দৈনিক বেদবাণী


এই সমগ্র সংসার নিরোগ এবং শুভচিন্তা যুক্ত হোক । যজুর্বেদ ১৬.৪                    সূর্য-এর আলোয় স্বয়ং আলোহীন চাঁদ আলোকিত হয় । ঋগ্বেদ ৫.৪০.৫                    প্রশংসনীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মাতৃভূমি— এই ত্রয়ী সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করে। ঋগ্বেদ ১.১৩.৯                    উত্তম জীবন লাভের জন্য আমাদের জ্ঞানীদের সাহচর্যে চলা উচিৎ। ঋগ্বেদ ১.১২.১৬                    যে ব্যক্তি সম্পদ বা সুখ বা জ্ঞান নিঃস্বার্থভাবে দান করে, সে-ই প্রকৃত মিত্র। ঋগ্বেদ ২.৩০.৭                    মানুষ কর্ম দ্বারাই জগতে মহত্ত্ব ও প্রসিদ্ধি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৩.৩৬.১                    হে পতি! তোমার স্ত্রীই গৃহ, স্ত্রীই সন্তানের আশ্রয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৩.৪                    পরমাত্মার নিয়ম বিনষ্ট হয় না; তা অটুট, অচল ও অপরিবর্তনীয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৪.১৮                    এই ধর্মের মার্গই সনাতন, এই পথে চলেই মানবগণ উন্নতি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৪.১৮.১                    পরমাত্মার নিকট কোনো মানুষই বড় বা ছোট নয়। সকল মানুষই সমান এবং পরস্পরের ভ্রাতৃস্বরূপ। ঋগ্বেদ ৫.৬০.৫                    যে ব্যক্তি অকারণে অন্যের নিন্দা করে, সে নিজেও নিন্দার পাত্র হয়। ঋগ্বেদ ৫.২.৬                    নিশ্চিতরূপে এই চতুর্বেদ কল্যাণপ্রদায়িনী এবং মানবকে জ্ঞান প্রদান করে ধারণকারিণী। ঋগ্বেদ ৫.৪৭.৪                    বীর মানবের জন্য পর্বতও সুগম হয়ে যায়। ঋগ্বেদ ৬.২৪.৮                    আমরা অন্যের সঞ্চিত পাপের কর্মফল ভোগ করি না। ঋগ্বেদ ৬.৫১.৭                    হে মিত্রগণ! ওঠো— উদ্যমী হও, সাবধান হও এবং এই সংসাররূপী নদীকে অতিক্রম করো। ঋগ্বেদ ১০.৫৩.৮







কল্কি অবতার ই কি নবী মুহাম্মদ?

Arindam
53


অনলাইনে ও অফলাইনে অনেক অহিন্দু অপপ্রচারকারীরা বলে থাকে যে কল্কি পুরাণের কল্কি অবতার ই নাকি নবী মুহাম্মদ।এর প্রমাণ হিসেবে তারা কল্কি পুরাণের কল্কি অবতার আর নবী মুহম্মদের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য উপস্থাপন করে এবং রেফারেন্স হিসেবে বেদপ্রকাশ উপাধ্যায় নামের এক অপরিচিত,অদেখা,অজানা পণ্ডিতের কথা বলে যার আদতে কোন বাস্তব অস্তিত্ব আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।তারা হিন্দুদের অজ্ঞতার সুযোগে কল্কিপুরাণ থেকে কিছু অসম্পূর্ণ রেফারেন্স  উপস্থাপন করে দেখাতে চায় নবী মুহাম্মদের সাথে কল্কি অবতারের অনেক মিল রয়েছে এবং প্রকারান্তরে কল্কি অবতারের ছদ্মবেশে হিন্দুশাস্ত্রে নবী মুহাম্মদের ভবিষ্যৎবাণী ই করা হয়েছে ।তাদের এই মিথ্যা প্রচারগুলোর অসারতাই তুলে ধরব আজকের এই প্রবন্ধে।

প্রথমত আমাদেরকে চারটি বেসিক জিনিস মাথায় রেখেই কল্কি অবতার সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।

১)কল্কি অবতারের তত্ত্বটা হল এই যে তিনি মানুষ নন,তিনি স্বয়ং ঈশ্বর,তাই তার সাথে কোন সাধারণ মানুষের তুলনা অযৌক্তিক।

২)কল্কি পুরাণ বা ভবিষ্য পুরাণ এ বলা হচ্ছে তিনি আসেন নি এখনো,আসবেন।কখন আসবেন? বলা হচ্ছে কলিকালের একদম শেষে,এখন সবে কলিযুগের ৫০০০ বছরের কিছু বেশী সময় পার হয়েছে,বলা হয়ে থাকে খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০২ সাল থেকে কলিযুগের সুচনা হয় আর কলিযুগের মোট আয়ু ৪,৩২,০০০ বছর।তার মানে আরও প্রায় ৪,২৭,০০০ বছর বাকী। তাহলে বুঝতেই পারছেন কল্কি অবতার আসতে অনেক অনেক দেরি আছে এখনো।তাই কল্কি অবতারের সাথে কলিযুগের প্রথম দিকের কোন মানুষের তুলনা কেবল ই মূর্খতার পরিচায়ক।

৩)দুইজন ব্যাক্তির মধ্যে কেউ ১০০ টি মিল দেখালেও একটি অমিল পাওয়া গেলেই প্রমাণিত হয়ে যায় যে এরা আলাদা ব্যাক্তি।আলাদা প্রমাণ করতে ১ টি অমিল ই যথেষ্ট, একই প্রমাণ করতে গেলে সব ই মিল তা প্রমাণ করতে হবে।

৪)অরবিন্দ শর্মা তার Religious Studies and Comparative Methodology: The Case for Reciprocal Illumination গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে অধিকাংশ গবেষকের মতেই কল্কি অবতারের যে মিথোলজি তা উপমহাদেশে বহির্দস্যুদের আক্রমণের ফলে ঐশ্বরিক শক্তির মাধ্যমে একদিন অত্যাচার থেকে মুক্তি হবে এই প্রেক্ষাপটে আস্তে আস্তে গড়ে উঠে।মূল সনাতন ধর্মে এর অস্তিত্ব ছিলনা।তাই কল্কি অবতারের সাথে কারও সাদৃশ্য সনাতন ধর্মে তার বৈধতার বা প্রাসঙ্গিকতার  প্রমাণ নয়।

এখন আমরা আলোচনায় আসব কল্কি পুরাণ নামক যে আধুনিক অর্বাচীন গ্রন্থটি রয়েছে তাতে বর্ণিত কল্কি অবতার নামক চরিত্রের সাথে নবী মুহাম্মদের আসলেই কোন সাদৃশ্য আছে কিনা।

পর্যবেক্ষণ ১-  কল্কিপুরাণ এর প্রথম অংশে কল্কিজন্মোপনয়ন নামক দ্বিতীয় অধ্যায়ের ১০ নং শ্লোক এ বলা হয়েছে

"ভগবান পরমাত্মা বিষ্ণু মনুষ্যরূপে অবতরণ করতে কৃতপ্রযত্ন হয়ে শম্ভল নামক গ্রামে প্রবেশ করিলেন।"

খেয়াল করে দেখুন কল্কি অবতার কিন্তু নবী নন,তিনি সরাসরি ভগবান,অপরদিকে মুহম্মদ একজন নবী তথা মানুষ।

এখন অপপ্রচারকারীরা বলছে শম্ভল শব্দের অর্থ শান্তির স্থান,মক্কা শব্দের অর্থও নাকি শান্তির শহর।তাই কল্কি অবতারের জন্মস্থান শম্ভল গ্রাম মানেই নাকি নবী মুহাম্মদের জন্মস্থল মক্কা।

অথচ বাস্তবতা হল কথাটি সর্বৈব মিথ্যা।প্রথমত মক্কা শব্দের অর্থ মোটেও শান্তির স্থান নয়।Encyclopedia of Arabic language and linguistics, Volume 4 অনুযায়ী Makkah যা পূর্বকালে Southern Arabic ভাষায় Bakkah নামে পরিচিত ছিল তার অর্থ হল Obscure বা রহস্যময়।আবার শম্ভল নামটি মূলত এসেছে শম্ভু+আলয় অর্থাৎ শিবের নিবাস থেকে।যেহেতু শম্ভু শব্দের অর্থ কল্যাণ বা আশীর্বাদ তাই শম্ভল শব্দের আক্ষরিক অর্থ দাড়ায় কল্যাণের স্থান,আশীর্বাদময় স্থান,আবার শম শব্দের একটি অর্থ সংযম বা নিবৃত্তি অর্থে শান্তি হয়, তাই শম্ভল শব্দের অর্থ অন্তত সরাসরি শান্তির স্থান বলার সুযোগ নেই।অর্থাৎ প্রথমত মক্কা শব্দের নিজের অর্থ ই শান্তির শহর নয় ,আর মক্কা শব্দের সাথে শম্ভলের কোন অর্থগত মিল ও নেই।আর দুইটি আলাদা ভাষার দুইটি শব্দের অর্থ এক হলেই আলাদা দুইটি দেশের দুটি স্থান এক হয়ে যায়না।Los Angeles শহরের নামের অর্থ হল দেবদুতের নিবাসস্থল,পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা তাই বলে Los Angeles হয়ে যাবেনা।নিউইয়র্ক শব্দের অর্থ নতুন শহর,নবীননগর শব্দের অর্থও নতুন নগর।সুুুতরাং আমরা বুঝতে  পারলাম যে আসামের নবীননগর ই হল আমেরিকার নিউইয়র্ক।একমাত্র মূর্খরাই এসব অদ্ভুত যুক্তি দেখাতে পারে।

মক্কা শব্দের অর্থ 
Southern Arabic  ভাষায় মক্কার আসল নাম বাক্কা


আবার পুরাণ অনুযায়ী সমগ্র পৃথিবীকে ৭ টি দ্বীপে বিভক্ত করা হয়েছে।সেগুলো হল-
জম্বু, প্লক্ষ, শাল্মলি, কুশ, ক্রৌঞ্চ, শক ও পুষ্কর। অহিন্দু এই অপপ্রচারকারীদের দাবী এই শাল্মলি দ্বীপ হল নাকি মধ্যপ্রাচ্য তথা সৌদি আরবের মক্কা!

