স নো॒ নি য॑চ্ছা॒দ্বসু॒ যৎপরা॑ভূ॒তম॒স্মাক॑মস্তু পি॒তৃষু॑ স্ব॒ধাব॑ৎ ॥
- অথর্ব ৭.৪১.২
আক্ষরিক অনুবাদ -
- আসুন এর রহস্য বুঝি -
অধিদৈবত পক্ষে এই বাজপাখিই আদিত্য [ নিরু০ ১৪।১৩ ] । তিনি সকল মনুষ্যের দ্রষ্টা অথবা প্রকাশক। সুন্দর জ্যোতি-রূপ পক্ষের দ্বারা আকাশে উড্ডয়ন করে ।তার কিরণ-রূপ সহস্র চরণ রয়েছে, শতকোটি নীড় অথবা প্রবেশস্থান রয়েছে, কেননা তিনি সর্বত্র ব্যাপ্ত রয়েছেন। তিনি আয়ু এবং অন্নের দাতা । প্রাণীদের স্বাস্থ্য-রূপ ধন যখন ক্ষীণ হয়ে যায়, তা উনি পুনঃ প্রদান করেন। সূর্য থেকেই শক্তি পেয়ে মাতা-পিতা আত্মনির্ভর হন।
শরীরে প্রাণই বাজপাখি [ নিরু০ ১।১১ ] । তিনিই সকল মনুষ্যের উপর কৃপাদৃষ্টি রাখেন,তিনি দিব্য, আবাগমন করতে অথবা শরীর থেকে পুনর্জন্ম দ্বারা অন্য শরীরে উড্ডায়ন করার কারণ কারণ সুপর্ণ । তার সহস্র শ্বাসোচ্ছ্বাস-রূপ চরণ রয়েছে। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রূপ শককোটি তার নীড় , যেখানে সে প্রাণ, অপান, ব্যান আদি রূপে নিবাস করেন। তিনি বয়োধাঃ অর্থাৎ আয়ু বৃদ্ধিকারী। তিনিই শরীরের ক্ষীণ হওয়া তেজ, বলাদি রূপ বসুকে প্রদান করেন ।
এই বাজপাখি পরমাত্মারও বাচক [ নিরু০ ১৪।১৩ ] । তিনি মনুষ্যদের দ্রষ্টা, দিব্য এবং সুপর্ণ অর্থাৎ শোভনভাবে অতিক্রম করান । তার সহস্র চরণ অর্থাৎ তিনি সর্বগত [ তুলনীয় ঋগ্বেদ ১০।৯০।১ - পুরুষসূক্ত ] পৃথিবী, মঙ্গল, বুধ আদি গ্রহ-উপগ্রহ এবং নক্ষত্র সবই তার অসংখ্য ঘর অথবা নীড়। আবার তিনি বায়ু, অন্ন তথা সর্ববিধ বসুর প্রদাতা ।
বাংলাদেশ অগ্নিবীর