দৈনিক বেদবাণী


এই সমগ্র সংসার নিরোগ এবং শুভচিন্তা যুক্ত হোক । যজুর্বেদ ১৬.৪                    সূর্য-এর আলোয় স্বয়ং আলোহীন চাঁদ আলোকিত হয় । ঋগ্বেদ ৫.৪০.৫                    প্রশংসনীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মাতৃভূমি— এই ত্রয়ী সুখ-সমৃদ্ধি প্রদান করে। ঋগ্বেদ ১.১৩.৯                    উত্তম জীবন লাভের জন্য আমাদের জ্ঞানীদের সাহচর্যে চলা উচিৎ। ঋগ্বেদ ১.১২.১৬                    যে ব্যক্তি সম্পদ বা সুখ বা জ্ঞান নিঃস্বার্থভাবে দান করে, সে-ই প্রকৃত মিত্র। ঋগ্বেদ ২.৩০.৭                    মানুষ কর্ম দ্বারাই জগতে মহত্ত্ব ও প্রসিদ্ধি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৩.৩৬.১                    হে পতি! তোমার স্ত্রীই গৃহ, স্ত্রীই সন্তানের আশ্রয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৩.৪                    পরমাত্মার নিয়ম বিনষ্ট হয় না; তা অটুট, অচল ও অপরিবর্তনীয়। ঋগ্বেদ ৩.৫৪.১৮                    এই ধর্মের মার্গই সনাতন, এই পথে চলেই মানবগণ উন্নতি লাভ করে। ঋগ্বেদ ৪.১৮.১                    পরমাত্মার নিকট কোনো মানুষই বড় বা ছোট নয়। সকল মানুষই সমান এবং পরস্পরের ভ্রাতৃস্বরূপ। ঋগ্বেদ ৫.৬০.৫                    যে ব্যক্তি অকারণে অন্যের নিন্দা করে, সে নিজেও নিন্দার পাত্র হয়। ঋগ্বেদ ৫.২.৬                    নিশ্চিতরূপে এই চতুর্বেদ কল্যাণপ্রদায়িনী এবং মানবকে জ্ঞান প্রদান করে ধারণকারিণী। ঋগ্বেদ ৫.৪৭.৪                    বীর মানবের জন্য পর্বতও সুগম হয়ে যায়। ঋগ্বেদ ৬.২৪.৮                    আমরা অন্যের সঞ্চিত পাপের কর্মফল ভোগ করি না। ঋগ্বেদ ৬.৫১.৭                    হে মিত্রগণ! ওঠো— উদ্যমী হও, সাবধান হও এবং এই সংসাররূপী নদীকে অতিক্রম করো। ঋগ্বেদ ১০.৫৩.৮







কেন আমি বেদকে ভালোবাসি ?

সত্যান্বেষী
0

 


. কারণ বেদ পরিষ্কার বলছে যে মানুষের কর্তব্য হচ্ছে "মাতৃভূমির প্রতি বিশ্বাসী ও অনুগত থাকা"।

দেশ আক্রান্ত হলে মানুষ হিন্দু, মুসলিম অথবা খ্রিষ্টান যাই হোক না কেন সেই ব্যাপারগুলো পরে আসে। কিছু কিছু মতবাদ (Cult) এই শিক্ষা দেয়-যদি স্বধর্মের শত্রু কোন দেশ নিজ মাতৃভূমিকে আক্রমণ করে তবে দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে শুধুমাত্র এই কারণে যে তারা সেই সমস্ত মতবাদে বিশ্বাসী। ইন্ডিয়ার কমিউনিষ্টরা ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীনকে সমর্থণ করেছিল কারণ কার্ল মার্কস তাদের কাছে ভারতমাতা থেকে প্রিয় ছিল। আমরা খেলার মধ্যেও দেখি যে যোগ্যতার থেকে কে কোন মতবাদের তা নিয়ে দল সমর্থন করা হয় বা বিরোধ । বেদে এই ধরনের প্রতারণার কোন অবকাশ নেই। বাস্তবিকপক্ষে Motherland অথবা মাতৃভূমি অথবা ভারতমাতা অথবা মা তুঝে সালাম অথবা বন্দে মাতরম (যদিও সালামের ধারকগণ এই গানের লিরিক্সের সাথে একমত না) এর ধারণাগুলোর সূচনাই হচ্ছে অথর্ববেদের ভূমিসূক্ত [অথর্ববেদ ১২কাণ্ড ১ম সূক্ত ]। আরো পড়ুন বেদে দেশপ্রেম নিয়ে কী বলা হয়েছে - https://www.agniveerbangla.org/2022/12/blog-post_15.html , বেদে বৈদিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও দেশাত্মবোধ নিয়ে কী বলা হয়েছে - https://www.agniveerbangla.org/2022/12/blog-post_15.html