অথচ পুরাণে ৭ টি দ্বীপের প্রতিটি দ্বীপের বর্ণনাও দেওয়া আছে, সেখানে শাল্মলিদ্বীপের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিষ্ণুপুরাণের দ্বিতীয় খণ্ডের চতুর্থ অধ্যায়ে বলা হচ্ছে -

"এখানে – ৭টি পর্বত ও ৭টি নদী আছে, চারদিকে সমুদ্র,এখানে বর্ণাশ্রম ব্যাবস্থাও প্রচলিত, এখানকার মানুষেরা যাগ যজ্ঞ করে,চারদিকে আছে অসংখ্য ইক্ষু ,এছাড়া এখানে অগণিত বৃহৎ শাল্মলগাছ(তুলাবৃক্ষ,Bombax Ceiba) আছে যাতে দেবতারা তৃপ্তিলাভ করে। "

এখন প্রশ্ন হল নবী মুহাম্মদের জন্মস্থল  মক্কা শহরে কি ইক্ষু,সাতটি নদী,শাল্মল তথা তুলাগাছ এগুলো আছে ? তুলাগাছ, ইক্ষু,চারপাশের সমুদ্রের বর্ণনা থেকে অধিকাংশ গবেষকগণের মত যে এটি বর্তমান দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের কথা বলা হচ্ছে কেননা একমাত্র সেখানেই আছে প্রচুর পরিমাণে ইক্ষু,শাল্মল বা তুলা গাছ যা থেকে নামকরণ হয়েছে শাল্মলিদ্বীপ,এবং এজন্যেই পর্যায়ক্রমে অবস্থিত কুশদ্বীপ ও শাল্মলদ্বীপকে যথাক্রমে  দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রবিধৌত অঞ্চল হিসেবে ধরা হয় যা উইকিপিডিয়াতেও বলা হচ্ছে।


সাতটি দ্বীপের অবস্থান 


 আবার আরেকটা জিনিস খেয়াল করুন শ্রোতারা,শম্ভল হল একটি গ্রাম,কল্কিপুরাণ এ স্পষ্ট ই লেখা আছে-
"শম্ভলগ্রামমাবিশেষ পরাত্মকঃ"
(কল্কিপুরাণ ১.২.১০)
অর্থাৎ কল্কি অবতার শম্ভল গ্রামে জন্মাবনে,শাল্মল দ্বীপে নয়।

আর এদিকে শাল্মলি দ্বীপ(শম্ভল গ্রাম নয় কিন্তু) পৃথিবীর ৭ টি ভাগের একটি, অর্থাৎ একটি মহাদেশের ন্যায়।এই অপপ্রচারকারীরা একবার বলছে শম্ভল গ্রাম হচ্ছে মক্কা,আবার আরেকবার বলছে শাল্মলি দ্বীপ তথা মহাদেশ হল মক্কা।আসলে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতে গেলে এভাবেই ধরা পড়তে হয়।তাই শম্ভু+আলয় তথা শম্ভল গ্রাম আর শাল্মল তথা তুলা বৃক্ষসমৃদ্ধ শাল্মল দ্বীপ নামক আলাদা দুটো স্থানকে এক করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ধরা খাওয়া সেই হাস্যরসাত্মক পাপাত্মাদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল।

আবার একদল অপপ্রচারকারী বলছে A History of Ancient India By R.C Dutta, Vol.3 তে নাকি বলা হয়েছে শম্ভল দ্বীপ আরবে অবস্থিত!প্রথমত বইয়ের নাম ই লিখেছে তারা ভুল।রমেশচন্দ্র দত্তের বিখ্যাত বইটির নাম A History of  Civilization in Ancient India Based on Sanskrit Literature, এর তৃতীয় খণ্ড তথা Vol 3 এর ৪৯৫ নং পৃষ্ঠায় কথাপ্রসঙ্গে এই সপ্তদ্বীপের কথা এসেছে যেখানে তিনি আলবেরুনির ইন্ডিকা গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে এদের নাম উল্লেখ করেছেন যেখানে শাল্মলি দ্বীপ(শম্ভল গ্রামের কথা নেই ই) এর নামও আছে।কিন্তু এই বইয়ের কোথাও ই বলা হয়নি শাল্মলি দ্বীপ আরবে অবস্থিত।সুতরাং আরও একটি আশ্চর্য ডাহা মিথ্যা কথাই ধরা পড়ল তাদের।



কল্কিপুরাণ ৩.১৮.৫ এবং ২.৬.৫ এ উল্লেখ করা হয়েছে শম্ভল গ্রাম লতা, ফুল, বন,উপবন, বাগান , হ্রদ , বিথীকা,গাছপালাবিধৌত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর । অনুর্বর , শুষ্ক মরুভূমিময় মক্কা নিশ্চয় বনে পরিপূর্ণ কোন নগরী নয় !

বাস্তবতা হল শম্ভল গ্রাম নামক গ্রামটি ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত একটি গ্রাম,সেখানে কল্কি অবতারের মন্দিরও আছে যেখানে কল্কি অবতারের প্রতীক্ষায় ভক্তরা নিয়মিত পূজো করে।বৌদ্ধদের কালচক্র তন্ত্র ও তিব্বত শাস্ত্র ঝাং ঝুং এ এই শম্ভল গ্রামের কথা লেখা রয়েছে যেখানে স্পষ্ট ই বলা আছে শম্ভল গ্রাম ভারতেই অবস্থিত।
উত্তর প্রদেশে শম্ভল গ্রামের সেই বিখ্যাত কল্কি মন্দির



পর্যবেক্ষণ ২-
কল্কিপুরাণ ১.২.৪-৬ নং শ্লোক এ আমরা দেখতে পাই ভগবান কল্কির পিতার নাম বিষ্ণুযশা আর মাতার নাম সুমতি।তারা চার ভাই থাকবেন।ভগবান কল্কির দুইজন স্ত্রী হবেন পদ্মা ও রমা।এর মধ্যে পদ্মা হলেন সিংহল তথা শ্রীলংকার রাজা বৃহদ্রথ ও তার স্ত্রী কৌমুদীর কন্যা পদ্মা।

এখানে অহিন্দু অপপ্রচারকারীদের দাবী নবী মুহাম্মদের পিতার নাম আব্দুল্লাহ যার অর্থ আল্লাহর সেবক,কল্কি অবতারের পিতার নাম বিষ্ণুযশা অর্থও নাকি ভগবানের সেবক! অথচ আপনারা বুঝতেই পারছেন বিষ্ণুযশ অর্থ হল বিষ্ণুর যশ বা ভগবানের গৌরব বা কীর্তি বা মহিমা।

অপরদিকে নবী মুহাম্মদের মায়ের নাম আমেনা যার আরবি অর্থ বিশ্বাসযোগ্য,এদিকে কল্কি অবতারের মায়ের নাম সুমতি যার অর্থ সু বা শুভ মতি যার।

আরও খেয়াল করার মত বিষয় যে কল্কি অবতারের স্ত্রী কেবল দুইজন,পদ্মা ও রমা(কল্কিপুরাণ ৩.১৬,৬)।পদ্মা ছিলেন সিংহল তথা  শ্রীলংকার রাজকন্যা,অপরদিকে নবী মুহাম্মদের ১১/১৩ জন স্ত্রী ছিলেন এবং তাদের কেউই শ্রীলংকার অধিবাসী নয়।

সিংহল মানে শ্রীলংকা এই সামান্য সার্বজনীন সত্যটাও অনেকসময় এই বিধর্মীরা অস্বীকার করতে চায়।উইকিপিডিয়া সিংহল এর পরিচয় নিয়ে বলছে-

Sinhala (/ˈsɪnhələ, ˈsɪŋələ/ SIN-hə-lə, SING-ə-lə;[3] සිංහල, siṁhala, [ˈsiŋɦələ]), also known as Sinhalese, is an Indo-Aryan language primarily spoken by the Sinhalese people of Sri Lanka, who make up the largest ethnic group on the island, numbering about 16 million.

অপপ্রচারকারীদের উল্লেখিত Rameshchandra Dutta এর বইটির ১১১-১১২ নং পৃষ্ঠায় হিউয়েন সাং এর ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণিত হয়েছে যেখানে দেখা যাছে হিউয়েন সাং সিংহলের বর্ণনা দিচ্ছেন,সিংহের গল্প হতে কিভাবে শ্রীলংকার নামকরণ হল,Ceylon বা শ্রীলংকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য,বৌদ্ধধর্ম ইত্যাদির বর্ণনাও দিলেন।অর্থাৎ অপপ্রচারকারীরা মিথ্যা বলার জন্য যে বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়েছিল সেই বইতেই সিংহল হল শ্রীলংকা তা উল্লেখিত আছে।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কল্কি পুরাণ ১.৩.১০ নং শ্লোকেই উল্লেখ  করা হয়েছে যে কল্কি সিংহলের রাজকন্যাকে বিয়ে করবেন এবং দিগ্বিজয়ে বের হয়ে বৌদ্ধধর্ম বিতারিত করবেন।আপনারা সবাই জানেন যে শ্রীলংকাই বৌদ্ধধর্ম অধ্যুষিত অঞ্চল, সৌদি আরব নয়।



দর্শকশ্রোতারা এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু জিনিস খেয়াল করুন।কল্কি অবতারের জন্মের সময় তার পিতা বিষ্ণুযশা জীবিত থাকবেন,কল্কিপুরাণ এর দ্বিতীয় খণ্ডের ষষ্ঠ অধ্যায়ে আমরা কল্কি অবতারের বিয়ের অনুষ্ঠানের বর্ণনা পাই,সেখানে দেখতে পাই পিতা বিষ্ণুযশা ও মাতা সুমতি জীবিত(কল্কিপুরাণ ২.৬.১৭,২৪,২৯)।অপরদিকে নবী মুহাম্মদের জন্মের অনেক আগেই তার পিতা মারা যান।

কল্কিপুরাণ ১.২.৩৬-৩৯ এ আমরা দেখতে পাই কল্কি যখন বাল্যকালে উপনয়ন নিচ্ছেন তখন পিতা বিষ্ণুযশ তাকে বেদ,উপবীত,গায়ত্রী মন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে উপদেশ দিচ্ছেন।অপরদিকে নবী মুহম্মদের পিতা তার জন্মের আগেই মৃত।



