দৈনিক বেদবাণী


এই সমগ্র সংসার নিরোগ এবং শুভচিন্তা যুক্ত হোক । যজুর্বেদ ১৬.৪                    সূর্য-এর আলোয় স্বয়ং আলোহীন চাঁদ আলোকিত হয় । ঋগ্বেদ ৫.৪০.৫                    প্রশংসনীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মাতৃভূমি— এই ত্রয়ী সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করে। ঋগ্বেদ ১.১৩.৯                    উত্তম জীবন লাভের জন্য আমাদের জ্ঞানীদের সাহচর্যে চলা উচিৎ। ঋগ্বেদ ১.১২.১৬                    যে ব্যক্তি সম্পদ বা সুখ বা জ্ঞান নিঃস্বার্থভাবে দান করে, সে-ই প্রকৃত মিত্র। ঋগ্বেদ ২.৩০.৭                    মানুষ কর্ম দ্বারাই জগতে মহত্ত্ব ও প্রসিদ্ধি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৩.৩৬.১                    হে পতি! তোমার স্ত্রীই গৃহ, স্ত্রীই সন্তানের আশ্রয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৩.৪                    পরমাত্মার নিয়ম বিনষ্ট হয় না; তা অটুট, অচল ও অপরিবর্তনীয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৪.১৮                    এই ধর্মের মার্গই সনাতন, এই পথে চলেই মানবগণ উন্নতি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৪.১৮.১                    পরমাত্মার নিকট কোনো মানুষই বড় বা ছোট নয়। সকল মানুষই সমান এবং পরস্পরের ভ্রাতৃস্বরূপ। ঋগ্বেদ ৫.৬০.৫                    যে ব্যক্তি অকারণে অন্যের নিন্দা করে, সে নিজেও নিন্দার পাত্র হয়। ঋগ্বেদ ৫.২.৬                    নিশ্চিতরূপে এই চতুর্বেদ কল্যাণপ্রদায়িনী এবং মানবকে জ্ঞান প্রদান করে ধারণকারিণী। ঋগ্বেদ ৫.৪৭.৪                    বীর মানবের জন্য পর্বতও সুগম হয়ে যায়। ঋগ্বেদ ৬.২৪.৮                    আমরা অন্যের সঞ্চিত পাপের কর্মফল ভোগ করি না। ঋগ্বেদ ৬.৫১.৭                    হে মিত্রগণ! ওঠো— উদ্যমী হও, সাবধান হও এবং এই সংসাররূপী নদীকে অতিক্রম করো। ঋগ্বেদ ১০.৫৩.৮







যে ২০০টি উপকার মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী আমাদের করেছেন....

সত্যান্বেষী
0


 মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীজির ২০০তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে তাঁর ২০০টি উপকার নিয়ে আমরা 

