১. সর্বক্ষণ ঈশ্বরের সঙ্গে সম্বন্ধ বজায় রাখা ।
৩. বেদ এবং বেদানুকূল ঋষিকৃত গ্রন্থের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা ।
৪. ঈশ্বর-জীব-প্রকৃতি (ত্রৈতবাদের) স্বরূপকে যথার্থ রূপে জানা ।
৫. সংসারের বিষয় ভোগে চার প্রকারের দুঃখ [ রোগ, হতাশা, একাকীত্ব এবং অসন্তুষ্টি ] ও ত্রিবিধ দুঃখের অনুভব করা ।
৬. বিষয় ভোগের সুখ না নেওয়া, নিজের মন - ইন্দ্রিয়ের উপর অধিকারী হওয়া ।
৭. ঈশ্বরের দেওয়া সাধনকে ঈশ্বরের আজ্ঞানুসারে (ধর্মপূর্বক) সাধক রূপে উচিত মাত্রায় ব্যবহার করা ।
৮. ফলের আশা না করে তিন এষণাকে ত্যাগ (পুত্রেষণা, লোকেষণা, বৃত্তেষণা) করে নিষ্কাম ভাবনায় কর্ম করা ।
৯. ইচ্ছা পূরণ না হলে, অপমান, অসফলতা, দুঃখ আসিলে, ইত্যাদি পরিস্থিতিতে চিন্তিত, ভয়ভীত, ক্ষোভযুক্ত, দুঃখী না হওয়া ।
১০. সমস্ত সংসার ঈশ্বরে ব্যপ্ত আছে এই রকম অনুভব করা ।
১১. দৈনন্দিন কাজ কর্ম ও ব্যবহারের সময় অত্যন্ত সাবধান থাকা ।
১২. আধ্যাত্মিক অবিদ্যা (অনিত্য-অশুচি ইত্যাদি) হতে মুক্ত থাকা এবং বিদ্যাযুক্ত হওয়া ৷
১৩. সমস্ত অবিদ্যা যুক্ত সংস্কারকে দমিয়ে রাখতে সক্ষম হওয়া ।
১৪. মৃত্যু সামনে আসলেও যেন অষ্টাঙ্গযোগের যমরূপী মহাব্রত পালনে বিরত না হওয়া ।
১৫. প্রত্যেক সময় প্রসন্ন, সন্তুষ্ট, নির্ভয়, উৎসাহী, পুরুষার্থী এবং আশাবাদী হতে চেষ্টা করা ।
১৬. শরীর, বল, বিদ্যাকে এষণার জন্য প্রদর্শন না করা ।
১৭. অসত্যের ত্যাগ এবং সত্য গ্রহণ করা ।
১৮. ধন, বল কীর্তি ইত্যাদি প্রাপ্তির লোভে আদর্শের ত্যাগ বা তার সাথে কখনো সমঝোতা না করা ।
১৯. শুদ্ধ জ্ঞান, শুদ্ধ কর্ম, শুদ্ধ উপাসনা এই তিনের সমায়োজন করে চলা।
২০. গম্ভীর, মৌন,একান্তসেবী, সংযমী, তপস্বী হওয়া । (বিশেষ করে প্রথম অবস্থায়)।
২১.
দেশ, জাতি, প্রান্ত, ভাষা, মতপথ, রূপ-রং, লিঙ্গ, ইত্যাদির ভেদাভেদ না করে
সবাইকে ভালবাসা, সকলের হিতৈষী, দয়ালু, কল্যাণকারী হওয়া ।
২২. যোগদর্শন, উপনিষদ্ বা অন্য আধ্যাত্মিক গ্রন্থের সত্য সিদ্ধান্তকে ঠিক-ঠিক জেনে তার আচরণ করা ।