ভগবান কল্কিরা চার ভাই থাকবেন,পুরাণ অনুযায়ী কল্কি অবতার মাতা সুমতির ৪র্থ সন্তান রূপে পৃথিবীতে আসবেন । এর পূর্বে মাতা সুমতি কবি , প্রাজ্ঞ ও সুমন্ত্র নামে ৩ সন্তানের জন্ম দিবেন ।
(কল্কিপুরাণ ১.২.৩০)

কল্কির ৩ জ্যেষ্ঠভ্রাতা কবি,সুমন্ত ও প্রজ্ঞা 

অরদিকে আমরা জানি নবী মুহাম্মদ মাতা আমেনার একমাত্র সন্তান ছিলেন,তার কোন ভাইবোন ছিলনা।


আবার অনেকেই কল্কি পুরাণে (১.২.৫,১.২.৩০) বর্ণিত এই ভাতৃচতুষ্টয়(কল্কি,সুমন্ত,কবি ও প্রজ্ঞা) এর সাথে নবী ও ইসলামের চার খলিফাকে মেলাতে চায়,সমস্যা হল ও ইসলামের চার খলিফা মিলে হয় ৫জন, ৪ জন নয়।আবার এরা কেউই মুহাম্মদের আপন ভাই নয়,কিন্তু কবি,সুমন্ত,প্রজ্ঞা ছিলেন কল্কির আপন ভাই।

কল্কি অবতারের পরিবার একনজরে


পর্যবেক্ষণ ৩-

অহিন্দু অপপ্রচারকারীরা দাবী করে
কল্কি পুরাণে নাকি বলা আছে যে কল্কি জন্ম নিবেন একটি মাসের ১২ তারিখে । অপরদিকে নবী মুহাম্মদও রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন !

বাস্তবপক্ষে এই দাবী সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন । কল্কি পুরাণেই দেখে নিই তাঁর জন্মতারিখ ।

কল্কি পুরাণ ১.২.১৫, ১ম খণ্ডের দ্বিতীয় অধ্যায় এর ১৫ নং শ্লোক এ বলা হয়েছে-

মাধব শুক্লপক্ষের দ্বাদশ তিথিয়ে তিনি জন্ম নেবেন।এখন মাধব মাস কোনটি?বর্তমানে বৈশাখ মাস হল মাধব মাস।বৈদিক যুগে ৬ টি ঋতু ছিল।এর মধ্যে বসন্ত ঋতুর দুটি মাস ছিল,মধু ও মাধব। তালিকাটি কাঠক সংহিতায় পাওয়া যায়-

মধুশ্চ মাধবশ্চ বাসন্তিকা ঋতু শুক্রশ্চ শুচিশ্চ গ্রৈষ্মা ঋতূ নভশ্চ নভস্যশ্চ বার্ষিকা ঋতু ইষশ্চোর্জশ্চ শারদা ঋতূ সহশ্চ সহস্যশ্চ হৈমন্তিকা ঋতূ তপশ্চ তপস্যশ্চ শৈশিরা ঋতূ।
[কাঠক সংহিতা ৩৫।৯]

মধু ও মাধব = বসন্ত
শুক্র ও শুচি = গ্রীষ্ম
নভ ও নভস্য = বর্ষা
ইষ ও উর্জ = শরৎ
সহ ও সহস্য = হেমন্ত
তপ ও তপস্য = শিশির

গ্রীষ্ম ঋতু- শুক্র ও শুচি মাস
বর্ষা ঋতু- নভ ও নভস্য মাস
শরৎ ঋতু- ঈষা ও উর্য মাস
হেমন্ত-তপস ও তপস্য মাস
শীত-সহস ও সহস্য মাস
বসন্ত-মধু ও মাধব মাস

অর্থাৎ বর্তমান ফাল্গুন ও চৈত্র তৎকালীন সময়ে মধু ও মাধব মাস ছিল।উল্লেখ্য যে চৈত্র মাসের আদিত্যের নাম বিষ্ণু বা মাধব বলেই একে মাধব মাস বলা হত।অর্থাৎ মাধব মাস ছিল চৈত্র তথা ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে।

কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই গ্রহসমূহের পারস্পরিক অবস্থান পরিবর্তনের কারণে ঋতু ও তার সমান্তরাল মাস সবসময় পরিবর্তিত হয় ও হচ্ছে।বর্তমানে মাধব মাস বৈশাখ মাসের সমান্তরাল,কিন্তু প্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্রসমূহে একে যখন ই উল্লেখ করা হয়েছে সাধারণত চৈত্র মাস হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি এমনকি মাধব মাস নামে সার্চ দিলে উইকিপিডিয়াতে আপনাকে Chitra নক্ষত্র বা চৈত্র মাসে Ridirect করবে। এখন কল্কি অবতার আসার যে সময় অর্থাৎ কলিযুগের একদম শেষে যা কয়েকলক্ষ বছর পর ততদিনে জ্যোতির্বিজ্ঞানের সূত্রে এই মাধব মাস কোন মাসে গিয়ে ঠেকবে তা কেউ জানেনা।

 আরেকটি জিনিস লক্ষণীয় যে তিনি ১২ তারিখ জন্ম নেবেন তা নয়,তিনি শুক্লপক্ষের দ্বাদশ তিথিতে জন্ম নেবেন,তিথি আর তারিখ যে এক জিনিস নয় তা জানতে হলে যে পরিমাণ জানাশোনা থাকতে হয় তা অহিন্দু এই মিথ্যুকদের নেই।আর এই তিথি ও তারিখের মধ্যে পার্থক্য বুঝলেই এই মূর্খরা বুঝত যে মাধব মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশ তিথি মানে হল মাধব মাসের ২৭ তারিখ,১২ তারিখ নয়।(কৃষ্ণপক্ষের প্রথম ১৫ দিন সাথে শুক্লপক্ষের ১২ দিন)।আরেকটি মজার বিষয় হল কল্কি অবতার যদি এই যুগে মানে নবী মুহাম্মদের সমসাময়িককালে জন্ম নিতেনও তবে এই মাধব মাসের দ্বাদশ শুক্লতিথি হত গ্রেগরিয়ান দিনপঞ্জিকায় মে মাসের ৪/৫ তারিখ! আপনারা আজও কোন দৃকপঞ্জিকা নিয়ে মিলিয়ে দেখলেই এর প্রমাণ পাবেন,অনলাইনেও চেক করে দেখতে পারবেন!
উইকিপিডিয়ায় প্রাচীন মাধব মাস যা চৈত্র ঋতু 


ইংরেজি ২০২০ সালে বৈশাখের শুক্লপক্ষের দ্বাদশ তিথি মে মাসের ৪-৫ তারিখ


অপরদিকে মুসলিমদের নবী মুহাম্মদ এর জন্মতারিখ ১২ রবিউল আউয়াল যা রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ এবং এপ্রিলের ২২ তারিখ।তার মানে অপপ্রচারকারীরা লক্ষ বছর পরের মাধব মাসকে জোর করে এইসময়ের ক্যালেন্ডারের সাথে মিলিয়েও ইংরেজি বা চান্দ্র কোন জন্মতারিখেই মিল দেখাতে পারছেনা।কিন্তু করুণ এই মজার ঘটনার এখানেই শেষ নয়!

নবী মুহাম্মদের জন্মই যে ১২ রবিউল আউয়াল  তা নিয়ে মুসলিম পণ্ডিতবর্গ এবং ঐতিহাসিক ব্যাক্তিরা নিজেরাই কিন্তু নিশ্চিত নন ।একনজরে দেখে নেব বিভিন্ন বিখ্যাত মুসলিম বিশেষজ্ঞদের এই জন্মতারিখ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত-

২ রবিউল আউয়াল-ইবনে আব্দ আল-বার
৫ রবিউল আউয়াল-আমির উদ-দিন
৮ রবিউল আউয়াল-ইবনে আল কাইয়িম , ইবনে ই হাজম, আজ জুহরি, ইবনে ই দিহ্যা
৯ রবিউল আউয়াল-মুহাম্মদ সুলেমান মনসুরপুরি ,মুবারকপুরি ,শিবলি নোমানি ,মাহমুদ পাশা ফালাকি , আকবর শাহ নাজিব আবাদি , মইন উদ্দিন আহমেদ নদভি ,আব্দুল কালাম আজাদ
১০ রবিউল আউয়াল-আবুল ফিদা, আবু জাফর আল বাকির , আল ওয়াকাদি , আল শাবি
১২ রবিউলআউয়াল-তাবারি , ইবনে ই খুলদুন , ড. হামিদুল্লাহ , ইবনে ই হিশাম , আল্লামা আবুল হাসান , আলি ইবনে মুহাম্মদ আল-মাওয়ারদি , ইবনে ই ইসহাক
১৭ রবিউল আউয়াল-শিয়াদের বিশ্বাস , তারা এও বিশ্বাস করে যে ওইদিন ছিল শুক্রবার
২২ রবিউল আউয়াল-ইবনে ই হাজম কর্তৃক প্রদত্ত অপর সম্ভাব্য তারিখ
১০ মুহররম-আব্দুল কাদের জিলানী অর্থাৎ উনার জন্মতারিখ নিয়ে অনেকগুলো মত আছে ।
এমনকি কেউ কেউ তা রবিউল মাসে নয় বরং মুহররম মাসে তার জন্মতারিখ বর্ণনা করেছেন ! তবে এই তারিখগুলোর মধ্যে ১২ ই রবিউল আউয়াল সবচেয়ে বেশী প্রচারিত ।

তাহলে আগে নিজেরা ঠিক করে আসুন আপনাদের নবীর জন্মদিন কখন! এরপরে নাহয় মিলাদুন্নবী পালন নিয়ে মারামারি করবেন!