আজ আলোচনা করবো –

১) বেদকে সত্য বিদ্যার গ্রন্থ প্রমাণ করেছেন।

২) বেদের দিকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান করেছেন।

৩) বেদকে মূল ঈশ্বরোক্ত সংবিধান বলেছেন।

৪) বেদকে মানবজাতির একমাত্র ঐশ্বরিক ধর্মগ্রন্থ বলেছেন।

৫) বেদ মর্যাদার পুনঃস্থাপনা করেছেন।

৬) অশুদ্ধ বেদভাষ্যকে শুদ্ধ করেছেন।

৭) বেদে ইতিহাস নেই বলেছেন।

৮) বেদে সাকারবাদ নেই প্রমাণ করেছেন।

৯) বেদ মনুষ্যমাত্রের জন্য বলেছেন।

১০) নারীদের বেদপাঠের অধিকার দিয়েছেন।

১১) শূদ্রকে বেদ পড়ার অধিকার দিয়েছেন।

১২) ত্রৈতবাদকে পুনঃ স্থাপিত করেছেন।

১৩) ঈশ্বর-জীব-প্রকৃতি তিন অনাদি তত্ত্ব বলেছেন।

১৪) বেদ শুধু কর্মকাণ্ড নয় প্রমাণ করেছেন।

১৫) বেদ ঈশ্বর প্রদত্ত, মনুষ্য কৃত নয় প্রমাণ করেছেন।

১৬) স্মৃতির মানে বেদ নয় বলেছেন।

১৭) বেদ ও সৃষ্টিতে একরূপতা বলেছেন।

১৮) ঈশ্বর ও জীব এক নয় সিদ্ধ করেছেন।

১৯) জীব কখনো ঈশ্বর হতে পারেনা বলেছেন।

২০) ঈশ্বর ও জীব এক নয় সিদ্ধ করেছেন।

২১) প্রকৃতি মিথ্যা নয় বলেছেন।

২২) ছয় দর্শনে একরূপতা বলেছেন।

২৩) ব্রাহ্মণ আদি গ্রন্থের বাক্য ও সিদ্ধান্ত বেদানুকূল হলেই সত্য ও মান্য বলেছেন।

২৪) ঈশ্বর কর্মফল প্রদাতা বলেছেন।

২৫) ঈশ্বর সব সত্য বিদ্যার ও পদার্থের মূল বলেছেন।

২৬) ঈশ্বর এক, ঈশ্বর অবতার নেন না সিদ্ধ করেছেন।

২৭) ঈশ্বর কখনো পয়গম্বর প্রেরণ করেন না এটি বুঝিয়েছেন।

২৮) ঈশ্বর সর্বত্র ব্যাপক সিদ্ধ করেছেন।

২৯) বেদকে আলস্য রূপী শঙ্খাসুর নিয়েছিল সিদ্ধ করেছেন।

৩০) বেদের জ্ঞান মানবসৃষ্টির আদিতে  প্রাপ্ত হয় এই বলেছেন।

৩১) তীর্থস্থান যাওয়া মাত্র পাপ নষ্ট হয় না বলেছেন।

৩২) গঙ্গাতে ডুব দিলেই মুক্তি হয় না, পাপ মুছে যায় না বলেছেন।

৩৩) মাতা পিতা ঈশ্বর আচার্য বিদ্বানই তীর্থ বলেছেন।

৩৪) নিরাকার তত্ত্বই পরমসত্য প্রমাণিত করেছেন।

৩৫) জাতিবাদকে মিথ্যা বলেছেন।

৩৬) স্বভাব-গুণ-কর্মানুসারে বর্ণ ব্যবস্থাকে বলেছেন।

৩৭) শূদ্রও ব্রাহ্মণ হতে পারে এই উদ্ঘোষ করেছেন।

৩৮) অস্পৃশ্যতাকে দূর করেছেন।

৩৯) জন্ম দ্বারা নয় বরং কর্ম দ্বারা মানুষ মহান বলেছেন।

৪০) বিধবার বিবাহ উচিত বলেছেন।

৪১) বিধবাদের নারকীয় জীবন থেকে রক্ষা করেছেন।

৪২) সতীপ্রথাকে মানবজাতির সব থেকে বড় কলঙ্ক বলেছেন।

৪৩) বহু বিবাহকে ঘাতক বলেছেন।

৪৪) নারীদের গুরুকুলে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।

৪৫) পর্দা প্রথার বিরোধ করেছেন।

৪৬) বাল্যবিবাহ বন্ধ করিয়েছেন।

৪৭) বৃদ্ধ বিবাহ বন্ধ করিয়েছেন।

৪৮) নারীর সম্মান বৃদ্ধি করেছেন।

৪৯) গৃহস্থ আশ্রমকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন।

৫০) ব্রহ্মচর্যের মহিমা কীর্তন করেছেন।

৫১) বিবাহে গুণ-কর্ম-স্বভাব অনুযায়ী বর্ণ আবশ্যক বলেছেন।

৫২) বানপ্রস্থের উপযোগিতা বর্ণনা করেছেন।

৫৩) সন্ন্যাসের মহত্ত্ব ও  সন্ন্যাসীর কাজ কী তা বলেছেন।

৫৪) মানবনির্মাণ নিমিত্তে সংস্কার বিধি গ্রন্থ লিখেছেন।

৫৫) বাল্যশিক্ষা শাস্ত্রীয় পথ অনুযায়ী ব্যাখ্যা করেছেন।

৫৬) জন্মপত্র তথা কুণ্ডলীর ভবিষ্যদ্বাণীকে শোকপত্র বলেছেন।

৫৭) মাতাকে নির্মাত্রী বলেছেন।

৫৮) শিশুর জন্য মাতার শিক্ষা সর্বোচ্চ মুখ্য বলেছেন।

৫৯) বালক বালিকার জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা শাস্ত্রীয়ভাবে তুলে ধরেছেন।