. কারণ বেদ স্বধর্মত্যাগে মৃত্যুদণ্ড কিংবা অনন্তকাল নরকে জ্বলার ভয় দেখায় না 

বৈদিক সংস্কৃতি তাকে অভিন্দন জানায় যে বর্তমান প্রতিষ্ঠিত মতবাদ অথবা তথাকথিত ঈশ্বর (God), ভগবান, অবতার, সাধক (Saint), উপাসনার সামাজিক নিয়মের উপর শ্রদ্ধাপূর্বক প্রশ্ন করে। অন্যান্য পরবর্তী সময়ের প্রথার (Cult) অনুযায়ী নয় যেখানে স্বধর্মত্যাগ [পড়ুন স্বীয়মতবাদ] মানেই শস্তিস্বরুপ মৃত্যুদণ্ড। প্রাথমিক অবয়বটা বেশ সাধারণ এবং যুক্তিগত-যতক্ষণ না পর্যন্ত সমাজ তাদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে দেবে, রূঢ় অমানবিক নিয়মবহির্ভূত হয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলবে ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে উন্নতি, অগ্রগতি এবং নবধারা প্রবর্তিত হবে ? এই জন্যই আমরা দেখি যেসব সমাজে স্বধর্মত্যাগের পরিণামে শাস্তি ভোগ করতে হয় সেসব দেশ সেইসব নারকীয় পর্যায়ে পড়ে যারা সুসভ্যতার পর্যায়ে পৌছাতে গিয়ে প্রায় মুখ থুবরে হোঁচট খেয়ে পড়েছে  সমস্ত ইউরোপ আইন বহির্ভূত অন্ধকার গণ্ডির মধ্যে পড়ে ছিল যতক্ষণ না পর্যন্ত সেখানকার মানুষ আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। যে কোন কেউ এটা পরিষ্কার বুঝতে পারবে যে আফ্রিকা, মিডেল-ইস্ট এমন কি আমাদের পাশের দেশের পশ্চিম বর্ডারের দেশের অবস্থা কেমন।

. কারণ বেদই বিস্তৃত গভীর জ্ঞানের উৎস যা আজ মানবসমাজে পরিচিত (Because Vedas are the first source of wisdom known to humankind)

এখন পর্যন্ত কেউই বেদের বেদের উৎপত্তির যুক্তিগত সময় বের করতে পারে নি। সমস্ত প্রামাণিক বিচার বিশ্লেষন করে যখনই আমরা পিছনে তাকাই এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে সময়টায় অন্য মতবাদ ছিলো কিন্তু বেদের অস্তিত্ব ছিল না।

. কারণ বেদ নিখুঁত ভাবে এমন এক ক্রমানুসারী পদ্ধতি (Systematic Manner) অবলম্বন করে সংরক্ণ  করা হয়েছে যে সেই আদিকাল থেকে বেদ এখনও অপরিবর্তনীয় রয়েছে ।

শুধুমাত্র শব্দ সমূহই নয় এমনকি উচ্চারন এবং স্বরভেদসমূহ পর্যন্ত অপরিবর্তনীয় রয়েছে। বেদে ২০০০০ থেকেও বেশী মন্ত্র [২০৩৭৯] রয়েছে যা সামগ্রিকভাবে পরিপূর্ণ চমৎকার কিছু মানুষের কৃতিত্বপূর্ণ কাজের ফলস্বরুপের জন্য আজও অবিকৃত রয়েছে। A reason to congratulate ‘being human’ ! বিস্তারিত পড়ুন - https://www.agniveerbangla.org/2019/01/blog-post_10.html

.কারণ আমি যতটুকু পর্যন্ত অবহিত যে বেদই একমাত্র আধ্যাত্মিক গ্রন্থ যা সমস্ত প্রকার ব্যক্তিগত গল্প, মানবসমাজে অলৌকিকত্ত্ব, ইতিহাস এবং একক প্রতিষ্ঠাতা (Founder) বর্জিত যেগুলোর কাছে আমাদের অন্ধের মত নতি স্বীকার করতে হবে
একটা দুর্লভ সুবিধা সত্যিকারের একটা প্রাগৈতিহাসিক গ্রন্থ হবার। (A rare advantage for being the truly pre-historic texts)।