পর্যবেক্ষণ ৪-
সবচেয়ে হাস্যকর ও মারাত্মক ব্যাপার হল এই অহিন্দু পাপাত্মারা আর কোন মিল না পেয়ে কল্কি অবতারের খৎনা করা হয়েছিল এরকম হাস্যকর একটা গল্পের অবতারণা করে।শ্লোকটা কি আমরা দেখে নিই-

বিচরণ্নাশুনা ক্ষৌণ্যাং হয়েনাপ্রতিমদ্যুতিঃ।
নৃপলিংগচ্ছদৌ দস্যুনকোটিশৌ নিহনিষ্যতি।।
(ভাগবত পুরাণ ১২.২.২০)

এখানে এই অহিন্দু অপপ্রচারকারীরা বলছে
 "রাজার বেশ ধরে গুপ্ত থাকা অগণিত নৃপদের লিংগের অগ্রভাগে ছেদ থাকা কল্কি বধ করবেন"।অর্থাৎ তারা প্রচার করছে নৃপলিংগচ্ছদৌ মানে হল কল্কি অবতারের লিংগ বা পুরুষাঙ্গের অগ্র ছেদিত ছিল মানে খৎনা করা ছিল।তার মানে তিনি মুসলিম নবী মুহাম্মদের মত!সবচেয়ে মজার কথা হল এখানে  "অগ্রে ছেদিত" বলে কোন শব্দ নেই,আছে নৃপ লিঙ্গ (আ)চ্ছদৌ,অগ্রে শব্দটা তারা নিজেদের মিথ্যাকে সুন্দর করে পেশ করার জন্য কল্পনা করে নিয়েছে।

মজার বিষয় হল এখানে কল্কি যে রাজাদের বধ করবেন সেই নৃপ বা রাজাদেরকে লিংগচ্ছদো বলা হচ্ছে,কল্কি অবতারকে নয়।অর্থাৎ আমরা যদি ধরেও নিই যে এখানে লিংগচ্ছদৌ মানে খৎনা করা তাহলেও এখানে কল্কি অবতার নয় বরং যে নৃপদেরকে তিনি বধ করবেন তারা খৎনা করা হবে।তাহলে বুঝুন দর্শকরা,বাক্যে একটি বিশেষণ অন্য কিছু ব্যাক্তিদের উদ্দেশ্যে ব্যাবহৃত হয়েছে তা কল্কি অবতারের নামে চালিয়ে দিয়ে হিন্দুদের ধোঁকা দিচ্ছিল এই পাপীরা।

এবার আসি এই শ্লোকের অনুবাদে।মজার বিষয় হল এখানে অন্য নৃপদের লিংগ বা পুরুষাঙ্গ ছেদ করা তাও না।এই শ্লোকের অর্থ হল-

বিচরণ(বিচরণ করে),আসুন(দ্রুতগতিতে),ক্ষৌণং(সমগ্র পৃথিবীতে),হয়েন(ঘোড়ায় চড়ে), অপ্রতিম(অদ্বিতীয়),দ্যুতি(যার দ্যুতি), নৃপ-লিঙ্গ-চ্ছদৌ দস্যুন(যে দস্যুরা নৃপের বেশে আচ্ছাদিত বা গুপ্ত হয়ে আছে,অর্থাৎ লিংগ মানে লক্ষণ বা বেশভূষা,যে সকল দস্যুরা রাজার লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য তথা লিংগ দ্বারা আচ্ছাদিত বা গুপ্ত,তারা Dressed As King কিন্তু আসলে দস্যু,অত্যাচারী,কোটিশো(অগণিত সেই দস্যুদের),নিহনিষ্যতি(তিনি বধ করবেন)।

সরলানুবাদ-
অদ্বিতীয় যার দ্যুতি,সেই তিনি তিনি দ্রুতগতিতে সমস্ত পৃথিবীতে বিচরণ করে রাজার ছদ্মবেশে থাকা অগণিত দস্যুদের বধ করবেন।

এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয় দর্শকশ্রোতারা,নবী মুহম্মদ সমগ্র পৃথিবী দূরে থাক আরবের বাইরেই ভ্রমণ করেন নি কখনো।

সরাসরি অনুবাদটি দেখে নিন এই লিংকে-
https://vedabase.io/en/library/sb/12/2/19-20/

ভাগবত পুরাণ ১২.২.২০ 


তাহলে বুঝুন কিভাবে যে শব্দটি শ্লোকে কল্কি অবতার সম্বন্ধে ব্যাবহার ই করা হয়নি সেই শব্দটি কল্কি অবতার সম্বন্ধে চাপিয়ে দিয়ে কি চালাকিটাই না করতে চাইছিল এই অপপ্রচারকারীরা তদুপরি তারা শব্দটির অর্থও ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করেছে।

পর্যবেক্ষণ ৫-
অপপ্রচারকারীরা দাবী করছে কল্কিপুরাণ এ বলা আছে কল্কি অবতার মাংস খেতেন,এদিকে মুহাম্মদও মাংস খেতেন।তাই মুহম্মদ ই কল্কি অবতার।এইধরনের কথা শুনে যারা হাসি চাপতে পারছেন না তাদেরকে বলব হাসবেন না,সামান্য জাকির নায়েকের জ্ঞান আর নিজেদের বানানো কাল্পনিক চরিত্র বেদপ্রকাশ উপাধ্যায়ের জ্ঞান যাকে কেউ কখনো দেখেইনি,চিনেইনা এর চেয়ে আর কিই বা উন্নত হবে!

এখন আমরা দেখে নিই শ্লোকটিতে আসলে কি বলা হচ্ছে-

 – “অনন্তর তিনি চর্ব, চোষ্য, লেহ্য, পেয় পূপ, শষ্কুলি, যাবক, মাংস, ফল-মূল ও অপরাপর নানা প্রকার দ্রব্য দ্বারা দ্বিজাতিবর্গকে যথাবিধি ভোজন করান।” 
(কল্কি পুরাণঃ তৃতীয় খণ্ড,১৬ তম অধ্যায়, মন্ত্র ১০)

অর্থাৎ বিশাল যে অনুষ্ঠান রাজ্যে হয়েছিল সেখানে আগত সকলকে এই খাদ্যসমূহ দেয়া হয়েছিল ভোজনের জন্য।এখানে বলা হয়নি কল্কি অবতার নিজেই মাংস খেতেন।সুতরাং এখানেও তারা সুক্ষ্ম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে এবং যথারীতি ধরা খেয়েছে।

এখন এমন অবস্থা দাড়িয়েছে রুটি, ভাত, মাংস সব খেতেই মানুষ ভয় পাবে কেননা নবীও তা খেতেন আর কাঠমোল্লারা সবাইকে তার সাথে তুলনা করা শুরু করবে!

পর্যবেক্ষণ ৬-
নবী মুহম্মদের ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা ছিল।এর মধ্যে ২ পুত্র ও ৪ কন্যা বিবি খাদিজার গর্ভে এবং অপর পুত্র ইব্রাহিম দাসী মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভে জন্ম নেয় এবং শিশু অবস্থাতেই মারা যায়।অপরদিকে কল্কি অবতারের চার পুত্র ছিল কেবল,রাণী পদ্মার গর্ভে জয় ও বিজয় এবং রাণী রমার গর্ভে মেঘমাল ও বলাহক।

পয়বেক্ষণ ৭-
অপপ্রচারকারীদের দাবী কল্কি অবতার যে মহেন্দ্র নামক পর্বতে গুরুর নিকট শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন তা নাকি আসলে নবী মুহাম্মদের হেরা পর্বতের গুহা!দুঃখের বিষয় হল কল্কি পুরাণ পড়লে এবং পৌরাণিক লিটারেচার নিয়ে ধারণা থাকলে এইসব কথাবার্তা কোন মূর্খ ব্যাক্তিও বলবেন না।কল্কিপুরাণ এর তৃতীয় অধ্যায়ের শ্লোকটি আমরা প্রথমে দেখব-

মহেন্দ্রাদ্রিস্থিতো রাম সমানীয়াশ্রমং প্রভু
অর্থাৎ মহেন্দ্র পর্বতবাসী রাম(পরশুরাম) কল্কি অবতারকে নিজ আশ্রমে আনয়ন করলেন এবং বললেন আমি তোমাকে অধ্যায়ন করাইব।এখন ভারতের বিখ্যাত সব তীর্থস্থানসমূহ সম্বন্ধে জানেন এমন সবাই ই জানেন পরশুরামের এই বিখ্যাত মহেন্দ্র পর্বত ভারতের উড়িষ্যার গজপতিতে অবস্থিত।অপরদিকে হেরা পর্বতের গুহায় মুহাম্মদ কোন গুরুর কাছে অধ্যায়ন করতে যাননি সেটা আপনারা সবাই ই জানেন।

খ্যাতনামা সেই মহেন্দ্র পর্বত সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন এখানে-
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mahendra_Mountains

উড়িষ্যার সেই মহেন্দ্র পর্বত 


পর্যবেক্ষণ ৮-
অপপ্রচারকারীদের দাবী কল্কি অবতার আর নবী মুহম্মদের প্রথম স্ত্রীর মধ্যে নাকি অনেক মিল আছে!তারা বলছে পদ্মা ও বিবি খাদিজা উভয়েই অনেক ঐশ্বর্যশালী ছিলেন!অথচ বাস্তবতা হল বিবি খাদিজা একজন ব্যাবসায়ী ছিলেন আর সেই সুত্র ধনী ছিলেন এবং তিনি ছিলেন একজন বিধবা মহিলা।অপরদিকে রাণী পদ্মা ছিলেন একজন কুমারী এবং রাজকন্যা।

তাদের আরেকটি হাস্যকর দাবী হল পদ্মা নামের অর্থ নাকি সতী,সাধ্বী,আবার বিবি খাদিজার আরেক নাম তাহেরা যার অর্থও সতী,সাধ্বী!!!হাহাহা। অথচ পদ্মা নামটি অত্যন্ত বিখ্যাত নাম।এটি দেবী লক্ষ্মীর অপর নাম,দেবী লক্ষ্মী তার একটি অবতারে পদ্মফুল হাতে ও পদ্মফুলে আসীন হয়ে আবির্ভূত হন বলে দেবী লক্ষ্মীর অপর নাম পদ্মা।আর রাণী পদ্মা দেবী লক্ষ্মীর ই অবতার ছিলেন।দেবী লক্ষ্মীর অপর নাম পদ্মা হওয়ায় এর অর্থ ধরা হয় আনন্দ বা সৌভাগ্যের দাত্রী।
পদ্মালক্ষ্মী

