বেদে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা কোথায় আছে
য়ে বা॒জিনং॑ পরি॒পশ্য॑ন্তি প॒ক্বং য়ऽঈ॑মা॒হুঃ সু॑র॒ভির্নির্হ॒রেতি॑।
য়ে চার্ব॑তোমাᳬंসভি॒ক্ষামু॒পাস॑তऽউ॒তো তেষা॑ম॒ভিগূ॑র্ত্তির্নऽইন্বতু॥
যজুর্বেদ ২৫।৩৫
পদার্থ: (য়ে) যারা (অর্বতঃ) অশ্বের (মাংসভিক্ষাম্) মাংস যাচনা (উপাসতে) করে (চ) এবং (য়ে) যারা (ঈম্) প্রাপ্তব্য অশ্বকে হত্যার যোগ্য (আহুঃ) বলে; তাদেরকে (নিঃ,হর) দূরে নিক্ষিপ্ত করো, সর্বতোভাবে বের করে দাও। এবং (য়ে) যারা (বাজিনম্) বেগবান অশ্বের (পক্বম্) পরিপক্ব স্বভাবের (পরিপশ্যন্তি) পরীক্ষা করে (উতো) এবং (তেষাম্) তাদের (সুরভিঃ) সুগন্ধ এবং (অভিগূর্ত্তিঃ)পুরুষার্থ (নঃ) আমাদের (ইন্বতু) লভ্য হোক, (ইতি) এমন কামনা।
ভাবার্থ: যারা অশ্বাদি শ্রেষ্ঠ পশুদের মাংস খেতে ইচ্ছুক তাদেরকে রাজাদি শ্রেষ্ঠ পুরুষগণ বিরত করবেন যাতে মানুষের উদ্যম লাভ সিদ্ধ হয়।
অর্থাৎ যারা কিনা ঘোড়ার মাংস খেতে চায়, যে ঘোড়া উপকারী ও আমাদের নিকট থাকা উচিত সেগুলোকে হত্যার যোগ্য বলে তাদেরকে রাজা এমন করা থেকে বিরত করবেন। যারা ঘোড়ার নিরীক্ষক তারা ঘোড়াকে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন যেন সেই ঘোড়াকে কাজে লাগিয়ে তার যশ-সুগন্ধ ও উদ্যম আমরাও লাভ করতে পারি। অর্থাৎ আমরাও যেন ঘোড়ার স্বভাব পরীক্ষা করে ঘোড়াকে উত্তম কাজে ব্যবহার করি পাশাপাশি ঘোড়ার বৈশিষ্ট্য গবেষণা করে নিজেরাও উদ্যম বৃদ্ধি করতে পারি ।
য়ন্নীক্ষ॑ণং মাঁ॒স্পচ॑ন্যাऽউ॒খায়া॒ য়া পাত্রা॑ণি য়ূ॒ষ্ণऽআ॒সেচ॑নানি।
ঊ॒ষ্ম॒ণ্যা᳖ऽপি॒ধানা॑ চরূ॒ণাম॒ঙ্কাঃ সূ॒নাঃ পরি॑ ভূষ॒ন্ত্যশ্ব॑ম্॥
যজুর্বেদ ২৫।৩৬
পদার্থ: (য়া) যে (ঊষ্মন্যা) উষ্ণতায় উপযুক্ত (অপিধানা) আচ্ছাদন (আসেচনানি) সর্বত্র সিঞ্চিত করার (পাত্রাণি) পাত্র, (য়ৎ) যে (মাংস্পচন্যাঃ) মাংস রান্নার (উখায়াঃ) স্থালীকে (নীক্ষণম্) নিকৃষ্টভাবে [ ঘৃণার চোখে - অনুবাদক ] দেখা, (চরূণাম্) পাত্রসমূহের (অঙ্কাঃ) লক্ষণ (সূনাঃ) প্রসিদ্ধ এবং যে (য়ূষ্ণঃ) শুভ কর্মের বর্দ্ধক মানবের (অশ্বম্) অশ্বের (পরি, ভূষন্তি) সর্বতোভাবে অলংকৃত করে, সেগুলো স্বীকার্য।
ভাবার্থ: যদি কেউ অশ্বাদি উপকারী পশু এবং উত্তম পাখিদের মাংস খায় , তবে তাদেরকে অবশ্যই যথাপরাধ দণ্ড দেবে।
অর্থাৎ বিদ্বানরা উষ্ণতায় উপযোগী আচ্ছাদন = ঢাকনা, সবদিকে জল সিঞ্চন করার পাত্রগুলোকে নিরীক্ষণ করবেন। যাতে মাংস রান্না করা হয় এমন পাত্রকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখবেন । পাত্রের প্রসিদ্ধ চিহ্নগুলোকেও নিরীক্ষণ করবেন । যদি কেউ উপকারী পশু-পাখির মাংসাহার করে তবে তাকে রাজদণ্ড অবশ্যই দিতে হবে ।
অথর্ববেদে অশ্ববধকারীকে দণ্ডদানের বিধান রয়েছে -
যদি॑ নো॒ গাং হংসি॒ যদ্যশ্বং॒ যদি॒ পূরু॑ষম্।
তং ত্বা॒ সীসে॑ন বিধ্যামো॒ যথা॒ নো ঽসো॒ অবী॑রহা ॥
অথর্ববেদ ১।১৬।৪
অর্থাৎ, যদি তুমি আমাদের গরু, অশ্ব ও প্রজাদিগকে হিংসা কর তবে তোমাকে সীসকের গুলি দ্বারা বিদ্ধ করিব। আমাদের সমাজের মধ্যে যেন বীরদের বিনাশকারী কেহই না থাকে।
অলমিতি ।
বাংলাদেশ অগ্নিবীর