কন্যা ভ্রূণ হত্যা অনগ্রসর উপমহাদেশীয় সমাজে এখনো এক বড় সমস্যা। বিশ্বের সবচেয়ে অধিক ভ্রূণহত্যায় পাকিস্তান এখনো পর্যন্ত প্রথম,ভারত দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থায় আছে।পাকিস্তান এর আর্থসামাজিক বিপর্যয় ও এই ধরনের সংবেদনশীল সংবাদ প্রাপ্তির অপ্রতুলতা থাকায় ধরা হয় পাকিস্তানে সরকারী হিসেব ৫০/১০০০ হলেও প্রকৃত সংখ্যা প্রতি ১০০০ এ ৬৫ এর অধিক হবে।ভারতে তা প্রতি ১০০০ এ ৪৭ এবং বাংলাদেশে ৩৯।
পবিত্র বেদ যেখানে কন্যা সন্তান প্রাপ্তিকে বিরাট সৌভাগ্য বলে ঘোষণা করে সেখানে বেদজ্ঞান এর অভাবে ভারত-নেপালের মত জায়গায় প্রচুর কন্যা ভ্রূণহত্যা সংগঠিত হয় যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
পবিত্র ঋগ্বেদ ৮.৩১.৮ বলছে-
পুত্রিনা তা কুমারিনা বিশ্বমায়ুর্বৈশ্নুতঃ।
উভা হিরণ্যপেশস।।
অর্থাৎ কন্যা সন্তান প্রাপ্তি জগতে সুখের সাথে বেঁচে থাকার ও কল্যান লাভ করার এক হিরণ্য(সোনালী) উপায়।
ঋগ্বেদ ১০.১৫৯.৩ বলছে-
মম পুত্র শত্রুহনোহমে দুহিতা বিরাট...
অর্থাৎ পুত্র সন্তান শত্রুঘাতক , কন্যা সন্তান বিরাট সৌভাগ্যদায়ক
কন্যা সন্তান প্রাপ্তিতে এই মন্ত্রে বিজয়ী হিসেবে ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে বলা হয়েছে।
বৃহদারণ্যক উপনিষদ বলছে-
....দুহিতামে পণ্ডিতা জায়তে, সর্বম আয়ুঃ ইতি....
(বৃহদারণ্যক উপ.- ৬/৪/১৭)
"আমার বিদুষী কন্যা জন্ম লাভ করুক এবং সে পূর্ণায়ু হোক।"
বৈদিক ধর্মে যে ৫ টি মহাপাতক বা গুরুপাপ এর কথা বলা হয় তার মধ্যে ভ্রূণহত্যা অন্যতম।
মনুসংহিতা ৫.৯০ বলেছে-
পাষণ্ডমাশ্রিতানাঞ্চ চরন্তীনাঞ্চ কামতঃ।
গর্ভভর্তৃদ্রুহাঞ্চৈব সুরাপীনাঞ্চ যোষিতাম।।
অর্থাৎ যে ব্যাক্তি বেদের অবজ্ঞা করে,যে কামাচারি অর্থাৎ একাধিক ব্যাক্তির সাথে যৌন সংসর্গ করে,যে সুরাপান করে এবং গর্ভের ভ্রূণহত্যা করে তারা মহাপাতকী অর্থাৎ মহাপাপী।
আপস্তম্ব ধর্মসুত্র বলছে-
চুরি করলে,খুন করলে,ভ্রূণ হত্যা করলে,অবৈধ যৌন সংসর্গ করলে,ভ্রূণ হত্যা করলে এবং সুরাপান করলে ব্যাক্তির জাতচ্যুতি হয়।
(১.৭.২১.৭,৮)
অর্থাৎ হিন্দু আইনের সকল শাস্ত্র ই ভ্রূণ হত্যাকে মহাপাপ তত্থা প্রায়শ্চিত্ত সম্ভব নয় এমন পাপ বলে অভিহিত করেছে।
পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানে কোন পার্থক্য নেই, কন্যা সন্তানও নিজ গুণে পুত্রের সমান বা তার চেয়েও অধিক সৌভাগ্যজনক হতে পারে।বৈদিক শাস্ত্রের এই মর্মবাণী প্রতিটি হিন্দুর অন্তরে প্রবেশ করবে এই আমাদের প্রত্যাশা।
ওম শান্তি শান্তি শান্তি
বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক
পুত্রিনা তা কুমারিনা বিশ্বমায়ুর্বৈশ্নুতঃ।
উভা হিরণ্যপেশস।।
অর্থাৎ কন্যা সন্তান প্রাপ্তি জগতে সুখের সাথে বেঁচে থাকার ও কল্যান লাভ করার এক হিরণ্য(সোনালী) উপায়।
ঋগ্বেদ ১০.১৫৯.৩ বলছে-
মম পুত্র শত্রুহনোহমে দুহিতা বিরাট...
অর্থাৎ পুত্র সন্তান শত্রুঘাতক , কন্যা সন্তান বিরাট সৌভাগ্যদায়ক
কন্যা সন্তান প্রাপ্তিতে এই মন্ত্রে বিজয়ী হিসেবে ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে বলা হয়েছে।
বৃহদারণ্যক উপনিষদ বলছে-
....দুহিতামে পণ্ডিতা জায়তে, সর্বম আয়ুঃ ইতি....
(বৃহদারণ্যক উপ.- ৬/৪/১৭)
"আমার বিদুষী কন্যা জন্ম লাভ করুক এবং সে পূর্ণায়ু হোক।"
বৈদিক ধর্মে যে ৫ টি মহাপাতক বা গুরুপাপ এর কথা বলা হয় তার মধ্যে ভ্রূণহত্যা অন্যতম।
মনুসংহিতা ৫.৯০ বলেছে-
পাষণ্ডমাশ্রিতানাঞ্চ চরন্তীনাঞ্চ কামতঃ।
গর্ভভর্তৃদ্রুহাঞ্চৈব সুরাপীনাঞ্চ যোষিতাম।।
অর্থাৎ যে ব্যাক্তি বেদের অবজ্ঞা করে,যে কামাচারি অর্থাৎ একাধিক ব্যাক্তির সাথে যৌন সংসর্গ করে,যে সুরাপান করে এবং গর্ভের ভ্রূণহত্যা করে তারা মহাপাতকী অর্থাৎ মহাপাপী।
আপস্তম্ব ধর্মসুত্র বলছে-
চুরি করলে,খুন করলে,ভ্রূণ হত্যা করলে,অবৈধ যৌন সংসর্গ করলে,ভ্রূণ হত্যা করলে এবং সুরাপান করলে ব্যাক্তির জাতচ্যুতি হয়।
(১.৭.২১.৭,৮)
অর্থাৎ হিন্দু আইনের সকল শাস্ত্র ই ভ্রূণ হত্যাকে মহাপাপ তত্থা প্রায়শ্চিত্ত সম্ভব নয় এমন পাপ বলে অভিহিত করেছে।
পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তানে কোন পার্থক্য নেই, কন্যা সন্তানও নিজ গুণে পুত্রের সমান বা তার চেয়েও অধিক সৌভাগ্যজনক হতে পারে।বৈদিক শাস্ত্রের এই মর্মবাণী প্রতিটি হিন্দুর অন্তরে প্রবেশ করবে এই আমাদের প্রত্যাশা।
ওম শান্তি শান্তি শান্তি
বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক
খুব সুন্দর ভাবে লেখা আছে... আজকে নিজেকে সনাতনী ভেবে গর্ব বোধ করছি আর এর জন্যে আচার্য অগ্নিবীর কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি...
ReplyDelete