পদ্মে আসীন বলে দেবী লক্ষ্মীর অপর নাম পদ্মা

মোটকথা নিতান্তই অসভ্য ধরনের মিথ্যাবাদী না হলে দুইটি ভাষার শব্দের অর্থ এক এই ভিত্তিতে কেউ কল্কি অবতারকে মুহাম্মদ বানানোর চেষ্টা করবেনা যা এই অহিন্দুরা মক্কার সাথে শম্ভল,আমেনার সাথে সুমতি,বিষ্ণুযশার সাথে আব্দুল্লাহ এসব মিলিয়ে করার চেষ্টা করেছে।

এই রকম শব্দের খেলা যদি আমরা খেলি তবে আমরাও চৈতন্যমহাপ্রভুকে মুসলমানদের শেষ ইমাম,ইমাম মাহদী বানাতে পারি! ইমাম শব্দের অর্থ  সেই পণ্ডিত ব্যাক্তিকে বোঝায় যে নামাজের পরিচালনা করেন অর্থাৎ যে পণ্ডিত ব্যাক্তি উপাসনার পরিচালনা করেন এবং মাহদী শব্দের অর্থ সুপথের সন্ধান প্রাপ্ত। শ্রীচৈতন্য কে-মহাপ্রভু ও কৃষ্ণনাম কীর্তনের পরিচালক হিসাবে ভূষিত করা হয়(ইমাম) এবং তিনি হরেকৃষ্ণ নামের মাধ্যমে মানুষের সুপথ সন্ধান করেছেন(মেহেদি),এর সঙ্গে তিনি শান্তির বাণীর প্রচারক(ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি)। তাহলে অর্থগত বিশ্লেষণ করে দাঁড়ালো চৈতন্যমহাপ্রভুই সেই ইমাম মাহদী! আশা করি আমাদের এই শব্দের খেলা সেই ভণ্ড অহিন্দুরা এখন মেনে নেবে!

শেষ করার আগে আপনাদেরকে কিছু চমকপ্রদ তথ্য জানিয়ে রাখি।মুহাম্মদ ই কিন্তু একমাত্র ব্যাক্তি নন যাকে কল্কি অবতার দাবী করা হয়েছে।যুগে যুগে এমন অনেক ব্যাক্তিই নিজেদেরকে কল্কি অবতার দাবী করেছিলেন এরকম বিভিন্ন মিথ্যা সাদৃশ্য দেখিয়ে।তাদের কয়েকজনের তালিকা আপনাদের জন্য তুলে ধরছি-
১)World Movement নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অগস্ত্য জোশি দাবী করেন যে তিনিই কল্কি অবতার তথা ইমাম মাহদী।

২)বাহাই ধর্মের প্রবর্তক বাহাইউল্লাহ নিজেকে কল্কি অবতার দাবী করেন।

৩)অনেক বৌদ্ধ পণ্ডিত ভবিষ্যতের মৈত্রেয়ী বুদ্ধকে কল্কি অবতার হিসেবে দাবী করেন।তবে অন্তত এদের স্বাভাবিক বুদ্ধিটুকু অক্ষত রয়েছে,ইনারা ভবিষ্যতের একজন মানুষকে কল্কি অবতার হিসেবে ধারণা করেছেন,অন্তত মুসলিমদের মত অতীতের একজনকে ভবিষ্যতের কল্কি অবতার হিসেবে প্রচার করেন নি।

৪)সিদ্দিক হুসেন সহ বিখ্যাত কিছু শিয়া মিশনারিরা হিন্দুদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে কখনো শিয়া ইমামদের,কখনো নবী মুহাম্মদকে কল্কি অবতার দাবী করেন।

৫)Oneness University এর প্রতিষ্ঠাতা বিজয়কুমার নাইডুও নিজেকে কল্কি অবতার হিসেবে দাবী করেছিলেন।

৬) Samael Aun Weor যিনি কিনা  Universal Christian Gnostic Movement এর প্রতিষ্ঠাতা তিনিও নিজেকে কল্কি অবতার বলে দাবী করেছেন।

৭)Messiah Foundation International এবং  Anjuman Serfaroshan-e-Islam এর প্রতিষ্ঠাতা পাকিস্তানের নাগরিক রিয়াজ আহমেদও নিজেকে কল্কি অবতার ও শেষ নবী ইমাম মাহদি বলে দাবী করেন।এই কারণে  পাকিস্তানে তার বাড়িঘরের উপর ব্যাপক হামলা হয়।এটাই হল এদের চরিত্র,সবসময় নিজেদের নবীকে কল্কি অবতার হিসেবে দাবী করবে তাতে কোন দোষ নেই,যেই এক ব্যাক্তি নিজেকে শেষ নবী ইমাম মাহদি বলে দাবী করল সাথে সাথে তাকে মেরে ফেলার জন্য এরা তৎপর হয়ে গেল।অর্থাৎ তারা যা খুশি তা অন্যধর্ম নিয়ে বলতে পারবে কিন্তু নিজেদের উপরে সামান্য আঘাত আসলেই হিংস্র হয়ে উঠবে।

এভাবেই একের পর এক মিথ্যাচার করে একটি সময়ে হিন্দুদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল জাকির নায়েকসহ সন্ত্রাসী অহিন্দুদের দল।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে তাদের এই মিথ্যার বনভোজনকে বানচাল করে দিতে সবসময় স্বিদ্ধহস্ত বাংলাদেশ অগ্নিবীর।তাই আপনাদের সামনে আমরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরলাম কল্কি পুরাণে থাকা কল্কি অবতার সম্পর্কে সকল তথ্য এবং নবী মুহাম্মদকে এসবের সাথে জড়িয়ে ছড়ানো সকল অপপ্রচারের জবাব।যতই তারা এসব মিথ্যাচার করবে ততই বাংলাদেশ অগ্নিবীর তাদের মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে তাদের অপমানিত করবে।আর এসব মিথ্যাচারের জবাব জানতে সর্বদা বাংলাদেশ অগ্নিবীরের সাথেই থাকুন।সামনে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব অপপ্রচারের নতুন কোন জবাব নিয়ে।

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি

Post a Comment

53Comments
  1. শুক্লদ্বাদশ তিথি মানে কিভাবে ২৭ তারিখ হয়?

    যেখানে উইকিপিডিয়ায় বলছে পক্ষ হিসেবে আগে শুক্লপক্ষ আসে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সব ভুল ব্যখ্যা। হিন্দুদের ধর্মীয় স্কলাররাই এখন মেনে নিয়েছে যে কল্কি অবতারি মুহাম্মদ সাঃ।এমনকি তারা এই নিয়ে বইও লিখেছেন। যেমনঃ ডঃ বেদ প্রকাশ উপপাধ্যায় এর লেখা কল্কি অবতার ও মুহাম্মদ সাহেব।

      Delete
    2. চুরি করে স্কলার পেলে এমনি হয়!

      Delete
  2. bai apnar jukti gula hocce bokader jonno apnar jukti gular kono bitti a nai kemne er tun kemne milai pelcen ����

    ReplyDelete
    Replies
    1. Apni toh tahole ekta boka. Jakir naek jevabe hindu der boka banacche thik apnio tar motoi buka
      Apner jokar naek er juktir o kunu vitti nai. Se tal ke til r til k tal banie boleche. R apner moto murkho ra ta bissas korche. Jai hook vogoban ar kache prarthona kori apner mathar sukorer paekhana jeno sorie nen

      Delete
    2. শেষ নবী মহা আহাম্মকApril 14, 2021 at 5:16 AM

      তাইলে তুই যুক্তি খন্ডন করে দেখা ,,আবালের মতো কথা বলিস কেনো ? যুক্তি সহকারে আলোচনা করা হয়েছে এখানে,কোন জায়গায় ভুল আছে রেফারেন্স সহ বল। জুকার নায়কের মত ছাগলামি করিস না,,যে আল্লাহ ছাড়া নাকি কাউকে ভয় করে না আবার এখন মোদীর ভয়ে গর্তে লুকিয়ে আছে মানে এখন মোদী কি আল্লা বলবে

      Delete
    3. মাগী আমেনার ভোদায় ধোন ঢুকি মজা পেয়ে গোটা বিশ্ব

      Delete
  3. দাদা কি বললেন নবী মোহাম্মদ কখনো নিজ দেশের বাহিরে যাননি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. APNI BOLECHEN AROBER BAJIRE JANNI?ATA KOTOKO SOTHTO?পুরানকে বলা যায় অপভ্রংশের অবশিষ্টাংশ।বিকৃত এর মধ্যে প্রকৃত অনুসন্ধানই মুখ্য। উক্ত রেফারেন্সে আছে যে কল্কির জন্ম দেখে তার পিতা মাতার মন আনন্দে ভরে গেছে। শুধু এই কথাদ্বারা কোন কিছুই অপ্রমানিত হয়না।যেমন একটি উদাহরন দেই, ভবিস্যপুরান প্রতিসর্গ পর্ব ৩ এ যেখানে স্পস্টভাবে নবিজীর নাম সহ তার ভবিশ্যদ্বানী করা হয়েছে (হিন্দুরা এটা নি্যেও মিথ্যাচার করে তারা বলে যে এখানে নাকি নবিজিকে খারাপ মানুষ বলা হয়েছে, সেটার জবাবও আসছে) এখানে বলা হয়েছে তার নাম মহামদ, তার অনুসারীরা দাড়ি রাখবে, খত্না করবে, আজান দিবে, এবং সেেই অনুসারীদের নাম হবে মুসলমান। সব কথা এখানে স্পস্ট কিন্তু সেই সাথে আরো বলা আছে যে মুহাম্মদ তার শীষ্য সমেত ইন্ডিয়া আসবেন ভোজ রাজার সাথে দেখা করতে। অথচ আমরা জানি এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, নবিজি কখনোই ইন্ডিয়া আসেন নি ?অতএব এখানে ভবিশ্যদ্বাণীর একটি অংশ সত্য হয়েছে আরেকটি হয় নি। এখন তার মানে কি মুহাম্মদ নামে কেউ আসে নি ? মুসলিম নামে কেউ নাই ? বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলিম রুপকথার গল্প ? আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ভবিষ্যদ্বাবীর প্রতিটি যে সত্য হবে এমন না।এর একটি অংশ সত্য হতে পারে। এক বা একাধিক অংশ মিথ্যা হতে পারে। তবে যে অংশ কোন বাস্তবের সাথে থিওরী অফ প্রবাবলিটিকে অতিক্রম করে মিলে গেছে , সেটাকেই আমরা সত্য ধরে নিতে পারি।


      https://vedagita.wordpress.com/2015/05/25/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A6/?fbclid=IwAR0BJv0L767B9yYPxsNzIJNTu64eQp5zQGRnIDRnbFU3Kih-lYYmhxMMGEc

      Delete
    2. ভবিষ্যপুরাণ বিকৃত হলে যে কল্কিপুরাণও বিকৃত হবে এর কোনো প্রমাণ আছে? তোদের হাদিসগুলোকেও তো তোরা বিকৃত বলিস। একটা হাদিস আছে এমন

      আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

      তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে। [১৯৪৪]

      সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৯৪৪
      হাদিসের মান: হাসান হাদিস
      Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

      এই কুরআনের আয়াত ছাগলে খাওয়া হাদিসকে বলিস জাল হাদিস। তাহলে নামায কিভাবে পড়তে হবে সেটা কুরআনের আয়াত থেকে দেখা। কুরআনের কোথাও কি বলা আছে নামায কিভাবে পড়তে হবে? শুধু বলেছে নামায কায়েম করতে কিন্তু নামায পড়ে কিভাবে সেটা তোরা হাদিস থেকে পাস। কিন্তু হাদিসের মধ্যে তো অনেক হাদিস ভুয়া। তোর যুক্তি অনুযায়ী ভবিষ্যপুরাণ বিকৃত হওয়ার জন্য যদি সব পুরাণ বিকৃত হয়, তাহলে হাদিসের ভিতর জাল হাদিস থাকার জন্য সব হাদিস ভুয়া। তাহলে আজ থেকে নামায পড়া ছেড়ে দে।

      Delete
    3. Hadis ki ta age janen tarpor kotha bolen!

      Delete
    4. তোদের বানেয়াট হাদিস প্রমান করতে তোদের সনাতন ধর্মের পা চাটা লাগে, আবার তোরা বলিস সনাতনিদের হদিস পড়তে! মূর্খচোদার দল

      Delete
    5. জাকির নায়েক এবং রবি শংকরের একসাথে একটা লেকচার আছে, লেকচারে জাকির নায়েক কল্কি অবতার নিয়ে কথা বলেন আর রবি শংকর তার ভুল ধরতে পারেনি।💪💪

      Delete
    6. আমি মুস্লিম হিসেবে মুসলিমদের উদ্দেশে বলতে চাই...। ভাই নবী কি নিজেকে কখনো নিজেকে কল্কি দাবি করেছেন...... বরং তিনি কল্কি বা মাহদির কথা বলে গিয়েছেন,...... জিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে জুদ্দ করতে আসবেন

      Delete
  4. পরশুরাম =’রাম’ অর্থ সৃষ্টিকর্তা এবং ‘পরশু’ অর্থ কুঠার (এখানে, বার্তা) পৌরানিক বিশ্বাস অনুযায়ী কল্কি ঈশ্বর আর পরমব্রক্ষ এক না। পৌরাণিক ঈশ্বর, ভগবান, অবতার, দেব-দেবতা পদের সাথে পরব্রহ্ম, নারায়ণ পদের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। পৌরানিক দেবতা আর পরম ব্রক্ষ এক না। হিন্দুদের টপ স্কলাররাই তা মানে না। খোদ আর্য সমাজকে এই বিসয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন তারা শ্রী কৃষ্ণ বা রামকেও ঈশ্বর ভাবেন না, বরং মানুষ হিসেবে ভাবেন। তাই এখানে কল্কি ঈশ্বর এই কথাটা ভিত্তিহীন, পোস্টে লেখা হল ঈশ্বরের কোন জ্ঞানের দরকার নেই। তাহলে প্রশ্ন কল্কিকে কেন পরশুরাম হতে জ্ঞান নিতে হল ? এটা তো পরস্পরবিরোধী কথা হয়ে গেল। আবার বলা হল যে পরশুরামই ঈশ্বর। কল্কি নিজেই ঈশ্বর আবার পরশুরামুও ঈশ্বর তাহলে ঈশ্বর কয়জন ? হিন্দু দাদারা পুরা ব্যাপারটাই জগাখিচুরি বানিয়ে ফেলেছে। আবার ২য় অধ্যায়ে কল্কিকে দেখা যায় তার পিতার কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করতে। তাহলে সর্বশক্তিমান ইশ্বরের জ্ঞানের দরকার না হলে সে কেন জ্ঞান নিচ্ছে ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে ছাগল, ঈশ্বর যখন মানুষের রূপ ধারণ করে, তখন তো তিনি তাঁর ঐশ্বরিক ক্ষমতা ব্যবহার না করে সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করেন। তা না হলে তিনি মনুষ্যরূপ ধারণ করলেন কেন, সরাসরি ঈশ্বর হিসেবে পৃথিবীতে আসতেন। এজন্যই ঈশ্বর হওয়া সত্ত্বেও কল্কি অবতার তাঁর পিতা,পন্ডিতদের কাছ থেকে জ্ঞান নিবেন, সাধারণ মানুষের মতোই বিবাহ করবেন, আহার গ্রহণ করবেন।
      আর্য সমাজের কথা বলিস? আর্য সমাজ শুধু বেদ মানে, তারা কল্কিপুরাণ কেন, কোনো পুরাণই মানে না। তাই তারা শুধু কল্কি অবতার নয়, কোনো অবতারকেই মানে না। কিন্তু জোকার নায়িকার শিষ্যরা যেহেতু কল্কি অবতারকে নবী মুহাম্মদ বলে বিশ্বাস করে, তাই তারা কল্কি অবতারের অস্তিত্বেও বিশ্বাস করে। এজন্য অবশ্যই তাদেরকে কল্কিপুরাণ মেনে নিতে হবে। কারণ কল্কিপুরাণ ব্যতীত অন্য কোনো হিন্দু শাস্ত্রে কল্কি অবতারের বিষয়ে বর্ণনা নেই। আর কল্কি পুরাণ ১ম অংশ ২য় অধ্যায় ১০ নং শ্লোক অনুসারে কল্কি স্বয়ং ভগবান। তাই যারা কল্কি অবতারের অস্তিত্বে বিশ্বাস করবে, তাদের অবশ্যই মানতে হবে কল্কি অবতার হলেন স্বয়ং ভগবান।
      যেখানে আর্যসমাজ কল্কি অবতারকেই মানে না, কোনো পুরাণই মানে না, সেখানে আর্য সমাজের উক্তি কল্কি অবতারের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে তোরাই জগাখিচুরি পাকিয়েছিস। কল্কি পুরাণেই যেখানে পরিষ্কার লেখা কল্কি হলেন স্বয়ং ভগবান, সেখানে আর্য সমাজের কথা কেন টানব যারা কল্কি অবতারকেই বিশ্বাস করে না?

      Delete
    2. গাধার মতো যুক্তি। সব ভুল ব্যখ্যা। হিন্দুদের ধর্মীয় স্কলাররাই এখন মেনে নিয়েছে যে কল্কি অবতারি মুহাম্মদ সাঃ।এমনকি তারা এই নিয়ে বইও লিখেছেন। যেমনঃ ডঃ বেদ প্রকাশ উপপাধ্যায় এর লেখা কল্কি অবতার ও মুহাম্মদ সাহেব।

      Delete
    3. বোকাচো*দার জাত

      Delete
    4. যে মাগী পোলা মেনে নিয়েছে, তার মাকে মুসলিমে চুদে জন্ম দিয়েছে

      Delete
  5. শয়তান এর সমার্থক শব্দ সনাতন (Davil)😁
    সনাতনী শয়তানী হলে
    সনাতনী প্রথা শয়তানী প্রথা😄
    (যত্তসব ফাউল কুযুক্তিতে ভরা বাতিল অশ্লীল ধর্ম)
    বিলুপ্ত সিন্ধু থেকে হিন্দু শব্দটি এসেছে 😁

    ReplyDelete
    Replies
    1. Arry madarchoder dolera..
      Goru khas..
      Manusher rokto nes..
      Mansuhre manuhs hishebe vabos na, sharajibon shudhu jongli giri kore geli..
      Togo dhormer agy amdr dhormer jormo.
      Togo bap amra. Ar baper agy bal falaile ja hoy.
      Togo dhormo hoilo banano dhormo.
      Majhkhane jhore pora ful

      Delete
    2. ।সব ভুল ব্যখ্যা।সাহস থাকলে বিতর্কে আয় রামের জারজ বংশধর। হিন্দুদের ধর্মীয় স্কলাররাই এখন মেনে নিয়েছে যে কল্কি অবতারি মুহাম্মদ সাঃ।এমনকি তারা এই নিয়ে বইও লিখেছেন। যেমনঃ ডঃ বেদ প্রকাশ উপপাধ্যায় এর লেখা কল্কি অবতার ও মুহাম্মদ সাহেব।

      Delete
    3. This comment has been removed by a blog administrator.