.কারণ বেদ সমন্বিত করা ঐশ্বরিক জ্ঞান এটা শুধুমাত্র একটা বিস্তৃত আধ্যাত্মিক জ্ঞানই নয় একটা ব্যবহারিক জীবনের অন্তর্জ্ঞানলদ্ধ পর্যাপ্ত জ্ঞানও বটে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসাবিদ্যা, স্বাস্থ্য, সমাজ, পরিবার, অর্থনৈতিক, অর্থব্যবস্থাপনা বিদ্যা (Finance), গবেষণা, শিক্ষা এবং আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে

আমি এমন কোন বিষয় খুঁজে পাইনি যার অনুপ্রেরণা বেদে বর্ণিত নেই।

. কারণ বেদ কাউকে মাত্রাতিরিক্ত সাহায্য করে না।( Because Vedas do not spoon-feed.)

বিকল্প হিসেবে বেদ গবেষণা এবং জ্ঞানার্জনের (Research and Exploration) উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করতে উৎসাহ করে। বেদ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত প্রদান করে এবং চায় মানুষ যেন স্বপ্রচেষ্টায় সেগুলো আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। কর্মফল বিষয়ে পড়ুন - https://back2thevedas.blogspot.com/2022/07/blog-post.html

. কারণ বেদ কোন কিছু অন্ধের মতন বিশ্বাস করতে বলে না

বেদই একমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থ যাতে ঈশ্বর বা ধর্মতত্ত্বের [যা পক্ষপাত রহিত, ন্যায়াচরণ-সত্যভাষণাদি যুক্ত ঈশ্বরের আজ্ঞা বেদের অবিরুদ্ধ তাকে ‘ধর্ম’ এবং যা পক্ষপাতযুক্ত, অন্যায়াচরণ, মিথ্যাভাষণাদি ঈশ্বরের আজ্ঞা লঙ্ঘন বেদবিরুদ্ধ তা ‘অধর্ম] প্রতি তীব্র কটাক্ষকারীকে কোন প্রকার অমানবিক শাস্তি প্রদানের বিধি নেই। সর্বোপরি বেদ এটাই দাবী করে সমস্তকিছু যেন আন্তরিকভাবে জনার চেষ্টা করা হয় এবং সত্যকে এক এক জনের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোত্তমভাবে উপলব্ধিকরে তা যেন গ্রহণ করা হয়। এমনকি কেউ যদি মনে করে যে বেদ ভুল তবে সে তা পরিত্যাগ করতে পারে বেদ তাতে বাধা দেবে না কারণ সে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বেদ সঠিকভাবে অধ্যয়ন করেছে। বেদ অন্যান্য মতবাদের গ্রন্থের মতন নয় তাই যে বেদ ত্যাগ করবে তার জন্য কোন প্রকার শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড, কোন ধরনের ঐশ্বরীক ক্রোধ, আংশিক অথবা পূর্ণরুপে বেদ ত্যাগকারীকে কোন প্রকার হুমকির কেন ধরনের বিধান নেই। যে বেদ মানে না ও বেদ বিরুদ্ধ আচরণ করে তাঁর কর্মফল সে পাবে। সমাজে নিরুপদ্রব হলে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে বেদ মাথা ঘামায় না বরং কর্মফল ও পুনর্জন্মের মাধ্যমে পুনরায় চেষ্টাব করার সুযোগ প্রদান করে । বেদ এমন না যে আপনি কেবল মাত্র বেদে বিশ্বাস না করার কারণে সমস্ত পুণ্যকাজ ধূলিসাৎ হয়ে যাবে এবং আপনার জন্য অনন্তকালের নরকবাস ফিক্সড।

. কারণ বেদ এই ত্রিমাত্রিক জগতে ত্রিমাত্রিক বিষয়কে কোন ধরনের অদেখা অথবা অযাচাইযোগ্য জিনিসের উপর অন্ধের মতন বিশ্বাস স্থাপন করতে বলে না