৬০) অনিবার্য শিক্ষার মহত্ত্ব বলেছেন।

৬১) পাঠশালাইয় না পাঠালে মাতা-পিতাকে দোষী বলেছেন।

৬২) বিদ্যা গ্রহণকালে সবার একই ভোজন-বস্ত্র হবে শিখিয়েছেন।

৬৩) আর্ষ শিক্ষার মহত্ত্ব বলেছেন।

৬৪) অনার্ষ শাস্ত্র কীভাবে চিনবো জানিয়েছেন।

৬৫) ঋষিকৃত গ্রন্থের মহত্ত্ব বলেছেন।

৬৬) ঋষিকৃত গ্রন্থের প্রক্ষিপ্ততা চিনতে ও সিদ্ধান্ত নিতে শিখিয়েছেন ।

৬৭) পঠন-পাঠন ব্যবস্থা শিখিয়েছেন।

৬৮) ব্রহ্মা থেকে জৈমিনী পর্যন্ত জ্ঞানকেই নিজের সিদ্ধান্ত বলেছেন।

৬৯) মহাপুরুষদের উপর দোষকে দূর করেছেন ।

৭০)  যোগ বিদ্যা শিখিয়েছেন।

৭১) অষ্টাঙ্গ যোগ শিখিয়েছেন ।

৭২) প্রাণায়াম কা মহত্ত্ব বলেছেন।

 ৭৩) কোন ব্যক্তিতে ব্রহ্ম ভেবে পূজার নিষেধ করেছেন।

৭৪) অন্ধ গুরুবাদের খণ্ডন করেছেন।

৭৫) ফলিত জ্যোতিষের ভণ্ডামি দূর করেছেন।

৭৬) অন্ধবিশ্বাস ও তার কারণ তুলে ধরেছেন।

৭৭) যজ্ঞে পশুহিংসার খণ্ডন করেছেন।

৭৮) নরবলিকে কলঙ্ক বলেছেন।

৭৯) কর্মকাণ্ড পদ্ধতিকে শুদ্ধ করেছেন।

৮০) পঞ্চমহাযজ্ঞকে পুনরায় প্রচলন করেছেন।

৮১) জাদু টোনা টোটকা দূর করেছেন।

৮২) ভূত-প্রেতের ভয় দূর করেছেন।

৮৩) পূর্বজন্ম-পুনর্জন্মের মহত্ত্ব বলেছেন।

৮৪) কর্মফল ব্যবস্থার মহত্ত্ব বলেছেন।

৮৫) যজ্ঞকে সর্বশ্রেষ্ঠ পূজা বলেছেন।

৮৬) যজ্ঞকে পর্যাবরণের জন্য অত্যাবশ্যক বলেছেন।

৮৭) গৃহস্থাশ্রমে পঞ্চ মহাযজ্ঞ অনিবার্য বলেছেন।

৮৮) সন্ধ্যার বিশেষত্ব তুলে ধরেছেন।

৮৯) সন্ধ্যার বিধি শিখিয়েছেন।

৯০) পরমেশ্বরই মুক্তির জন্য একমাত্র উপাস্য বলেছেন।

৯১) সব জীবেই ঈশ্বর ব্যাপ্ত বলেছেন।

৯২) অহিংসা আসলে কী শিখিয়েছেন।

৯৩) শাকাহার তথা সাত্ত্বিকাহারের মহত্ত্ব বলেছেন।

৯৪) মন্দিরে চলমান পশুবলি ও ঘৃণ্য প্রথার নিষেধ করেছেন।

৯৫) আহার-বিহারের ভেদাভেদকে অস্পৃশ্যতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছনে।