      Delete
  6. এতই যেকালে যুক্তিবাদী হন তাহলে মুখোমুখি ডেবিট করতে ভয় পান কেনো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. kuttachoda..
      Vondamir dhormo islam
      Khnkir polar narkada dol

      Delete
    2. ডিবেট করতে তো তোরাই ভয় পাস। অগ্নিবীর ডিবেট করতে রাজি, শুধু একটা সহজ শর্তে, তা হল ফেস না দেখিয়ে ডিবেট করবে। ফেস না দেখানোর শর্তের পিছনে কি কারণ তা আমরা সবাই জানি, কারণটা হলো তোমরা মানুষের জাত না। এর আগে তোদের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে কথা বলায় বহু ব্লগারকে কুপিয়েছিস।

      বিতর্কে ফেস দেখানোর প্রয়োজনীয়তা কি? প্রয়োজনীয়তা হল, তোরা যখন হেরে যাবি, তারপর তাদের কোপাবি যাতে পরবর্তী সময়ে কেউ তোদের সাথে ডিবেটে না আসে এবং ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া যায়।

      Delete
    3. জাকির নায়েক তাইতো এখনও সারাবিশ্বের ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে চলেছেন।🇧🇩🇧🇩commented by nayem islam

      Delete
  7. অগ্নিবীরের এই নোটের পয়েন্ট বাই পয়েন্ট জবাব দেয়ার আগে শ্রদ্ধ্যেয় মোস্তাফিজুর স্যারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি যা বলেছেন তা খুব সংক্ষেপে তুলে ধরছি।

    “মূলত, পৌরাণিক গ্রন্থের বিচারে সবকিছু পুরাপুরি মিলে যাবে এমনটি ধারণা করাও আবশ্যক নয়। একে পৌরাণিক কল্পকাহিনী, দুই. এর অধিকাংশই বিকৃত। বিকৃতের মধ্যে প্রকৃতের হুবহু ইমেজ নয় বরং অপভ্রংশের অবশিষ্টাংশের অনুসন্ধান করা হয়। আর, পৌরাণিক ঈশ্বর, ভগবান, অবতার, দেব-দেবতা পদের সাথে পরব্রহ্ম, নারায়ণ পদের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। একমেবাদ্বিতীয়ামের পরম পদটি নারায়ণ দ্বারা অলঙ্কিত। যার মাহার্ত্ম একমেবাদ্বিতীয়াম শব্দটির মধ্যে অন্তরর্নিহিত। গ্রন্থে গ্রন্থে শেষ পয়গাম্বরের যে আলেখ্য অঙ্কিত হয়েছে, নগ্ন হস্তক্ষেপে চরিত্রে বৈপরিত্য ঘটতেই পারে; ছিটাফোটা অবিকৃতের মাঝে প্রকৃতের আভাস ছাড়া আর কিছুই আশা করা যায় না। কল্কি অনুসারীরাই কল্কি দিয়ে কল্কি অবতারকে খুঁজে বের করবে।”

    এবার আসুন এবার অগ্নিবীরের পয়েন্টগুলো বিবেচনা করি।

    অগ্নিবীরের পর্যবেক্ষন ১
    কল্কি পুরান এ বলা আছে কল্কি অবতার এর পিতা ও মাতা উভয়েই সময় জীবিত ছিল অথচ মুহম্মদ এর পিতা তার জন্মের আগেই মৃত্যুবরন করেন। (কল্কি পুরান ১.২.১৫)

    জবাবঃ এর জবাবে মোস্তাফিজুর সারের কথার প্রসংগ ধরেই বলছি, পুরানকে বলা যায় অপভ্রংশের অবশিষ্টাংশ।বিকৃত এর মধ্যে প্রকৃত অনুসন্ধানই মুখ্য। উক্ত রেফারেন্সে আছে যে কল্কির জন্ম দেখে তার পিতা মাতার মন আনন্দে ভরে গেছে। শুধু এই কথাদ্বারা কোন কিছুই অপ্রমানিত হয়না।যেমন একটি উদাহরন দেই, ভবিস্যপুরান প্রতিসর্গ পর্ব ৩ এ যেখানে স্পস্টভাবে নবিজীর নাম সহ তার ভবিশ্যদ্বানী করা হয়েছে (হিন্দুরা এটা নি্যেও মিথ্যাচার করে তারা বলে যে এখানে নাকি নবিজিকে খারাপ মানুষ বলা হয়েছে, সেটার জবাবও আসছে) এখানে বলা হয়েছে তার নাম মহামদ, তার অনুসারীরা দাড়ি রাখবে, খত্না করবে, আজান দিবে, এবং সেেই অনুসারীদের নাম হবে মুসলমান। সব কথা এখানে স্পস্ট কিন্তু সেই সাথে আরো বলা আছে যে মুহাম্মদ তার শীষ্য সমেত ইন্ডিয়া আসবেন ভোজ রাজার সাথে দেখা করতে। অথচ আমরা জানি এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, নবিজি কখনোই ইন্ডিয়া আসেন নি ?অতএব এখানে ভবিশ্যদ্বাণীর একটি অংশ সত্য হয়েছে আরেকটি হয় নি। এখন তার মানে কি মুহাম্মদ নামে কেউ আসে নি ? মুসলিম নামে কেউ নাই ? বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলিম রুপকথার গল্প ? আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ভবিষ্যদ্বাবীর প্রতিটি যে সত্য হবে এমন না।এর একটি অংশ সত্য হতে পারে। এক বা একাধিক অংশ মিথ্যা হতে পারে। তবে যে অংশ কোন বাস্তবের সাথে থিওরী অফ প্রবাবলিটিকে অতিক্রম করে মিলে গেছে , সেটাকেই আমরা সত্য ধরে নিতে পারি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. জুতা পিটা করে তোর ভন্ডামি ছুটাবো। ভবিষ্যপুরাণ বিকৃত মানে যে কল্কিপুরাণও বিকৃত তার কোনো মানে নেই। ভবিষ্যপুরাণ এক জিনিস, কল্কি পুরাণ আরেক জিনিস। ভবিষ্যপুরাণ বিকৃত তাই কল্কি পুরাণও বিকৃত এমন কথা তোর মতো শুয়োর, জানোয়ার রাই বলতে পারে।

      Delete
    2. ওই ছাগল, তোর চেয়ে তো ছাগলের বুদ্ধি বেশি। সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নং ১৯৪৪ এ বলা হয়েছে, একটা ছাগল এসে কুরআনের আয়াত খেয়ে ফেলেছিল। এই হাদিসটা নাকি বিকৃত হাদিস। এই হাদিসের মতো কিছু সংখ্যক বিকৃত হাদিসের জন্য কি তোরা কোনো হাদিসই মানিস না? এমন দুই চারটা ভুয়া হাদিসের জন্য কি সব হাদিস ভুয়া?

      একইভাবে ভবিষ্যপুরাণের কিছু অংশ বিকৃত মানে এই না যে সকল পুরাণই বিকৃত। কল্কিপুরাণের সাথে ভবিষ্যপুরাণের কোনো সম্পর্ক নেই। কল্কিপুরাণকে যদি বিকৃত প্রমাণ করতে হয়, তাহলে আলাদাভাবে বিকৃত প্রমাণ করে দেখা। ভবিষ্যপুরাণ আর কল্কিপুরাণ এক না।
      তাই ভবিষ্যপুরাণকে বিকৃত প্রমাণ করার মাধ্যমে কল্কি পুরাণ কে বিকৃত প্রমাণ করা যায় না।

      তোর মতো ছাগলের বুদ্ধি দিয়েই এসব উল্টাপাল্টা কথা বলা যায়। আমার মনে হয় সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিসে যেই ছাগলের কথা বলা হয়েছে, সেই ছাগলটা তুই।

      Delete
    3. অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। আগে সঠিক তথ্য জেনে তারপর বিতর্কে আসবেন।আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে।[1]

      ◾নাস্তিকরা উপরোক্ত এই হাসান হাদিসটি দেখিয়ে দাবি করে যে,কুরআনের রজম ও দুধপানের আয়াত ছাগলে খেয়ে নিয়েছে এবং আয়াতগুলো বর্তমান কুরআনে নেই। কাজেই কুরআন বিকৃত (নাউজুবিল্লাহ)। পাঠক, আপনার কি মনে হয় যারা গোটা কুরআন মুখস্থ করে রাখতে পারে, তারা কেবল দুই একটা আয়াত মনে রাখতে পারবে না? অসংখ্য সাহাবি রাসুল (স.) এর সাথে থাকতেন। কুরআনের কোনো অংশ অবতীর্ণ হলে তা লিখার আগে সাথে সাথে মুখস্থ করে নিতেন। রাসুল (স.) এর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত কোনো যুগই কুরআনের হাফেজ ছাড়া নেই। কেবল বাংলাদেশেই আছে ৬ লক্ষ হাফেজ (মুখস্থকারী)। সারা বিশ্বে আরো লক্ষ লক্ষ হাফেজ আছে। রজমের আয়াত নাজিল হয়েছিলো সাময়িক সময়ের জন্য সাহাবিদের বিধান দিতে। ওই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময়ই রাসুল (স.) কুরআনের অংশ হিসেবে তা লিপিবদ্ধ করতে নিষেধ করেছিলেন।◾কাসির বিন সালত(রহ) থেকে বর্ণিত,জায়েদ ইবনে সাবিত(রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ(স)কে বলতে শুনেছি যে, “যখন কোন বিবাহিত পুরুষ অথবা মহিলা ব্যভিচার করে, তাদের উভয়কে রজম কর।”(এটি শুনে)আমর বলেন, “যখন এটি নাজিল হয়েছিল, আমি নবী এর নিকট আসলাম এবং এটি লিপিবদ্ধ করব কিনা তা জানতে চাইলাম। তিনি তা অপছন্দ করলেন।[2] পরবর্তীতে বিধান সাহাবিদের অন্তরে গেঁথে গেলে ও সাহাবিরা অভ্যস্ত হয়ে গেলে রজমের আয়াতের তিলাওয়াত আল্লাহ রহিত করে দেন।কিন্তু বিধান বহাল রাখেন।

      ◾উমার (রা.) রাসুলুল্লাহ (স.) এর নিকট গিয়েছিলেন এবং জিজ্ঞেস করেছিলেন,“হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে রজমের আয়াতটি লিখে দেওয়া হোক। নবী মুহাম্মাদ বললেন, 'আমি তা করতে পারব না।. অর্থাৎ, রজমের আয়াতের তিলাওয়াত রহিত। এ কারণে এটি কুরআনে নেই।[3]

      ◾রজমের আয়াত যে কুরআনের অংশ না, তা নিম্নোক্ত হাদিস থেকে আরো ভালোভাবে বোঝা যায়।বরং রজমের আয়াত কুরআনে যোগ করলেই উলটো কুরআনকে বিকৃত করা হয়-

      উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রজমের আইন বাস্তবায়ন করেছেন, আবূ বাকর (রা.) -ও রজমের আইন বাস্তবায়ন করেছেন এবং রজমের আইন আমিও বাস্তবায়ন করছি। আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের মধ্যে যদি কোন কিছু যোগ করাকে আমি নিষিদ্ধ মনে না করতাম তবে অবশ্যই এই বিধান মাসহাফে (কুরআনে) লিখে দিতাম। কেননা আমার ভয় হয় যে, পরবর্তী সময়ে মানব জাতির এমন দল আসবে যারা এই হুকুম আল্লাহ তা‘আলার কিতাবে না দেখতে পেয়ে তা অস্বীকার করবে।[4]