বেদ সমস্তপ্রকার যুক্তির উপর ভিত্তি করা যা আমাদের প্রত্যেকের বিচক্ষণতার সাথে আমাদের মনে সুপ্ত রয়েছে। নিয়মিত চর্চা এবং স্ব-ইচ্ছার দ্বারা একজন মানুষ তার এই জ্ঞানের দ্বার উন্মোচন করতে পারে। যেমন ঈশ্বর ইন্দ্রিয়লব্ধ নন । কিন্তু বেদ আপনাকে সেই পথ দেখাবে যাতে আপনি ঈশ্বরানুভব করতে পারেন। এখানে সেই সুযোগ আছে https://www.agniveerbangla.org/2022/06/blog-post_27.html। এমনকি যদি আপনি তাতে ব্যর্থও হন তারপরেও আপনি বৈদিক জীবনধারায় যে সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ জীবন পাবেন তা অন্য কোন মতবাদে পাওয়া সম্ভব না । তাই কোনকিছুতে অন্ধের মতন বিশ্বাস করার পরিবর্তে, প্রত্যেকের উচিৎ নিজ চেষ্টায় ও গভীরভাবে চিন্তার দ্বারা সেই সাথে সুর্কম এবং জ্ঞান অন্বেষণের দ্বারা সত্য এবং বিস্তৃত জ্ঞান জানা। ‘পরীক্ষা’ — পরীক্ষা পাঁচ প্রকার। প্রথমতঃ – ঈশ্বর ও তাঁর গুণ-কর্ম-স্বভাব এবং ‘বেদবিদ্যা’ ; দ্বিতীয়তঃ – প্রত্যক্ষাদি অষ্টবিধ প্রমাণ; তৃতীয়তঃ – সৃষ্টিক্রম; চতুর্থঃ - আপ্তদের ব্যবহার এবং পঞ্চমতঃ – নিজ আত্মার পবিত্রতা এবং বিদ্যা। এই পঞ্চবিধ পরীক্ষা দ্বারা সত্যাসত্য নির্ণয় করে সত্যগ্রহণ ও অসত্য বর্জন করা কৰ্তব্য।

 
১০.কারন বেদ প্রকৃতপক্ষে সর্বজনীন

বেদ এমন এক যুগের সাথে সম্পর্কযুক্ত যখন ছিলনা কোন মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইহুদী, সাম্যবাদী ব্লা ব্লা ব্লা। একমাত্র বেদ ও বেদ প্রতিপাদিত বৈদিক ধর্মই পারে সর্বজনীন ধর্মের ভিত্তি হতে এবং সেই সাথে পরবর্তী যুগের মনুষ্য কর্তৃক সৃষ্ট ধর্ম নামক মতবাদের বিভাজন ধ্বংস করে মানুষের মধ্যে একতা গঠন করতে পারে - https://www.agniveerbangla.org/2018/02/blog-post_81.html

১১. কারণ বেদে কোন প্রকার কুসংস্কারের কোন অবকাশ নেই

বেদ বৈজ্ঞানিক চিন্তায় উৎসাহ প্রদান করে এবং সেই সাথে সমস্ত দাবী (Claim) পরিত্যাগ করতে বলে যা নিছকই কোন যৌক্তিক কারণ ব্যতিত অজস্র কল্পনাপ্রসূত দাবীর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।

১২. কারণ বেদে অবিশ্বাসীদের জন্য কোন ধারণা নেই (Because Vedas have no  concept of disbelievers.)

বেদ কোন মানুষ,বা কোন বই অথবা কোন ধারণাকে (Concept) এই কারণ বিশ্বাস করতে বলে না কারন অনেক মানুষ সেটা অনুসরণ করে। এর পরিবর্তে বেদ আমাদের উচ্চ প্রশংসা করে সেইসব জিনিসের পক্ষে সাহসী যোদ্ধার মতন উঠে দাঁড়াতে যা আমাদের স্বতন্ত্র অভিপ্রায় (Egoless intentions) এবং হৃদয়ের অনুভূতির দ্বারা সত্য বলে উপলব্ধি হয়। ধর্ম কোন গণতান্ত্রিক বিষয় নইয় । যা সত্য তা ১জন মানলেও সত্য , যা মিথ্যা তা ৭০০ কোটি মানুষ মানলেও মিথ্যাই । আস্তিক্যবুদ্ধি সম্পর্কে এই নিবন্ধটি পড়ু - https://www.agniveerbangla.org/2022/04/blog-post_24.html

১৩. কারণ বেদ জাতি(Gender) - জন্ম - বর্ণ - এলাকা - মতবাদ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের সমান সামাজিক, রাজনৈতিক, আধ্যাত্মিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষাগত অধিকার দাবী করে বৈদিক সাম্যবাদ - https://www.agniveerbangla.org/2022/04/blog-post_25.html

১৪.    কারণ বেদ দাবী করে যে মেধাই একমাত্র পার্থক্যের কারণ হবে এবং ভিন্ন ভিন্ন অধিকার রক্ষায় সর্বদা সংবেদনশীল হবে।  (And be sensitive to protection of rights of differently-abled.)

বৈদিক বর্ণব্যবস্থা - https://www.agniveerbangla.org/2021/07/blog-post_20.html

১৫. কারণ বেদ পৃথিবীতে নারীদেরকে সন্তানে সদ্‌গুণের উৎস হিসেবে মানে (Because Vedas consider women as source of goodness on earth.)

বেদ আমাদের শিক্ষা দেয় সমস্ত মেয়েদের মধ্যে একজন মা কে দর্শন করতে এবং তাদের সম্মান করতে। মেয়েরা কোন জড়বস্তু তথা কোন খেলনা নয় অথবা নয় কোন ফুর্তি করার বস্তু, কিংবা কোন কাল্পনিক প্রথম পুরুষের অঙ্গ থেকে আসা কোন প্রাণী নয় যেরকমটা অনেক সম্প্রদায় বিশ্বাস করে থাকে।

১৬. কারণ বেদ আমাদের কখনো কাল্পনিক চিরন্তন সুখের স্থান, ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত দূত যিনি গ্রন্থ আপডেট করেন কিংবা কোন অপ্রাকৃত সত্ত্বা যা আমাদের ভ্রান্ত পথে নিয়ে যায় তা বিশ্বাস করতে বলে না

বেদে ‘স্বর্গ’ –সুখ বিশেষ ভোগ এবং তার সাধন প্রাপ্তির নাম ‘স্বর্গ’। ইহলোকে সুখ সামান্য স্বর্গ ও মুক্তি বা মোক্ষকে বিশেষ স্বর্গ বলে ।

‘নরক’ –দুঃখ বিশেষ ভোগ ও দুঃখের সাধন প্রাপ্তির নাম ‘নরক’। ইহজগতে কর্মফল ও ত্রিবিধ দুঃখ এবং জন্মান্তরে মনুষ্যেতর যোনি নরক ।

 ‘জন্ম’ – আত্মার শরীর ধারণপূর্বক প্রকট হওয়ার নাম জন্ম। অতীত, বৰ্তমান এবং ভবিষ্যৎ ভেদে জন্ম ত্রিবিধ ।

জন্ম ও মৃত্যু’ –শরীরের সাথে জীবাত্মার সংযোগ হওয়াকে ‘জন্ম’ এবং বিয়োগ হওয়াকে ‘মৃত্যু’ বলে।

১৭. কারণ  বেদ আমাদেরকে অন্যের প্রতি সহনশীল হতে বলে, যেমন করে আমরা আমাদের নিজেদের দুর্বলতাকে সহ্যকরে থাকি ৷

যদিও আমরা দৃষ্টিকোণ থেকে পরস্পর আলাদা আলাদা, তথাপি বেদ আমাদেরকে ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে এবং সংঘবদ্ধ হতে প্রেরণা প্রদান করে ৷ বেদ বলে যে, এই পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষা, প্রথা,সামাজিক নিয়ম, ভাবাদর্শ এবং সংস্কৃতি বিদ্যমান  কিন্তু তা সত্ত্বেও সমগ্র জীবজগতের মধ্যে বিদ্যমান শুভশক্তির ভিত্তিতে আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া উচিত ৷

অনেক ধর্মমত সত্যের উপর একাধিপত্যতা ঘোষণা করে এবং যে সকল ব্যক্তি এই দাবি করা সত্যকে প্রত্যাখান করে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকে ৷ বেদ অনুযায়ী এগুলো নিছক কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় ৷ কারন কোন নিয়মই তোমাকে ঐ নিয়ম অনুসরন করার জন্য জোর প্রয়োগ করবে না ৷ E=mc² আপেক্ষিকতার সূত্র ৷ কিন্তু আইনস্টাইনের গবেষণা কখনোই এটা বলেনা যে, যদি তুমি এই নিয়ম না মানো তাহলে তোমাকে মেরে ফেলা হবে ৷ যে কোন নিয়মই নিরপেক্ষ ভাবে সত্য ধারন করবে ৷ যেখানে একজন সেটা বিশ্বাস করতেও পারে আবার নাও করতে পারে ৷ তাই অন্ধের মতন E=mc² মান্য করার পরিবর্তে বিচক্ষণ বিজ্ঞানীরা তাদের যোগ্য শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক ভাবে বোঝাতে চেষ্টা করে,যাতে তারা নিজেরা বুঝতে পারে এবং ঐ নিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারে অথবা তারা ঐ নিয়মের উন্নতি সাধন করতে পারে, এবং যদি অধিকতর বিজ্ঞ কেউ থেকে থাকে তবে সে আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ কোন মতবাদের দ্বারা এটাকে প্রত্যাখানও করতে পারে ৷ এটিই বৈদিক পন্থা ৷৷

১৮. কারণ, বেদের ঈশ্বর আকাশের উপরে কোন আসনে অধিষ্ঠিত থাকে না ৷(Because god of Vedas does not sit on a chair on the top of the sky).

যেহেতু বেদের বর্ণনায় পৃথিবী গোলাকার; চতুর্থ আকাশ বা সপ্তম আকাশ বা আকাশের শীর্ষ এই ধারণাগুলো বেদ অনুযায়ী সম্পূর্ণই অবান্তর ধারণা৷ বেদের ঈশ্বর দ্বারা এমন একটি উৎসকে বোঝান হয় যা সমগ্র জীব জগতকে ক্ষমতা প্রদান করে থাকে এবং এটা নিশ্চিত করে যে, সমগ্র জীবজগত কিছু অপরিবর্তনশীল নিয়মের দ্বারা জড় জগতের সাথে আন্ত ক্রিয়া প্রদর্শন করে থাকে [যাঁকে ব্রহ্ম, পরমাত্মা প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হয়; যিনি সচ্চিদানন্দাদি লক্ষণযুক্ত; যাঁর গুণ, কর্ম ও স্বভাব পবিত্র; যিনি সর্বজ্ঞ, নিরাকার, সর্বব্যাপক, জন্মরহিত, অনন্ত, সর্বশক্তিমান, দয়ালু, ন্যায়কারী, সকল সৃষ্টির কর্তা-ধর্তা-হৰ্তা; সত্য ও ন্যায়ানুসারে সর্বজীবের কর্মফলদাতা -ইত্যাদি লক্ষণযুক্ত তিনিই পরমেশ্বর - https://www.agniveerbangla.org/2022/11/blog-post_16.html ]৷ বেদের ঈশ্বর কখনো তার নিয়মে গোলযোগ সৃষ্টি করেনা অথবা কোন অলৌকিকতা প্রদর্শন করেনা বা কখনো রাগ করে না, বা ঘুমায় না, বা দূতের কোন দরবার বা সৈন্যবাহিনী রাখেনা অথবা কারো জন্য পক্ষপাত করেনা ৷ বেদের ঈশ্বর সদা আমাদের ভিতরে এবং বাইরে এবং সর্বত্র বিদ্যমান, অপরিবর্তনশীল, জন্মরহিত,মৃত্যুরহিত, ব্যক্তিসত্তাহীন এবং অবিচলিত নিয়ম প্রতিপালক ৷ যদিও বেদের ঈশ্বর বা পরমাত্মা পরবর্তী যুগের ধর্মীয় পুস্তকাদির ঈশ্বর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা সত্ত্বা ৷ শব্দের একই ব্যাবহার অনেক জটিলতা সৃষ্টির কারণ ।

১৯. কারণ, বেদের বর্ণনায় পৃথিবী সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে ৷

এটা মধ্যযুগীয় কোন গ্রন্থের মতন নয় ৷ বেদে পৃথিবী সমতল নয় ৷ বেদের তত্ত্বে দুই চৌম্বক মেরুর মধ্যবর্তী ধাতব পদার্থের গতিশীলতার কারণে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়৷ বেদে তত্ত্ব মধ্যাকর্ষণ ও বৈদ্যুতিক বল বিপরীত বর্গীয় সূত্রই প্রতিপাদন করে যা বিজ্ঞানীগণ স্বীয় মেধাবলে আমাদের সামনে উন্মোচন করেছেন ৷ বেদে গ্রহসমূহের কক্ষপথ আছে ৷ বেদানুযায়ী বাইনারি লজিক স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক হিসাব নির্দেশ করতে পারে ৷ বৈদিক গ্রন্থ ছাড়া অন্যকোন ধর্মীয় গ্রন্থ এতটা বিজ্ঞান ভিত্তিক নয় ৷ এখনো কিছু কিছু গোড়া ধর্মমত এসকল বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞানের বিশ্বাসকারীদেরকে ব্লাসফেমী হিসেবে শাস্তি দিয়ে থাকে ৷ পড়ুন "বৈদিক বিজ্ঞান' - https://drive.google.com/file/d/1hb1t-iO6GYEd72urYcXPdHqUtVxD46hO/view?usp=sharing

২০. কারণ, বেদকে বা কোন বৈদিক নিয়মকে অবজ্ঞা করলে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়না ৷

ধরুন একজন ধার্মিক মা যিনি একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করেন। একদিন তার ছেলেকে সাপে কেটেছে। সে তার ছেলের জীবন বাঁচানোর এক ঝাড় ফুঁকওয়ালার কাছে ছুটে গেল। এখন আপনি কি তাকে ভুল বলবেন নাকি সঠিক বলবেন?

আজকাল ঈশ্বরের উপাসনা যাই হোক না কেন সবাই আসলে একই অবস্থায় আছে। তাদের উদ্দেশ্য, ভক্তি, শ্রদ্ধা অটল; কিন্তু সেই শ্রদ্ধা বা ভক্তি কখনো অন্ধবিশ্বাস ও কখনো এমন উগ্রতায় পরিণত যে মানবজাতির প্রতি হুমকিস্বরূপ। কিন্তু অজ্ঞতার দরুন তারা ঈশ্বরের উপাসনার ভুল পথকে গ্রহণ করেছে। একটা বিষয় নিশ্চিত যে সকল সনাতনীরা যারা বেদ সম্পর্কে সামান্য কিছুটা জ্ঞান রাখে তারা মানতে বাধ্য যে বেদই হচ্ছে সর্ব শ্রেষ্ঠ তাই ইতিহাসের কালজয়ী এ সকল মহৎ পুণ্যবানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সঠিক পন্থা হচ্ছে তাদের সকল গুণ গুলো আত্মস্থ করা এবং তাদের ন্যায় মহৎ কর্ম করা। উদাহরণ স্বরূপ, রাবণকে আমরা দেখতে পাই একজন স্বেচ্ছাচারী, পাপাচারী, ধ্বংসকারী, অন্যায়কারী এক রাজা হিসেবে। যদি আমরা এক হয়ে বর্তমানের সকল রাবণের বিরুদ্ধে লড়াই করে সেটাই হবে শ্রী রাম চন্দ্রের যথার্থ মহিমা প্রকাশ ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন। ঠিক একই ভাবে শ্রী কৃষ্ণ, হনুমান ইত্যাদি। আমরা এই ভাবে ঐ সকল পুণ্যাত্মাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারি এবং আমরা সকল সম্প্রদায়ের ভক্তদের প্রতি আন্তরিক ভাবে প্রণাম জানিয়ে তাদের নিকট প্রার্থনা করবো যেন সকল ভক্তরা সে ভাবেই ঈশ্বর উপাসনা করবেন যেভাবে শ্রী রাম চন্দ্র ও শ্রী কৃষ্ণ করেছিলেন তাঁদের জীবদ্দশায় - https://www.agniveerbangla.org/2019/04/blog-post.html

২১. কারণ, সকল সম্প্রদায়েরই তাদের নিজস্ব বিশ্বাসগুলোকে কাউকে ভীতিপ্রদর্শন না করে প্রচার করার স্বাধীনতা আছে ৷

পড়ুন - " বিশ্ব পরিবার বৈদিক ধর্ম - বিচ্ছিন্ন নয় সংযুক্ত করে" বৈদিক সনাতন ধর্মই কেন মানব ধর্ম এবং ব্যক্তিগত- পারিবারিক - সামাজিক - রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে কিভাবে একমাত্রই বেদই আমাদের ঐক্যবদ্ধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে তা সুস্পষ্টভাবে বেদ মন্ত্র দ্বারা ব্যাখ্যাসহ প্রতিপাদন করা হয়েছে । লিংক - https://drive.google.com/file/d/1CHL_qx8MbJZlO74dOTHPdlWckOb8UIIF/view?usp=sharing

২২. কারণ বেদ আমাদের সেই সকল মতান্ধদেরকে নির্মূল করতে বলে, যারা তাদের অন্ধবিশ্বাসগুলো অমান্যকারীদের ঘৃণা করতে বলে ৷

যে সকল ব্যক্তি মনে করে যে, যে কোন উপায়ে নাস্তিকদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়া উচিত, ঐ সকল ব্যক্তি মানবতার চরম শত্রু। সমাজের এসব উপাদান সমাজ থেকে পরিষ্কার করা উচিত যাতে করে সমাজে মানবিকতা ৷