৯৬) শূদ্রের রান্না ভোজনকেও সঠিক বলেছেন।

৯৭) ব্রতের তাৎপর্য ও মহত্ত্ব বলেছেন।

৯৮) আমাদের অবনতির মূল কারণ ও সমাধান দিয়েছেন।

৯৯) গ্রহ নক্ষত্ররের প্রভাবকে অন্ধবিশ্বাস বলেছেন।

১০০) কর্মানুসার ও ত্রিবিধতাপের সুখ-দুঃখ বলেছেন।

১০১) সব প্রাণীর বাঁচার অধিকার আছে বলেছেন।

১০২) গোরক্ষার মহত্ত্ব বলেছেন।

১০৩) গোকরুণানিধি লিখেছে গোরু ও অন্যাদি পশু রক্ষার ব্যাখ্যা করেছেন।

১০৪) সর্বপ্রথম রেবাড়ীতে গোশালা স্থাপিত করেছেন।

১০৫) গোরক্ষার জন্য হস্তাক্ষর অভিযান চালিয়েছেন।

১০৬) গোরক্ষার জন্য মহারানী ভিক্টোরিয়াকে পত্র লিখেছেন।

১০৭) গো হতে কৃষি এবং কৃষি থেকে ভারতের উত্থান বলেছেন।

১০৮) পরাধীন ভারতে স্বদেশী কল-কারখানা চালু করতে বলেছেন।

১০৯) ব্যবসার জন্য উদ্বুদ্ধ করার স্বদেশী সর্বপ্রথম প্রয়াস করেছেন।

১১০) স্বদেশ ও স্বদেশীয় বস্তুকে সর্বোপরি বলেছেন।

১১১) স্বদেশী বস্তুর মহত্ত্ব বলেছেন।

১১২) ভারতীয় সভ্যতার স্বাভিমান জাগ্রত করেছেন।

১১৩) কেউ যদি আঙ্গুল জ্বালিয়ে দেয় তাও সত্য বলবেন বলেছেন।

১১৪) বালকদের শিক্ষা অজ্ঞের কাছে করাতে নিষেধ করেছেন।

১১৫) সর্বমতের একতার জন্য প্রয়াস করেছেন।

১১৬) সবাইকে দুরাগ্রহ ত্যাগ করে একত্র হয়ে বেদের পথে আসার প্রতি জোর দিয়েছেন।

১১৭) সর্বধর্ম[মত] সম্মেলন ডেকে সনাতনই শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করেছেন ।

১১৮) শ্রাদ্ধ-তর্পণ কর্ম জীবিত অবস্থাতেই গুরুদের সম্মান ও সেবার জন্য বলেছেন।

১১৯) মৃত্যুর পর যাই করো মা-বাবা সেই ফল পাবে না , তাই বেঁচে থাকতে সেবা করো 

এই কথা বলেছেন ।

১২০) যজ্ঞোপবীত সংস্কার পুনঃ প্রচলন করেছেন।

১২১) তথাকথিত শূদ্র ও স্ত্রীকে যজ্ঞোপবীত ধারণের অধিকারী বলেছেন।

১২২) কুসংস্কার ও জাতিভেদ তৈরি করা গ্রন্থের খণ্ডন করেছেন।

১২৩) ১৮ পুরাণকে বেদ বিরুদ্ধ প্রমাণ করেছেন।

১২৪) ঈশ্বরকে সীমিত করা হানিকারক বলেছেন।

১২৫) সত্য প্রচারের জন্য পাদ্রী, মৌলবী, জৈনী ইত্যাদিদের সাথে বারংবার শাস্ত্রার্থ করেছেন।

