
ঋগ্বেদ ১০।৪৫।৬
অর্থাৎ, পঞ্চজন = মানবমাত্রেই অগ্নিহোত্রে অগ্নির = পরমাত্মার যজন=পূজা করে ।
উপর্যুক্ত পর্যালোচনায় আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, শূদ্র বর্ণ
জন্মভিত্তিক নয় । যজ্ঞে অংশগ্রহণের অধিকার বিদ্যমান । শাস্ত্রীয়
প্রেক্ষাপটে যেখানে অনধিকার দৃষ্ট হয় তা স্বীয় বিদ্যাহীনতার জন্যেই উক্ত
কর্মে অনধিকার । মানবাধিকারে ও আর্যত্বের মৌলিক নীতিতে চতুর্বর্ণের মধ্যে
মৌলিক কোন ভেদাভেদ নেই ।
বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক