ভূত-প্রেত-রাক্ষস-ডাইনি-অসুর- এই সবের কী অস্তিত্ব রয়েছে ? এর থেকে মুক্ত হওয়া অসম্ভব?
নির্মূলনঃ- এই সমস্ত ভয়ানক কথা যার প্রভাব দুর্বল ব্যক্তিদের উপর অজ্ঞানতার কারণে হয়। সংক্ষেপে বুঝে নিন –
ভূত – অতীত কালকে ভূত বলে।
রাক্ষস – এ কাল্পনিক শব্দ। সমস্ত পাপকর্মীদের ❝রাক্ষস ❞ বলা হয়।
হিংসক ও অধর্মী বৃত্তিকে রাক্ষসী বৃত্তি বলে। রাক্ষস সেই জাতিকে জানবে যারা সদা নীচ কর্ম করে।
ডাইনি – এও রাক্ষসের মতো এক কাল্পনিক শব্দই। এ স্ত্রীলিঙ্গবাচী শব্দ। রাক্ষসের স্ত্রীলোক কেই ডাইনি বলে।
দীর্ঘ কেশবিশিষ্ট – ভয়ানক দর্শনধারী – বৃহৎ দন্তবিশিষ্ট – রক্ত পানকারী চার হাত বিশিষ্ট - দশ মস্তকবিশিষ্ট, নখ দিয়ে কেটে মানুষকে কাঁচা অবস্থায় ভক্ষণকারী - অন্ধকারে পিছু থেকে হামলাকারী – এই সমস্ত ভয়ের কারণে উৎপন্ন ভ্রান্তি যারা লোকের থেকে শোনা কথায় মনযোগ দিলে মনে বাসা বাঁধে। বাস্তবে এমন কিছুই হয় না।
এর থেকে মুক্ত হওয়ার – এই ভ্রান্তির সহজ ঔষধ হলো – প্রভুর নামের স্মরণ। প্রভুর নামে অনেক শক্তি রয়েছে। নামের অর্থকে খেয়াল রেখে তাকে আচরণে প্রয়োগ করা – এরই নাম শক্তি। বৈদিক সাহিত্যে স্বাধ্যায়, এবং ধার্মিক পুস্তক পাঠ করলে জ্ঞান প্রাপ্তি হয় অজ্ঞানতার পর্দা সরে যায়, এর দ্বারাই অন্ধশ্রদ্ধা এবং অন্ধবিশ্বাসের নিবারণ হয়।
বিস্তারিত পড়ুন - ধর্ম,বিজ্ঞান ও ইতিহাসের আলোকে ভূত প্রেত ও জ্বীন
বাংলাদেশ অগ্নিবীর।