১২৬) কাশীতে শাস্ত্রার্থ করে মূর্তিপূজা বেদ বিরুদ্ধ বলেছেন।

১২৭) বেদ পাঠশালা স্থাপন করেছেন।

১২৮) গুরুকুল প্রণালীর মার্গ প্রশস্ত করেছেন।

১২৯) মোক্ষ প্রাপ্তির মার্গ বলেছেন।

১৩০)মোক্ষের অবধি ও স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন।

১৩১) ঈশ্বরের প্রমুখ ১০০ নাম ব্যাখ্যা করেছেন।

১৩২) ঈশ্বর ও জীবের ভেদ কী তা বলেছেন।

১৩৩) নমস্তে-কে আর্যদের অভিবাদন বলেছেন।

১৩৪) স্বর্গ ও নরকের বাস্তবিক পরিভাষা জানিয়েছেন।

১৩৫) স্বরাজ্যের সর্বপ্রাচীন উদ্ঘোষ করেছেন।

১৩৬) ১৮৫৭ সালের ক্রান্তিতে ভূমিকা পালন করেছেন।

১৩৭) স্বরাজশাসনকেই সুরাজশাসন বলেছেন।

১৩৮) পরাধীন দেশে গণতন্ত্রের কথা বলেছেন।

১৩৯) লবণ-করের সর্বপ্রথম বিরোধ করেছেন।

১৪০) বিদেশী রাজা আমাদের দেশ শাসন-শোষণ না করুক এটি বলেছেন।

১৪১) বন্য বস্তুর উপর চুঙ্গী করের বিরোধ করেছেন।

১৪২) স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর করেই জমি নেওয়ার বিরোধ করেছেন।

১৪৩) অভিব্যক্তির ও বাকস্বাধীনতার স্বতন্ত্রতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

১৪৪) রাজনীতির গভীর ব্যাখ্যা করেছেন।

১৪৫) রাজাদের জন্যেও গনতন্ত্রের কথা বলেছেন।

১৪৬) ধর্ম ও রাজনীতির সুন্দর সমন্বয় করেছেন।

১৪৭) সত্যার্থ প্রকাশ – এর মতো অদ্ভুত গ্রন্থ রচনা করেছেন।

১৪৮) প্রথম ক্রান্তিকারী শ্যামজী কৃষ্ণ বর্মাকে ইংল্যান্ড পাঠিয়েছেন।

১৪৯) জীবনে ১৭ বার  বিষ পান করেছেন কিন্তু পাষণ্ড খণ্ডন ও বেদ প্রচার ত্যাগ করেননি।

১৫০) প্রচার করার সময় দুষ্টদের প্রস্তর বৃষ্টিকে সহ্য করেছেন  কিন্তু অবোধদের প্রতি রাগ করেননি।

১৫১) স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রেরণার উৎস হয়েছেন।

১৫২) মহাদেব গোবিন্দ রানাডে তাঁর শিষ্য হয়েছেন।

১৫৩) সত্যার্থ প্রকাশ পড়ে পণ্ডিত রাম প্রসাদ বিস্মিল স্বাধীনতা সংগ্রামী হয়েছেন।

১৫৪) ১৮৭৫ সালে আর্যসমাজ স্থাপন করেছেন

১৫৫) কোন ব্যক্তি বিশেষকে নিজের উত্তরাধিকারী করেননি।

১৫৬) আর্যসমাজকে গণতান্ত্রিক সংগঠন করেছেন।

১৫৭) পণ্ডিত গুরুদত্ত বিদ্যার্থী, পণ্ডিত লেখরাম, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, লালা লাজপত রায়ের মত

 সৈনিক তৈরি করেছেন।

১৫৮) আর্যরা বহিরাগত নয় তার ঘোষণা দিয়েছেন।

১৫৯) আর্য অর্থ শ্রেষ্ঠ বলেছেন।

১৬০) ভারতে আর্যদের মূলনিবাসী বলেছেন।

১৬১) আর্য ও দ্রবিড়দের ভেদ দূর করেছেন।

১৬২) আর্য দ্বারা স্থাপিত বলে প্রাচীন নাম আর্যাবর্ত বলেছেন।

১৬৩) আর্যসমাজকেই নিজের উত্তরাধিকারী করেছেন।

১৬৪) আর্যসমাজের মতো সংগঠন স্থাপিত করে দেশকে সেনা প্রদান করেছেন।

১৬৫) আর্য-কে জাতিবাচক নয় বরং গুণবাচক শব্দ বলেছেন।

১৬৬) আর্য কোন জাতি নয় বরং শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের সমষ্টি বলেছেন।

১৬৭) আর্যসমাজে স্বয়ং কোন বিশিষ্ট পদ নেননি।

১৬৮) রাষ্ট্রীয় স্বাভিমান জাগ্রত করেছেন।

১৬৯) নিজের বেশভূষার প্রতি গর্ব করতে শিখিয়েছেন।

১৭০) বৈদিক সংস্কৃতির মহত্ত্ব কী তা বলেছেন।

১৭১) বিশ্ব পরিবারের তাৎপর্য বেদের আলোকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