২৩. কারণ, বেদ বহুবিবাহের বিরুদ্ধে কথা বলে ৷ এক নর - এক নারী, এটিই বৈদিক পন্থা ৷

বহুবিবাহ একয়ামত্র পুরুষের জন্য ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার, বেদ অনুযায়ী এই ধারণা একটা অসুস্থ বিশ্বাস মাত্র ৷ এটা বড়জোর একটা সামাজিক অন্যায় যেটাকে সমূলে উৎপীড়ন করা বাঞ্চনীয় ৷ পবিত্র ঋগ্বেদ এর দুটি মন্ত্র যথাক্রমে ৪.৩.২ ও ১০.৭১.৪ এ বলা হয়েছে “যায়েব পত্য উশতী সুবাসাঃ অর্থাত্‍ যেভাবে জ্ঞানীগন জ্ঞানপ্রাপ্ত হন ঠিক সেভাবে একক পতি-পত্নীযুক্ত সংসার আনন্দ ও সুখ লাভ করেন। অথর্ববেদ ৭.৩৮.৪ হলো বিবাহ প্রতিজ্ঞা সূক্ত।এই পুরো সূক্তেই বর্ণনা করা হয়েছে বিয়ের সময় কী কী প্রতিজ্ঞা যজ্ঞে করতে হয়। বিয়ের সময় স্বামী স্ত্রীর প্রতিজ্ঞা হিসেবে মন্ত্রে বলছে- অহং বদামি নৈত্ত্বং সভায়ামহ ত্বং বদ। মমদেসস্ত্বং কেবলো নান্যাসদং কীর্তায়াশ্চন।। অর্থাৎ এই সভামধ্যে প্রতিজ্ঞা করছি তুমি শুধু আমার হবে,অন্য দ্বিতীয় কারো কথা বলা তো দূরে থাক চিন্তাও করবেনা। অর্থাৎ বিয়ের সময় প্রতিজ্ঞাই করতে হবে এক বিবাহের,এক বন্ধনের। তাহলে বুঝতেই পারছেন পবিত্র বেদে বহুবিবাহ একদম নিষিদ্ধ। অথর্ববেদ ৩.১৮.২ বলেছে সপত্নীং মে পরা ণুদ পতিং মে কেবলং কৃধি। অর্থাৎ পতি ও পত্নী যেন একে অপরের জন্য কেবল ১ জন থাকে,একে অপরকেই শুধু ভালোবাসে।

২৪. কারণ, বেদ তিনবার একটা শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের বিরোধী ৷

বেদানুযায়ী পুরুষ এবং নারীর মধ্যে বৈবাহিক অধিকারে কোন পার্থক্য নাই - https://www.agniveerbangla.org/2018/08/equality.html৷ স্বামী তার স্ত্রীকে কখনো আঘাত করতে পারবে না ৷ কেউ উপপত্নী অথবা দাসী রাখতে পারবে না ৷ বেদ অনুযায়ী বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ - https://www.agniveerbangla.org/2023/04/blog-post_26.html ৷ বিধবা বিবাহকে উৎসাহিত করা হয় ৷

25. কারণ, বেদে নারীরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী, ব্যাবসায়ী, যোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, রাজ্যপ্রধান, পূজারী, শিক্ষিকা, চালক যে কোন স্বাধীন পেশাজীবী হতে পারবে ৷

নারীদের পেশা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঈশ্বর প্রদত্ত কোনবাঁধা নেই ৷ পড়ুন - বৈদিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় নারীর ভূমিকা - https://www.agniveerbangla.org/2023/06/blog-post.html, বেদে প্রযুক্ত নারীবাচক শব্দ ও তার তাৎপর্য - https://www.agniveerbangla.org/2023/04/blog-post_10.html , বেদে শিক্ষিত নারীর জয়গান - https://www.agniveerbangla.org/2023/06/blog-post_13.html

26. কারণ, বেদে নারীদেরকে পর্দার মধ্যে থেকে এবং গৃহবন্দী থেকে ভিটামিন "ডি " এর অভাবে শরীর ধ্বংস করতে বলা হয় না ৷

নারীরা তাদের স্বাধীনতা, স্বাস্থ্য এবং স্বস্তি বিপন্ন না করে অথবা কোন ধর্মীয় প্রতিনিধির অনুমোদন ছাড়াই যে কোন সুন্দর শালীনতা সম্পন্ন পোষাক পরিধানের ক্ষেত্রে স্বাধীন ৷ পড়ুন- নারীর পোশাক নিয়ে শ্রীরাম [  https://www.agniveerbangla.org/2019/04/blog-post_11.html


আরো এমন প্রচুর কারণ রয়েছে বেদকে ভালোবাসার জন্য । আসুন বেদকে ভালোবাসি, বেদের বিধানে জীবন গড়ি ।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)