"দেখো, আর্যাবর্তের রাজপুরুষগণের স্ত্রীগণ ধনুর্বেদ অর্থাৎ যুদ্ধবিদ্যাও খুব ভালো জানতো ; কেননা যদি না জানতো তো কৈকেয়ী আদি দশরথ আদির সাথে যুদ্ধে কী করে যেতে পারত এবং যুদ্ধ করতে পারতো?"
বেদভাষ্যে স্বামীজি লিখেছেন-
হে মনুষ্যা ! যা রাজ্ঞী ধনুর্বেদবিচ্ছস্ত্রাস্ত্রপ্রক্ষেপ্ত্রী বর্ত্ততে তস্যা বীরৈঃ সৎকারঃ সততং কার্য্যঃ ॥
ঋগ্বেদ ৬.৭৫.১৫
অর্থাৎ, হে মানবগণ ! যে রানী ধনুর্বেদ জানে, অস্ত্রশস্ত্র চালাতে জানে, বীরগণের তাঁকে নিরন্তর সৎকার করা উচিৎ ।
রাজার অনুপস্থিতিতে রানী সেনাপতিত্বের কাজ যেন সামলে নেয়, এরকম নিদের্শ করে লিখেছেন-
সংগ্রামে রাজাভাবে রাজ্ঞী সেনাপতিঃ স্যাদ্যথা রাজা যোধয়িতুং বীরান্ প্রেরয়েদ্ধর্ষয়েত্তথৈব সাঽপ্যাচরেৎ ॥
ঋগ্বেদ ৬.৭৫.১৩
অর্থাৎ, সংগ্রামে, রাজার অভাবে রানী যেন সেনাপতি হয় এবং যেমন রাজা যুদ্ধ করানোর জন্য বীরগণকে প্রেরণা দিয়ে উৎসাহিত করে, তেমনিই রানীও যেন আচরণ করে ।
পুরুষদের মতো নারীদেরও যুদ্ধবিদ্যা শেখানোর জন্য উৎসাহিত করে বলেছেন,
সভাপত্যাদিভিঃ যথা যুদ্ধবিদ্যযা পুরুষাঃ শিক্ষণীয়াস্তথা স্ত্রিয়শ্চ, যথা বীরপুরুষা যুদ্ধং কুর্যুস্তথা স্ত্রিয়োঽপি কুর্বন্তি।
যজুর্বেদ ১৭.৪৫
অর্থাৎ, সভাপতি প্রভৃতির কর্তব্য হলো, যুদ্ধবিদ্যা যেভাবে পুরুষদের শেখানো হয় তেমন নারীদেরও শেখানো । যেভাবে বীরপুরুষ যুদ্ধ করবে সেভাবে নারীও যুদ্ধ করবে ।
© বাংলাদেশ অগ্নিবীর