১৭২) মাতৃভাষাই সর্বশ্রেষ্ঠ বলেছেন।

১৭৩) পুরুষ ও নারীর ন্যূনতম বিবাহ বয়স স্থাপিত করেছেন।

১৭৪) স্বদেশী সাহিত্যের প্রতি জোর দিয়েছেন।

১৭৫) নিজের ভাষার উপর গর্ব করতে বলেছেন ও বেদ প্রচার করতে বলেছেন।

১৭৬) আর্যসমাজকে মানবমাত্রের জন্য হিতৈষী রূপে প্রস্তুত করেছেন।

১৭৭) ১০ নিয়মের মাধ্যমে মানব জন্মকে সার্থক করার উপায় জানিয়েছেন।

১৭৮) সনাতনী হয়েও সনাতন নিন্দুকদের খণ্ডন করেছেন ও করতে শিখিয়েছেন।

১৭৯) মতভেদ থাকলেও যে সৌহার্দ্য হ্রাস পাওয়া উচিত না তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

১৮০) নিজের ব্রহ্মচর্য বল দ্বারা শত্রুকে পরাজিত করেছেন ও সিংহ্নাদ করে আত্মরক্ষার 

গুরুত্ব বুঝিয়েছেন।

 ১৮১) সর্বসাধারণের জন্য বেদের প্রচার-প্রসার করার জন্য ‘বৈদিক যন্ত্রালয়’ নামে প্রেস 

স্থাপন করেছেন।

১৮২) বিদেশ গমনকে পাপ নয় বরং উৎসাহ দিয়েছেন।

১৮৩) বিদেশ গেলে ধর্মচ্যুত হয় না বরং ইতিহাস থেকে তার প্রমাণ দেখিয়েছেন।

১৮৪) জলয়ান ও বিমানের ব্যাপারে বেদ ঠেকে উদাহরণ দিয়েছেন।

১৮৫) বিদেশে ব্যবসার উৎসাহ দিয়েছেন।

১৮৬) সর্বত্র সনাতন ও বেদ বিদ্যার প্রচার চেয়েছেন।

১৮৭) নিজের কোন সম্পত্তি তৈরি করেননি।

১৮৮) বিদেশী ভাষাও শেখা উচিত বলেছেন।

১৮৯) কোন লোভে বিচ্যুত হননি, বরং সত্যই সর্বোত্তম তার শিক্ষা দিয়েছেন।

১৯০) পিতার বৈভব ছেড়ে সন্ন্যাস নিয়ে বিত্তৈষণা ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

১৯১) গুরুর একবার মাত্র বলাতেই সম্পূর্ণ জীবন জগতের ও সনাতন ধর্মের কল্যাণে 

সমর্পিত করেছেন।

১৯২) অখণ্ড ব্রহ্মচর্য পালন করেছেন।

১৯৩) চরিত্রে দাগ লাগতে দেননি, বরং নিজের সব কথা উন্মুক্তভাবে সকলকে জানিয়েছেন।

১৯৪) কেবল নিজের ব্রহ্মানন্দের চিন্তা না করে জগতের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

১৯৫) মরণ পরেও সমাধি তৈরি করতে না করেছেন, ভস্মকে বলেছেন কৃষি জমিতে ছড়িয়ে দিতে।

১৯৬) মৃত্যুর সময় হত্যাকারীকেও ক্ষমা করেছেন।

১৯৭) নিজেকে পুজা করতে বারণ করেছেন।

১৯৮) সমস্ত বিশ্বকে সনাতনের ছত্রছায়ায় আনতে নির্দেশ ও উপদেশ দিয়েছেন।

১৯৯) বারাণসীতে মিথ্যার খণ্ডন ত্যাগে শিবাবতার ঘোষণার প্রলোভনকেও হেলা ভরে 

ত্যাগ করেছেন।

২০০) মানবজাতির জন্য নিজের সর্বস্ব দান করেছেন।

🖋 শ্রী দীপঙ্কর সিংহ দীপ



Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)