আমরা সকলে জানি, প্রতি মাসে একবার করে পূর্ণিমা ও একবার করে অমাবস্যা হয়। এই পূর্ণিমা ও অমাবস্যা পৃথিবীর সাপেক্ষে চাঁদের অবস্থানের জন্য হয়ে থাকে।
কিন্তু আমরা ছোট বেলায় বিভিন্ন ধর্মীয় সিরিয়াল, সিনেমা, কার্টুনে দেখেছি চন্দ্র তার রূপের কারণে গণেশকে অবজ্ঞা করায় গণেশের অভিশাপে চন্দ্র তেজহীন হয়ে পরে। এরপর চন্দ্রের স্ত্রীর আবেদনে শেষ পর্যন্ত চন্দ্রের শাস্তি শিথিল হয় এবং প্রতি মাসে একবার করে তার তেজ ক্ষয় হয় এবং একবার তেজ পূর্ণ হয়।
একটু বড় হয়ে আমরা জানতে পারি এগুলো শুধু মাত্রই গালগল্প এবং এসব সিরিয়ালের গালগল্পের উৎস হচ্ছে পুরাণ নামক গ্রন্থ।
অথচ আমাদের বৈদিক গ্রন্থ হাজার হাজার বৎসর আগে আমাদের পূর্ণিমা ও অমাবস্যা হওয়ার প্রকৃত কারণ জানিয়ে গেছে। আজ আমরা পূর্ণিমা ও অমাবস্যা হওয়ার প্রকৃত কারণ বেদাঙ্গের অন্যতম কল্পের গৃহ্যসূত্র হতে দেখব।
যঃ পরমো বিকর্ষঃ সূর্যাচন্দ্রমসোঃ সা পৌর্ণমা যঃ পরমঃ সঙ্কর্ষঃ সামাবাস্যা।।
সামবেদীয় গোভিল গৃহ্যসূত্র - ১/৫/৭
-যখন সূর্য ও চন্দ্র উভয়ই পরস্পর পরম বিকর্ষ অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে বিপরীত দিকে অবস্থান করে, তখন সেটিই পূর্ণিমা এবং যখন সূর্য ও চন্দ্র পরম সঙ্কর্ষ অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে এক দিকে অবস্থান করে, তখন সেটিই অমাবস্যা।
©অগ্নিবীর বাংলাদেশ
খুব ভালো লাগল এই বিষয়ে জানতে পেরে
ReplyDelete