কুখ্যাত ইসলামিক ভণ্ড,পলাতক সন্ত্রাসী জাকির নায়েকের অন্যতম হাস্যকর দাবী হল হিন্দুধর্ম পৃথিবীর প্রাচীনতম নয় বরং ইসলাম ধর্ম ই নাকি পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম!
সবাই প্রাণখুলে হাসুন এই ধর্মগাধার কথা শুনে । এর দ্বারা প্রমাণিতত হল যে জাকির শুধু ভন্ড ই নয়,অজমূর্খ ও বটে।
সূর্য পুর্বদিকে ওঠে এই কথার যেমন কোন রেফারেন্স এর দরকার নেই ঠিক তেমনি সনাতন ধর্ম সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ধর্ম তার ক্ষেত্রেও এক ই!
তবুও পাঠকদের সুবিধার্থে কিছু বিখ্যাত তথ্যসূত্রের উদ্ধৃতি দেয়া হল যেখানে স্পষ্টত উল্লেখিত যে বৈদিক সনাতনই পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম।
১)মেরিয়াম ওয়েবস্টার কলেজিয়েট এনসাইক্লোপিডিয়া ,২০০০,পৃষ্ঠা ৭৫১।
২)লেডম্যান,গেরি ,রিলিজিয়ন এন্ড কালচার:এন এনসাইক্লোপিডিয়া অব ট্রেডিশন,ডাইভারসিটি এন্ড পপুলার এক্সপ্রেসন।
৩)টার্নার,জেফ্রে, এনসাইক্লোপিডিয়া অব রিলেশনসিপ এক্রস লাইফস্প্যান,গ্রীনউড প্রেস,পৃষ্ঠা ৩৫৯।
- এবার আসা যাক জাকিরের আরেকটি ভন্ডামী প্রসঙ্গে।জাকির দাবী করে যে অগ্নিতে আহুতি দেয়ার চেয়ে দাফন ই উত্তম কেননা এতে খরচ কম এবং পরিবেশ এর দূষণ কম!
১)দাফন এর ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহনসহ কফিন ও বিভিন্ন আনুষঙ্গিকতার কারনে এর সর্বোপরি খরচ অগ্নদাহ থেকে অনেক বেশী।(তথ্যসূত্র -Sublette&flag, funeral customs,pg no 53)
২)দাফন এর ক্ষেত্রে মৃতদেহটি সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়ানোর মারাত্মক উত্স হিসেবে ভূমিকা পালন করে।বিশেষ করে ইনফেকশাস ডিসিসে মৃত্যুবরনকারীর ক্ষেত্রে দাফন খুব মারাত্মক মহামারী ডেকে আনতে পারে।সেক্ষেত্রে এটি পানি,বাতাস ও মাটির দূষনকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে(তথ্যসূত্র-Spongoberg,Aliso n L Becks,inorganic water,air and soil contamination,pg no. 117)
৩)দূরপ্রাচ্যের জাপান,টোকিও সহ ইউরোপের বিভিন্নদেশে বর্তমানে ওইসব দেশের সরকার দাফনকে বাদ দিয়ে অগ্নিদাহকে উত্সাহিত করছে কেননা এতে জমির প্রচুর অপচয় হয়।(তথ্যসূত্র-Furse Raymond,An invitation in japan,pg.73)
৪)জার্মানিতে বর্তমানে দাফন করলেও সেই জায়গার মাটিটুকু একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মৃত ব্যক্তির অভিভাবকদের জন্য লিজ দেয়া হয় এবং দেহ ডিকম্পোসড হয়ে যাওয়ার পর দেহাবশেষ তাদেরকে হস্তান্তর করে তা আবার নিয়ে নেয়া হয় কেননা এতজমি অপচয় করা সম্ভব নয়!(তথ্যসূত্র-Wikipedia)
৫)ফিউনেরাল সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা জানিয়েছে যে উপরোক্ত বিষয়সমূহের কারনে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ এখন ঝুঁকছে অগ্নিদাহের দিকে!
৬)আরো আশ্চর্য বিষয় এই যে National Botanical Research institute of India জানিয়েছে যেমৃতদেহ অগ্নিতে আহুতি দেয়ার সময় যে হবন সামগ্রী ব্যবহৃত হয় তা দিয়ে মৃতদেহ পোড়ালে উত্পন্ন মারকারির পরিমান নূন্যতম হয় ফলে পরিবেশের প্রায় কোন ক্ষতিই হয়না বরং এতে অধিকাংশ ইনফেকশাস ব্যক্টেরিয়া মারা যায়!
৭)বর্তমানে অনেকক্ষেত্রেই মৃতদেহ দাহ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে Crematorium যার ফলে বায়ুতে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমান শুন্য।
৮)আমেরিকান গবেষক Sarah Steafenson জানিয়েছেন যে আজকাল দাফনের আগে মৃতদেহ সবাইকে দেখানোর জন্য তাজা রাখতে ব্যবহৃত হচ্ছে ফরমালডিহাইড সহ আরো কয়েকটি রাসায়নিক দ্রব্য যে প্রক্রিয়াকে বলা হয় Enbalming।দাফন এর পর এই রাসায়নিক দ্রব্যসমূহ নির্গত হয়ে মাটির মারাত্মক দূষণ করে এবং ফসল এর মাধ্যমে এই দূষণ সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন,বৈজ্ঞানিক ভাবে কোনটা ভাল।বৈদিক অগ্নি আহুতি নাকি আব্রাহামিক দাফন।তবে যদি কোন বিশেষ ক্ষেত্রে অগ্নিদাহ এর পরিবর্তে মৃতদেহকে ভূমিষ্ঠ করার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে স্মরণে রাখতে হবে পবিত্র সনাতন ধর্মে কিন্তু অগ্নিদাহ ও দেহ ভূমিষ্ঠ করা উভয়ের ই নিয়ম রয়েছে।আর এজন্যেই সনাতন হল চিরন্তন,পরিপূর্ণ জীবনবিধান।
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি
লেখসত্ত্ব-বাংলাদেশ অগ্নিবীর
প্রথম প্রকাশ ২৪ শে এপ্রিল,২০১৩