      এ হাদিস থেকে বোঝা যায় রজমের আয়াত কুরআনের অংশ না। এ কারণেই উমর (রা.) সেটি কুরআনে যোগ করেননি। সুন্নি জামাত রজম অস্বীকার করে না। এর তিলাওয়াত রহিত হলেও রজমের বিধান কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। কিন্তু খারেজী, মুতাজিলা ও আহলে কুরআন সম্প্রদায় কুরআনে রজমের আয়াত না থাকার কারণে রজমকে অস্বীকার করে থাকে।উমর (রা.) এদের ব্যাপারেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।◾তিলাওয়াত রহিত হওয়া সত্ত্বেও কুরআনের সেই রজমের আয়াতটি মোটেও হারিয়ে যায়নি।আয়াতটি আলাদাভাবে সংরক্ষিত। রজমের আয়াতটি হলো:-

      [5] الشيخ والشيخة إذا زنيا فارجموهما البتة

      হারিয়ে গেলেও তা কুরআনের বিশুদ্ধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতো না।

      Delete
    4. আমি কি বলতে চেয়েছি তা না বুঝেই চিল্লাচ্ছেন। আমি বলতে চাচ্ছি রজমের আয়াত ও বয়স্ক লোকের দুধপানের আয়াত হারিয়ে যাওয়ার হাদিসটা ভুয়া আপনাদের মতে, কিন্তু এরকম এক দুইটা ভুয়া হাদিসের জন্য কি সহিহ হাদিস গুলোকেও অস্বীকার করেন? সেরকম ভবিষ্যপুরাণ ভুয়া হওয়ার জন্য তারা কেন কল্কিপুরাণকে ভুয়া বলবে?

      Delete
    5. কল্কি পুরান ভুয়া না! কল্কি পুরান নিয়ে যুক্তিহীন ব্যখ্যা গুলো ভুয়া! আর ইসলাম ধর্ম নিয়ে কি বলবো, এতটাই দূর্বল যে এখন নিজেদের ধর্ম চালাতে সানাতনের ref দিতে হচ্ছে😆

      Delete
  8. মহাপ্রভূর ভবিষ্যতদ্বানী না জানা থাকলে কল্কি অবতার সম্পর্কে প্রকৃত সত্য জানা যাবে না - কল্কি অবতার সম্প্ররকে অনেক বিতর্ক শুরু হয়েছে চারিদিকে সুতরাং এই লিংকে প্রবেশ করুন । আশাকরি অজানা অনেক ইতিহাস জানতে পারবেন https://kalkiabatarchaitanyamahaprabhu.blogspot.com/2021/08/blog-post.html

    ReplyDelete
  9. তোদের হিন্দু ধর্ম হচ্ছে সম্পূর্ণ যুক্তিহীন।
    ভগবান পৃথিবীতে এসে মানুষের নিয়মকানুন শিখায়।
    ভগবান জন্ম নেয়।
    ভগবান বিয়ে করে।
    ভগবান যৌন মিলন করে।
    ভগবান বাচ্চা জন্ম দেয়।
    ভগবান খাবার খান।
    ভগবান নিজেরা মাটি তৈরি করা।
    ভগবানকে পানিতে ফেলে দেওয়া।
    ভগবান ৩০ কোটি+

    তোদের ধর্ম এক কোপে পশু হত্যার মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ড শিখিয়েছে।
    শিখিয়েছে কাদা দিয়ে ভগবান বানাতে আবার কয়দিন পর পানিতে ছুরে ফেলতে।
    শিখিয়েছে দূর্গা পূজা নামে মদের আসর বানাতে ও নারী পুরুষ উভয়ে একসাথে নাচতে যা বর্তমানে যৌনতার চরম সুযোগ করে দিয়েছে। আবার সেই সুযোগ ও লুটছিস।
    শিখিয়েছে গরুকে ভগবান বানাতে আবার সেই গরুর চামড়া পায়ে গলাতে।
    শিখিয়েছে ও সৃষ্টিকে ভগবান বানাতে।
    শিখিয়েছে ৩০কোটি ভগবানকে ডাকতে।

    যার সকল কিছুই তোদের পূরানের(বেদ)এর বিরুদ্ধে।


    আমাদের ধর্ম হচ্ছে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। কিতাব হচ্ছে কোরআন।কোটি কোটি বিলিয়ন বছর আগে থেকে এই সমগ্র বিশ্ব মহান আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত।পৃথিবীর প্রথম মানব (হয়রত আদম (আ) এর জাতি থেকে শুরু করে হয়রত মুহাম্মদ (স:) পর্যন্ত অনেক অনেক কিতাব নাজিল হয়েছে এক এক নবী ও রাসূলের ওপর।নিয়ম হচ্ছে নতুন কোনো কিতাব নাজিল হলে পূর্বের সব কিতাব বাতিল বলে গণ্য করা হবে। কারন কোরআন এর পূর্বের সকল কিতাব গুলো শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনো জাতি/গোএ/দেশ এর জন্য নাজিল হয়েছে। একমাত্র কোর‌আন সমগ্র জাতি (মানব ও জ্বীন) এর জন্য নাজিল হয়েছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সব প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই আদিম যুগের কুসংস্কার মাত্র।

      Delete
    2. এজন্য মুসলমাদের আমরা মূর্খচোদা বলি! কারনো তোরা কিছু ভালোমতো না জেনে শুনে কথা বলিস

      Delete
    3. ইসলাম ধর্ম হলো copy বাজ বেশিরভাগ লেখাই মাদারচোদরা হিন্দুদের থেকে copy করা!

      Delete
  10. / কল্কি দীক্ষা নিবে পরশুরামের কাছে একটি গুহায়, হিন্দুরা এখানে মিথ্যাচার করে বলে যে কল্কি নাকি দীক্ষা নিবে হিমালয় এর গুহায় যা ডাহা মিথ্যাচার। কল্কিপুরানের কোথাও এই কথা নেই। (কল্কিপুরান ৩/১) এ বলা আছে, কল্কি দীক্ষা নিবেন মহেন্দ্র পর্বতে। এই মহেন্দ্র পর্বত একটিই কাল্পনিক পর্বত যার অস্তিত্ত পাওয়া যায় মহাভারতে।এবার দেখুন কি অসাধারন মিল।মহেন্দ্র শব্দের অর্থ, মহান যে ইন্দ্র, অর্থাৎ যাহা মহা আলোকিত। ইন্দ্র আলোর প্রতীক কারন ইন্দ্রই হচ্ছে সুর্য (রিগবেদ ১/১২১/২) তাই মহেন্দ্র মানে মহা আলোকিত স্থান।অপরদিকে নবিজি মুহাম্মদ সঃ দীক্ষা নিয়েছিলেন হেরা গুহায়, যাকে বলা হয় “জাবাল এ নূর” অর্থাৎ আলোকিত গুহা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যেই হেডার যুক্তি দিসো! মাহাভারতের ref দেস, তাও আবার ভুল! আগ্নিবীরের ref দেখে পুটকি জ্বলে গেছে এখন আবোল তাবোল ref দেওয়া শুরু করসোস😂

      Delete
  11. অগ্নিবীর বাটপারি ব্যবসা মিথ্যাচার সব উত্তর আমার কাছে আছে অতি শীঘ্রই সব ফাঁস করে দিব প্রমান সহ

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার প্রমান গুলো ও জাকের মাদারচোদের মতো মিথ্যে প্রমান করতে আমরা বসে আছি

      Delete
  12. সব ভুল ব্যখ্যা। হিন্দুদের ধর্মীয় স্কলাররাই এখন মেনে নিয়েছে যে কল্কি অবতারি মুহাম্মদ সাঃ।এমনকি তারা এই নিয়ে বইও লিখেছেন। যেমনঃ ডঃ বেদ প্রকাশ উপপাধ্যায় এর লেখা কল্কি অবতার ও মুহাম্মদ সাহেব।

    ReplyDelete
    Replies
    1. Jara meneche tara tor moton pagolch*da..
      "সনাতন " dharma prithibir sob chaiye "শ্রেষ্ঠ ধর্ম "।।
      Toder "nobi" একজন sadharon মানুষ . ।
      Ar কল্কি avatar ভগবান বিষ্ণুর.

      Delete
  13. আহমদ মানে আহাম্মক মুহাম্মদ মানে মহাউম্মাদAugust 18, 2022 at 7:23 AM

    অধ্যাপক ডক্টর বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়ের কল্কি অবতার ও মোহাম্মদ সাহেব বইটা পড়ে আমি হাসতে হাসতে খুন হয়ে যাচ্ছিলাম আরেকটু হলে। আমার মাথায় আসছিল না যে উনি অধ্যাপক‌ই হলেন কিভাবে আর ডক্টরেট ডিগ্রী বা অর্জন করলেন কিভাবে উনার মত একজন আহাম্মক আর জোচ্চোর অধ্যাপক আমি আর জীবনে দেখি নাই।

    ReplyDelete
  14. e vai lekhok tui asol ki bujhate caichis oposongar bolto... tui ki sristy korta ek eeita bissash koris na ek ek dhormer sristy korta ek ek rokom... r tui ki bujhate cas hindu dhormo asol sotti.. sottita age bolto

    ReplyDelete
    Replies
    1. চুপথাক! সনাতন চিরসথ্য চির পুরাতন! আল্লাচোদা বানোয়াট ধর্ম না! যার কোনো ব্যখ্যা নাই! যা ব্যখ্যা আছে তাও সনাতন ধর্ম থেকে copy করা

      Delete
  15. More info...
    https://themillenniumreport.com/2015/03/the-20152016-shemitah-jubilee-and-the-end-of-the-kali-yuga/

    ReplyDelete
  16. শ্রষ্ঠারতো কোন প্রতিমা হয় না। তাহলে কেন প্রতিমা তৈরী করেন ? গো মানেতো নদী ওটাকে গরু বানিয়ে নিলেন কেন ? মূর্তিপূজা ব্যতিত শ্রষ্টার সত্যতা স্বর্গ নরক বা জান্নাত জাহান্নাম সব কিছুইতো একই নিয়মে গাঁথা। পরম শ্রষ্ঠা যে একজনই আর তিনি যে বিচার করবেন এটা কি মিথ্যা কথা ?

    ReplyDelete
  17. https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6_%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC

    ReplyDelete
Post a Comment